এলাহাবাদ থেকে ইভো-র দলটিকেও অন্দলে সরিয়ে আনা হয়। ইভোসহ আরো তিনশজন “জিআই” তখনো ১১০৬ অর্ডন্যান্স গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত এবং এরা সবাই মেরিল্যান্ডের অ্যাবারডীন ট্রেনিং স্কুলে ট্রেনিংপ্রাপ্ত। ১৯৪৩ সালের ১ জানুয়ারি আরেক দফায় প্রমোশন পেয়ে ইভো সার্জেন্ট পদে উন্নীত হন।” অন্দলে আসার দুই সপ্তাহ বাদে নিজের পছন্দমাফিক বিশজনকে সঙ্গে নিয়ে ইতো ৪৯০তম বিএস-এতে যোগদান করেন।
স্মৃতিচারণ করে ইভো বলেন যে শেখায়, বিশেষ করে বি-২৫সি বোমারু প্লেনে কিভাবে নিরাপদে ও নির্ভুলভাবে। “অর্ডন্যান্স গ্রুপ থেকে আসা আমরা এই একুশজন বোমা ‘লোডিং’ টেকনিক ‘লোডিং’ করতে হয়, সেই টেকনিক রপ্ত করায় মনোনিবেশ করি”।

সদ্য গঠিত ৪৯০তম বিএস-এর প্রথম অপারেশনাল ঘাঁটি, ১৯৪৩ সালের জানুয়ারি মাসের শুরুতে ঘাঁটিটি পশ্চিম বঙ্গের অন্দলে সরিয়ে আনা হয়, শান্তিনিকেতন থেকে মাত্র ত্রিশ মাইল পশ্চিমে।
অন্দলে, ৪৯০তম বিএস-এর প্রথম বোমাবর্ষণ মিশনের সূচনা হয় ১৯৪৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি। ছয়টি বি-২৫ বোমারু বিমানকে পাঠানো হয় “সাগাইং” রেলস্টেশনের (মিয়ানমার) সন্নিহিত জায়গায় বোমাবর্ষণ করতে।
১৯৪২ সালের ডিসেম্বর মাসের শুরুর দিকে, ব্রিটিশ ও ভারতীয় বাহিনী চট্টগ্রামের দক্ষিণ দিক থেকে বার্মার (মিয়ানমার) দিকে অগ্রসর হয় এবং আরাকানে জাপানি সেনাবাহিনীকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করে। অবশ্য জাপানিদের সঙ্গে ব্রিটিশরা খুব একটা সুবিধা করতে পারছিল না।
বরং প্রতি জবাব দিতে, ১৯৪৩ সালের ১১ মে বার্মার আরাকান ফ্রন্টে জাপান ব্রিটিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জাপানিদের প্রচণ্ডতার মুখে ব্রিটিশ বাহিনী কি করি না করি অবস্থায় পড়ে।
এই আরাকান ক্যাম্পেন শেষপর্যন্ত ব্রিটিশ বাহিনীর জন্য ‘ছেড়ে দে মা কেন্দে বাঁচি’ অবস্থার সৃষ্টি করে এবং “ব্রিটিশ ভারত পনেরোশতম” বাহিনী। পশ্চাদপসরণ করে কক্সবাজারে চলে আসতে বাধ্য হয়।
(চলবে)
নাঈম হক 


















