ইভো আমাকে বলেন যে “মনে হলো যেনো জীবনে এই প্রথমবার সর্বোত্তম খাদ্য খেলাম আমি। তখন তাই তো মনে হয়েছিল
যাহোক, পাহারা দেয়ার জন্য জাহাজের পাহারাদার বসানো হয়েছিল এবং অবশেষে ক্রুদ্ধ ক্ষুব্ধ সেনারা তাদের জন্য নির্দিষ্ট কমনরুমে ফিরে যায়। কোনো কোর্ট মার্শাল বসেনি, বরং সাধারণ সেনাদেরকে মাঝেমধ্যে আইসক্রীম খাওয়ানো হতো।
১৯৪২ সালের চৌঠা জুলাই সান্তা-পাউলা দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে নোঙর করে। সৈনিকদেরকে বেতনের কিছুটা পরিমাণ অর্থ আগাম দেয়া হয় এবং তীরে নামার অনুমতিও পায় তারা। প্রথম সন্ধ্যায় ইভো ও তার বন্ধুরা ঠিক করে যে মনের সাধ মিটিয়ে আরাম করে আচ্ছামতো খাওয়া যাবে। যথোপযুক্ত নৈশভোজ বলতে যা বোঝায়, কতোদিন যে খাওয়া হয়নি।
ডারবানের মাটিতে সামান্যক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতেই একটা রেস্টুরেন্ট তারা পেয়েও যায়, কিন্তু উপপ্স বাবা। ভেতরে ঢোকার কি লম্বা লাইন পড়ে গেছেরে। তবু তারা লাইনে দাঁড়ায়। অবশেষে ভেতরে ঢুকে টেবিলে বসে তারা। ইভো অর্ডার দেয়: স্টেক, ডিম ও ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। মনে মনে ইভো বলে “যাক বাবা, লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করা পোষালো তবে”। ইভো আমাকে বলেন যে “মনে হলো যেনো জীবনে এই প্রথমবার সর্বোত্তম খাদ্য খেলাম আমি। তখন তাই তো মনে হয়েছিল; আমি ক্ষুধার্ত ছিলাম, অত্যন্ত ক্ষুধার্ত ছিলাম আমি।”
ডারবানে বিরতি শেষে সান্তা-পাউলা আবার চলতে শুরু করল। সে পূর্ব আফ্রিকার উপকূল ধরে ধরে অতি সন্তর্পণে এমনভাবে চলতে লাগল যাতে জার্মান ইউ-বোটের চোখে ধরা পড়ে না যায়। অবশেষে, প্রায় দুই মাস বাদে, ১৯৪৪ সালের চব্বিশে জুলাই সান্তা-পাউলা করাচি বন্দরে নোঙর করল। জাহাজের এবং আমাদের সমুদ্র যাত্রার সমাপ্তি ঘটল।
ইন্ডিয়ানা জোন্স, বা জুরেসিক পার্ক কিংরা শিন্ডলার’স লিস্ট খ্যাত চিত্র পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গের পিতা ছিলেন আর্নল্ড স্পিলবার্গ। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ওহায়ো অঙ্গরাজ্যের সিনসিনাটিতে, ১৯১৭ সালের ছয় ফেব্রুয়ারি। এই আর্নল্ড মাত্র নয় বছর বয়সে নিজের ব্যবহারের জন্য একটি রেডিও বানিয়েছিলেন, রেডিওটি ছিল তাঁর জীবনের প্রথম রেডিও-ও বটে।
পনেরো বছর বয়সে আর্নল্ড অ্যামেচার রেডিও “হ্যাম” অপারেটর হন। নিজের তৈরি সাংকেতিক ‘মোর্স কোড সম্প্রচারণে’ তিনি এতোটাই দক্ষ ছিলেন যে মিনিট প্রতি পঁচিশটি শব্দ প্রেরণ ও গ্রহণ করতে পারতেন। ১৯৪২ সালের জানুয়ারি মাসে, পার্ল হারবার আক্রমণের মাসখানেক পরে তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে নাম লেখান। কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর সখের রেডিও (হ্যাম রেডিও) চালনার দক্ষতা সেনাবাহিনীর খুব উপকারে লাগবে।
(চলবে)
নাঈম হক 


















