১১:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ও কাল অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৩) মালয়েশিয়ার এআই বুম দেশটিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যতে আটকে দিতে পারে জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন শারজাহ বইমেলায় কবিতার মাধ্যমে মানসিক শান্তি—‘পয়ট্রি ফার্মেসি’ অনন্য উদ্যোগ ১,০০০ বছর পুরনো পবিত্র কুরআনের দুর্লভ অনুলিপি পিনাট বাটারের তুলনায় আরও পুষ্টিকর ও বহুমুখী বাদাম বাটার প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২২) গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা

জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন

সমকালের একটি শিরোনাম “এইচআইভি রোগীদের ওপর অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা”

দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা শুরুর আগেই ‘ভাইরাল লোড’ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস ও এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনএএসসি)। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, এই পরীক্ষা করা উচিত ওষুধ শুরুর ছয় মাস বা এক বছর পর। বিশেষজ্ঞদের মতে, শনাক্তের পরপরই এই পরীক্ষা করা চিকিৎসাবিজ্ঞানের নৈতিক পরিপন্থি এবং এতে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

এইচআইভি শনাক্ত ব্যক্তি নিয়মিত ছয় মাস ওষুধ সেবনের পর শরীরে কী পরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি আছে, তা জানতে এই ভাইরাল লোড পরীক্ষা করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাইরাল লোড কিট কেনার পর তা মেয়াদোত্তীর্ণের ঝুঁকিতে পড়ায় দ্রুত সময়ে ব্যবহার নিশ্চিত করতে এইচআইভি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ জুন জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপপরিচালক জুবাইদা নাসরীন সই করা চিঠিতে লিখেছেন, ভাইরাল লোড টেস্টিং কিট আশানুরূপ ব্যবহার না হওয়ায় প্রোগ্রামের গুণগত মানের অবনতি এবং ভাইরাল লোড কিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর দায় সংশ্লিষ্ট সবার ওপর বর্তাবে।
চিকিৎসাকেন্দ্রের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মৌখিকভাবে তাদের বলা হয়েছে পরীক্ষাগুলো করা হলেও নিবন্ধন খাতায় তা না তুলতে।

জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাবেক পরিচালক ডা. শাহ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন এই ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণত শনাক্তের ছয় মাস বা এক বছর ওষুধ ঠিকভাবে খাওয়ার পর রোগীর ভাইরাল লোড পরীক্ষা করা হয়। শুরুতেই এই পরীক্ষা করার চিকিৎসাগত কোনো যুক্তি নেই। এতে রোগীর উপকার হয় না, বরং সরকারি অর্থের অপচয় হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদকে ৩৬৫ দিনের জন্য দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে সনদে থাকা সুপারিশগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করতে বলা হতে পারে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ জারির কথা বলা হয়েছে। তফসিলে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাব আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) ছাড়াই রাখা হয়েছে। তফসিলে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ/না’ গণভোটের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন।

ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর সনদে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) না রাখার সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি আপত্তিসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবিতে মাঠে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট সমমনা দল। এমন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের অনুরোধে দলগুলো সাড়া দেয়নি।

জানা গেছে, আদেশ চূড়ান্ত করতে ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁরা হলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এই উপদেষ্টারা আদেশ চূড়ান্ত করতে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামেই আদেশ জারির বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। দলগুলোর আপত্তি থাকায় গণভোটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত করে আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারির সম্ভাবনা আছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রেলের সেবায় উন্নতি নেই, কমছে না লোকসান”

বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালনায় বর্তমানে বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের। পরিচালন ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, অনবোর্ড পরিষেবা, ইঞ্জিন-কোচ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং যন্ত্রাংশ সংগ্রহের পেছনে। ‘বিশেষ কার্যক্রম’ খাতের এ পরিচালন ব্যয়ের প্রধান উদ্দেশ্য যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন। যদিও সংস্থাটির যাত্রীসেবার মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ট্রেনে-স্টেশনে অপরিচ্ছন্নতা, সময়সূচিতে হেরফের, টিকিট কালোবাজারি, আসনবিহীন ও টিকিটবিহীন যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, খাবারের বাড়তি দামসহ ব্যবস্থাপনাগত বিভিন্ন ইস্যু এবং চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিন-বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন লাইনচ্যুতির মতো কারিগরি বিষয়গুলোও যাত্রী ভোগান্তির কারণ হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও রেলের ‘নাজুক যাত্রীসেবায়’ তেমন কোনো উন্নতি হয়নি বলে মনে করেন অনেক নিয়মিত রেলযাত্রী। উল্টো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলের আয় কমেছে। অবশ্য আয় কমে যাওয়ার পেছনে গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন রেলের কর্মকর্তারা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কভিড মহামারীর পর প্রথমবার রেলের আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে। এ অর্থবছরে সংস্থাটি সব মিলিয়ে আয় করে ১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে গত অর্থবছরে আয় কমলেও চলতি অর্থবছরে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৫৩২ কোটি টাকা আয় করেছে সংস্থাটি। তবে বাড়তে থাকা এ আয় রেলের লোকসান কমাতে যথেষ্ট নয়। রেলওয়ের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর সংস্থাটির লোকসান হতে পারে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে এ পরিমাণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রেলের কর্মকর্তারা।

