গাজার চলমান সংঘাত ও অস্থিরতা চুক্তির দ্বিতীয়, আরও জটিল পর্যায়ে প্রবেশ করেছে। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাফাহ এলাকার ভূগর্ভস্থ টানেলে আটকে থাকা প্রায় ২০০ হামাস যোদ্ধা। এই অনিশ্চিত পরিস্থিতি চুক্তির বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে, বাড়িয়েছে কূটনৈতিক উত্তেজনাও।
আটকে থাকা যোদ্ধারা চুক্তির অন্তরায়
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত রাফাহ এলাকার টানেলে আটকে থাকা যোদ্ধাদের মুক্তি বা নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিয়ে কোনো ঐকমত্য গড়ে ওঠেনি। মার্কিন কূটনীতিক ও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানিয়াহুর মধ্যে আলোচনার পরিমাণ বাড়লেও এখনো কোনো নির্দিষ্ট সমাধান পাওয়া যায়নি।
দুই বছর ধরে চলা সংঘর্ষের পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে একটি অস্থিরতা চুক্তি তৈরি হয়। কিন্তু হামাস যোদ্ধাদের আটকে থাকা ইস্যু সমাধান না হলে পরবর্তী ধাপের বাস্তবায়ন ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পর্যবেক্ষকরা।
অস্ত্রহীনকরণ ও নতুন রাজনৈতিক কাঠামো নিয়ে মতভেদ
ইসরায়েলের সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রতিনিধি হামাসের অস্ত্রহীনকরণ, গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসনিক কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে স্থিতিশীলতা বাহিনী পাঠানো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এসব বিষয়ই চুক্তির পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা।

তবে হামাস যোদ্ধাদের নিরাপদ পথে ফেরার বিষয়ে ইসরায়েল অনড় অবস্থানে রয়েছে। হামাসও জানিয়েছে, যোদ্ধাদের আত্মসমর্পণ চুক্তির অংশ নয় এবং তারা এতে রাজি নয়। পশ্চিমা সূত্র বলছে, এ অবস্থার সমাধানে নতুন প্রস্তাব তৈরির চেষ্টা চলছে।
গাজায় উত্তেজনা অব্যাহত
চুক্তির দীর্ঘমেয়াদি সাফল্য নির্ভর করছে গাজায় সময়সূচিবিহীন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন, অস্ত্রহীনকরণ ও পুনর্গঠন পরিকল্পনার বাস্তবায়নের ওপর। তবে এসব উদ্যোগে হামাস ও ইসরায়েল উভয়ের পক্ষ থেকেই বিরোধিতা দেখা দিতে পারে।
রোববার হামাস গাজা থেকে এক ইসরায়েলি সেনার মৃতদেহ ফেরত পাঠিয়েছে, যিনি এক দশক আগে নিহত হন। কিন্তু এখনও চারজন ইসরায়েলি যুদ্ধবন্দী মুক্তি পায়নি।
২০০৮ সালের পর থেকে গাজায় একাধিকবার সংঘর্ষ হয়েছে, যেখানে অস্থিরতা চুক্তি বারবার ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। সাম্প্রতিক বিমান হামলায় ২৪৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। সোমবার গাজা দক্ষিণে আরও একটি হামলায় দুই ফিলিস্তিনি, এর মধ্যে একজন শিশু নিহত হয়েছে।
#গাজাচুক্তি #হামাস #ইসরায়েল #গাজারঅস্থিরতা #ফিলিস্তিনি #অন্তর্জাতিকরাজনীতি #খালিজটাইমস
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















