বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সংস্কারের বিষয়ে যেসব বিষয়ে ইতিমধ্যে ঐকমত্য হয়েছে, তার বাইরে কোনো পরিবর্তন বা সংস্কার জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া হলে এর পূর্ণ দায়ভার সরকারেরই নিতে হবে।
সরকারের প্রতি কঠোর সতর্কবার্তা
মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বর্গাউন ইউনিয়নের কিসমত কেশুর বাড়ি লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় ফখরুল বলেন, “সংস্কারের বিষয়ে কিছু বিষয়ে আমরা ঐকমত্যে পৌঁছেছি। কিন্তু এর বাইরে যদি কিছু জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে এর দায়ভার সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই নিতে হবে।”
নির্বাচন বিলম্বে ব্যর্থ রাষ্ট্রের আশঙ্কা
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি সতর্ক করে বলেন, “নির্বাচন যদি আবারও পিছিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।”
ধর্মীয় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল তৃণমূলের নারীদের মধ্যে বিকৃত ধর্মীয় বার্তা ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তিনি জনগণকে এ ধরনের ‘ভণ্ড রাজনীতি’ থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
কর্মসংস্থান ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অঙ্গীকার
মির্জা ফখরুল ঘোষণা দেন, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে দশ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। পাশাপাশি, বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও কার্যকর করার অঙ্গীকারও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
শিক্ষা সংস্কার নিয়ে সমালোচনা
শিক্ষা খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “স্কুল থেকে শারীরিক শিক্ষা ও সংগীত শিক্ষকের পদ বাদ দেওয়া মোটেই সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এতে শিক্ষাব্যবস্থায় একটি বড় শূন্যতা তৈরি হচ্ছে।”
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ
বর্গাউন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আহমদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পইগম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের আরও নেতাকর্মীরা।
#রাজনীতি #বিএনপি #মির্জাফখরুল #বাংলাদেশনির্বাচন #সংস্কার
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