সহজে টিকিট পাওয়া যাবে, সময়মতো ট্রেন ছাড়বে, স্টেশন আর ট্রেনগুলো থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নির্ধারিত সময়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে—বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে মোটা দাগে এ সেবাগুলোই চায় সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু যাত্রীদের বিড়ম্বনার শুরুটা হয় টিকিট সংগ্রহ ধাপ থেকেই। যেসব রুটে চাহিদা বেশি, সেসব রুটের টিকিটের একটি বড় অংশ থাকে কালোবাজারিদের কবজায়। ফলে অনেক যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে পারে না, অনেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে টিকিট নিতে বাধ্য হয়।

ট্রেনে ওঠার পর শুরু হয় নানা রকমের ভোগান্তি। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম হলো প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের যত আসন, তার ২৫ শতাংশ যাত্রীকে দেয়া হবে আসনবিহীন টিকিট। বেশির ভাগ ট্রেনে এ আসনবিহীন যাত্রী ছাড়াও টিকিটবিহীন থাকে অসংখ্য যাত্রী। যারা গাদাগাদি করে বগিতে বগিতে দাঁড়িয়ে থাকে। এই ‘‌স্ট্যান্ডিং’ যাত্রীদের কারণে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে সাধারণ যাত্রীদের ভ্রমণ। বেশির ভাগ ট্রেনের টয়লেট নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর থাকার অভিযোগ অনেক পুরনো। কোচ-বগিগুলোতে দেখা যায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার ছাপ। যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেয় ট্রেনের এলোমেলো সময়সূচি আর রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণে ঘটে যাওয়া ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের”

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতার বার্তায় থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বেতার বার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’ বেতার বার্তায় যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব দায় কমিশনার বহন করবেন বলে জানান।
বিষয়টি স্বীকার করে নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।’এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন অরাজকতা করতে রাস্তায় নামলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে। পাঠানো হবে আদালতে।’

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নিরাপত্তার কারণে কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আজ ও কাল অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত

জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন

০৭:১৮:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫

সমকালের একটি শিরোনাম “এইচআইভি রোগীদের ওপর অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা”

দেশে এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা শুরুর আগেই ‘ভাইরাল লোড’ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস ও এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনএএসসি)। অথচ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা অনুযায়ী, এই পরীক্ষা করা উচিত ওষুধ শুরুর ছয় মাস বা এক বছর পর। বিশেষজ্ঞদের মতে, শনাক্তের পরপরই এই পরীক্ষা করা চিকিৎসাবিজ্ঞানের নৈতিক পরিপন্থি এবং এতে সরকারের অর্থের অপচয় হচ্ছে। অন্যদিকে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

এইচআইভি শনাক্ত ব্যক্তি নিয়মিত ছয় মাস ওষুধ সেবনের পর শরীরে কী পরিমাণ ভাইরাসের উপস্থিতি আছে, তা জানতে এই ভাইরাল লোড পরীক্ষা করা হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভাইরাল লোড কিট কেনার পর তা মেয়াদোত্তীর্ণের ঝুঁকিতে পড়ায় দ্রুত সময়ে ব্যবহার নিশ্চিত করতে এইচআইভি চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ২৩ জুন জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির উপপরিচালক জুবাইদা নাসরীন সই করা চিঠিতে লিখেছেন, ভাইরাল লোড টেস্টিং কিট আশানুরূপ ব্যবহার না হওয়ায় প্রোগ্রামের গুণগত মানের অবনতি এবং ভাইরাল লোড কিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর দায় সংশ্লিষ্ট সবার ওপর বর্তাবে।
চিকিৎসাকেন্দ্রের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মৌখিকভাবে তাদের বলা হয়েছে পরীক্ষাগুলো করা হলেও নিবন্ধন খাতায় তা না তুলতে।

