নতুন দিল্লি: পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো, বিশেষ করে আন্তর্জাতিকভাবে ঘোষিত সন্ত্রাসী হাফিজ সাঈদের নেতৃত্বে, ভারতের বিরুদ্ধে নতুন হামলার ফ্রন্ট খুলতে সক্রিয়ভাবে ষড়যন্ত্র করছে—এমনই উদ্বেগজনক তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে নতুন ঘাঁটি বা ‘লঞ্চপ্যাড’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানে প্রকাশ্য সমাবেশে বিস্ফোরক বক্তব্য
৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের খায়রপুর তামেওয়ালিতে অনুষ্ঠিত এক সমাবেশে লস্কর-ই-তইয়বার (LeT) সিনিয়র কমান্ডার সাইফুল্লাহ সাইফ একটি ভিডিও বার্তায় জানায়, “হাফিজ সাঈদ বসে নেই; সে বাংলাদেশ হয়ে ভারত আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
এই বক্তব্য সরাসরি ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানি মাটিতে থাকা জঙ্গি সংগঠনগুলো এখন ভারতের পূর্ব সীমান্ত ঘিরে নতুন কৌশল নিচ্ছে।
‘অপারেশন সিনদুর’-এর প্রতিশোধের হুমকি
সাইফুল্লাহ দাবি করেছে, লস্কর-ই-তইয়বার সদস্যরা ইতিমধ্যেই “পূর্ব পাকিস্তানে (অর্থাৎ বাংলাদেশে)” সক্রিয় রয়েছে এবং তারা “অপারেশন সিনদুর”-এর জবাব দিতে প্রস্তুত।
আরও জানা গেছে, হাফিজ সাঈদ তার এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে, যার কাজ হলো ‘জিহাদ’-এর নামে স্থানীয় তরুণদের উগ্রপন্থায় প্ররোচিত করা এবং তাদের সন্ত্রাসী প্রশিক্ষণ দেওয়া।
![]()
শিশুদের উপস্থিতিতে জঙ্গি উস্কানি
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাইফুল্লাহ প্রকাশ্যে মানুষকে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে উসকে দিচ্ছে। উদ্বেগজনকভাবে, ওই সমাবেশে শিশুদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
এতে স্পষ্ট যে, পাকিস্তানের মাটিতে অবস্থানরত জঙ্গি সংগঠনগুলো শিশুদেরও উগ্রপন্থায় দীক্ষিত করে ভবিষ্যতের ‘জিহাদি’ হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।
পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তিকর দাবি
সাইফুল্লাহ তার বক্তৃতায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে প্রশংসা করে দাবি করেছে যে, “ভারতের অপারেশন সিনদুরের” (৯-১০ মে রাতের অভিযানের) পর পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এখন আমেরিকা আমাদের সঙ্গে, আর বাংলাদেশও আবার পাকিস্তানের কাছাকাছি চলে আসছে।”
এই বক্তব্যগুলো মূলত জনসমাবেশে জঙ্গিদের মনোবল বাড়ানোর জন্যই দেওয়া হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এটি প্রমাণ করে যে, লস্কর-ই-তইয়বা এখন ভারতের পূর্ব সীমান্তে নতুন কার্যক্রম শুরু করতে চায়।
নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সতর্কতা জারি
ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলো ইতিমধ্যেই এই নতুন ও জটিল হুমকি নিয়ে উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সংযোগের মাধ্যমে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী তৎপরতা রোধে নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের অনুপ্রবেশ বা গোপন জঙ্গি গতিবিধি প্রতিরোধে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও বাড়ানো হয়েছে বলে সূত্রে জানা গেছে।
#tags: হাফিজ_সাঈদ, ভারত_নিরাপত্তা, বাংলাদেশ_সন্ত্রাসবাদ, লস্কর_ই_তইয়বা, দক্ষিণ_এশিয়া_রাজনীতি
রাজ শেখর ঝা 



















