উচ্চমাত্রার বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল দিল্লি
সোমবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশনের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তদন্তকারীরা দ্রুত সম্ভাব্য সূত্র খুঁজে বের করতে শুরু করেন। তদন্তের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার বাসিন্দা ড. উমর মোহাম্মদের নাম।
উমর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সন্দেহ
সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ জানায়, বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হুন্ডাই আই২০ গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ড. উমর মোহাম্মদ। কয়েক মাস ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। সম্প্রতি ফারিদাবাদে ২,৯০০ কেজি সন্দেহজনক অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটসহ দুই কাশ্মিরি চিকিৎসকের গ্রেপ্তারের পর থেকেই উমর নিখোঁজ ছিলেন।

ফারিদাবাদের মামলার সঙ্গে সম্ভাব্য সংযোগ
তদন্তকারীদের ধারণা, দিল্লির এই বিস্ফোরণ এবং ফারিদাবাদে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক তৈরির উপকরণ উদ্ধারের ঘটনার মধ্যে সরাসরি সম্পর্ক থাকতে পারে। উমর মোহাম্মদকে ওই মামলাতেও মূল সন্দেহভাজন হিসেবে খোঁজা হচ্ছিল।
সুইসাইড হামলার সন্দেহ
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গাড়িটি বিস্ফোরণের সময় চালকের আসনেই ছিল উমর। ফলে তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, এটি কি একটি আত্মঘাতী হামলা ছিল কি না।

তদন্তের অগ্রগতি
পুলিশ এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) যৌথভাবে ঘটনাটি তদন্ত করছে। তদন্তে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিস্ফোরণের আগে ও পরে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ এবং গাড়ির ধ্বংসাবশেষ থেকে উদ্ধারকৃত রাসায়নিক নমুনা।
দেশজুড়ে সতর্কতা
ঘটনার পর রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য বড় শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সীমান্ত ও বিমানবন্দরে কড়া নজরদারি চলছে। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই বিস্ফোরণের পেছনে কোনো সংগঠিত জঙ্গি নেটওয়ার্ক কাজ করছে।
#দিল্লি_বিস্ফোরণ #ফারিদাবাদ_বিস্ফোরক #উমর_মোহাম্মদ #ভারত_নিরাপত্তা #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