জাতীয় এইডস/এসটিডি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির সাবেক পরিচালক ডা. শাহ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন দীর্ঘদিন এই ভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেন, সাধারণত শনাক্তের ছয় মাস বা এক বছর ওষুধ ঠিকভাবে খাওয়ার পর রোগীর ভাইরাল লোড পরীক্ষা করা হয়। শুরুতেই এই পরীক্ষা করার চিকিৎসাগত কোনো যুক্তি নেই। এতে রোগীর উপকার হয় না, বরং সরকারি অর্থের অপচয় হয়।

 

আজকের পত্রিকার একটি শিরোনাম”জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন”

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশ কিছুটা সংশোধন করে আদেশ জারির প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। ১৫ নভেম্বর আদেশ জারি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে আদেশ জারির পাশাপাশি গণভোটে এক ব্যালটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এতে আগামী জাতীয় সংসদকে ৩৬৫ দিনের জন্য দ্বৈত ক্ষমতা দিয়ে সনদে থাকা সুপারিশগুলো সংবিধানে সংযুক্ত করতে বলা হতে পারে।

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে গত ২৭ অক্টোবর দুটি সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয় জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ জারির কথা বলা হয়েছে। তফসিলে সংবিধান-সম্পর্কিত ৪৮টি প্রস্তাব আপত্তি (নোট অব ডিসেন্ট) ছাড়াই রাখা হয়েছে। তফসিলে থাকা সংবিধান-সম্পর্কিত প্রস্তাবের পক্ষে ‘হ্যাঁ/না’ গণভোটের কথা বলা হয়েছে। গণভোটের ফল ইতিবাচক হলে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা একযোগে সংসদ সদস্য (এমপি) ও সংবিধান সংস্কার পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা প্রথম অধিবেশন থেকে ২৭০ দিনের মধ্যে সংস্কার সম্পন্ন করবেন।

ঐকমত্য কমিশন সুপারিশ জমা দেওয়ার পর সনদে নোট অব ডিসেন্ট (আপত্তি) না রাখার সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি আপত্তিসহ সনদ বাস্তবায়ন এবং জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট করার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের আগেই গণভোটের দাবিতে মাঠে কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীসহ আট সমমনা দল। এমন অবস্থায় গত ৩ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে সমঝোতায় পৌঁছাতে এক সপ্তাহ সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সরকারের অনুরোধে দলগুলো সাড়া দেয়নি।

জানা গেছে, আদেশ চূড়ান্ত করতে ছয় উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তাঁরা হলেন, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ আহমেদ, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ, আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান। এই উপদেষ্টারা আদেশ চূড়ান্ত করতে গত কয়েক দিন ধারাবাহিকভাবে বৈঠক করেছেন।

সূত্র জানিয়েছে, কমিশনের সুপারিশ করা জুলাই জাতীয় সনদ (সংবিধান সংস্কার) বাস্তবায়ন আদেশ, ২০২৫ নামেই আদেশ জারির বিষয়ে প্রায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা। দলগুলোর আপত্তি থাকায় গণভোটে একাধিক প্রশ্ন রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা আগামীকাল অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে চূড়ান্ত করে আগামী শনিবার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে জারির সম্ভাবনা আছে।

 

বণিকবার্তার একটি শিরোনাম “রেলের সেবায় উন্নতি নেই, কমছে না লোকসান”

বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালনায় বর্তমানে বছরে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ হচ্ছে সরকারের। পরিচালন ব্যয়ের একটি বড় অংশ যায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, অনবোর্ড পরিষেবা, ইঞ্জিন-কোচ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং যন্ত্রাংশ সংগ্রহের পেছনে। ‘বিশেষ কার্যক্রম’ খাতের এ পরিচালন ব্যয়ের প্রধান উদ্দেশ্য যাত্রীসেবার মানোন্নয়ন। যদিও সংস্থাটির যাত্রীসেবার মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। ট্রেনে-স্টেশনে অপরিচ্ছন্নতা, সময়সূচিতে হেরফের, টিকিট কালোবাজারি, আসনবিহীন ও টিকিটবিহীন যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, খাবারের বাড়তি দামসহ ব্যবস্থাপনাগত বিভিন্ন ইস্যু এবং চলন্ত অবস্থায় ইঞ্জিন-বগি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন লাইনচ্যুতির মতো কারিগরি বিষয়গুলোও যাত্রী ভোগান্তির কারণ হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও রেলের ‘নাজুক যাত্রীসেবায়’ তেমন কোনো উন্নতি হয়নি বলে মনে করেন অনেক নিয়মিত রেলযাত্রী। উল্টো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রেলের আয় কমেছে। অবশ্য আয় কমে যাওয়ার পেছনে গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় ট্রেন চলাচল বিঘ্নিত হওয়াকে কারণ হিসেবে উল্লেখ করছেন রেলের কর্মকর্তারা।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কভিড মহামারীর পর প্রথমবার রেলের আয়ে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে। এ অর্থবছরে সংস্থাটি সব মিলিয়ে আয় করে ১ হাজার ৮৪৫ কোটি টাকা, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ৪ দশমিক ১৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে গত অর্থবছরে আয় কমলেও চলতি অর্থবছরে আবার তা বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয় সূত্র। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ৫৩২ কোটি টাকা আয় করেছে সংস্থাটি। তবে বাড়তে থাকা এ আয় রেলের লোকসান কমাতে যথেষ্ট নয়। রেলওয়ের প্রাক্কলন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছর সংস্থাটির লোকসান হতে পারে ১ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে এ পরিমাণ আরো বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন রেলের কর্মকর্তারা।

সহজে টিকিট পাওয়া যাবে, সময়মতো ট্রেন ছাড়বে, স্টেশন আর ট্রেনগুলো থাকবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন এবং নির্ধারিত সময়ে নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দেবে—বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছ থেকে মোটা দাগে এ সেবাগুলোই চায় সাধারণ যাত্রীরা। কিন্তু যাত্রীদের বিড়ম্বনার শুরুটা হয় টিকিট সংগ্রহ ধাপ থেকেই। যেসব রুটে চাহিদা বেশি, সেসব রুটের টিকিটের একটি বড় অংশ থাকে কালোবাজারিদের কবজায়। ফলে অনেক যাত্রী টিকিট সংগ্রহ করতে পারে না, অনেকে অতিরিক্ত দাম দিয়ে টিকিট নিতে বাধ্য হয়।

ট্রেনে ওঠার পর শুরু হয় নানা রকমের ভোগান্তি। বাংলাদেশ রেলওয়ের নিয়ম হলো প্রতিটি আন্তঃনগর ট্রেনের যত আসন, তার ২৫ শতাংশ যাত্রীকে দেয়া হবে আসনবিহীন টিকিট। বেশির ভাগ ট্রেনে এ আসনবিহীন যাত্রী ছাড়াও টিকিটবিহীন থাকে অসংখ্য যাত্রী। যারা গাদাগাদি করে বগিতে বগিতে দাঁড়িয়ে থাকে। এই ‘‌স্ট্যান্ডিং’ যাত্রীদের কারণে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে সাধারণ যাত্রীদের ভ্রমণ। বেশির ভাগ ট্রেনের টয়লেট নোংরা এবং অস্বাস্থ্যকর থাকার অভিযোগ অনেক পুরনো। কোচ-বগিগুলোতে দেখা যায় অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্নতার ছাপ। যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বাড়িয়ে দেয় ট্রেনের এলোমেলো সময়সূচি আর রক্ষণাবেক্ষণের ঘাটতির কারণে ঘটে যাওয়া ছোট-বড় দুর্ঘটনা।

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ সিএমপি কমিশনারের”

সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র সাবমেশিনগান (এসএমজি) থেকে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ। মঙ্গলবার দুপুরে মৌখিকভাবে নিজস্ব বেতার বার্তায় থানা ও টহল পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে এ নির্দেশনা দেন তিনি। বেতার বার্তায় পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘শটগান হবে না, চায়না রাইফেলও বাদ, এখন এসএমজি ব্রাশফায়ার মুডে থাকবে।’ বেতার বার্তায় যেকোনো পরিস্থিতি এবং নাশকতা এড়াতে টহল টিমগুলোকে এসএমজি ছাড়াও শটগান, দুইটি গ্যাসগান এবং টিম ইনচার্জকে নাইন এমএম পিস্তল বহন করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া স্থায়ী চেকপোস্ট ৭টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করতে নির্দেশ দিয়েছেন কমিশনার। সব দায় কমিশনার বহন করবেন বলে জানান।
বিষয়টি স্বীকার করে নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাইরে থেকে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে নগরবাসীকে গুলি করে চলে যাবে, তা হতে পারে না। এ জন্য সন্ত্রাসীদের দেখামাত্র এসএমজি দিয়ে ব্রাশফায়ার করার নির্দেশ দিয়েছি। দেখামাত্র ব্রাশফায়ার নিরস্ত্র জনসাধারণের জন্য নয়। যার হাতে অস্ত্র নেই, তার ওপর তো আর এসএমজি ইউজ করব না।’এক প্রশ্নের উত্তরে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ সংগঠন। আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ এই জঙ্গি সংগঠন অরাজকতা করতে রাস্তায় নামলে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। গুলি চালানো হবে না। গ্রেপ্তার করে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হবে। পাঠানো হবে আদালতে।’