১১:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
জাপানে বাড়ছে ভাল্লুক আতঙ্ক: নিরাপত্তা জোরদারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ বইমেলায় ৩০০ শিশুর লেখক অভিষেক দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩) শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি আল-ওথমান মসজিদের পুনঃস্থাপন কাজ শেষের পথে, রমজানের আগেই পুনরায় খোলা হবে ভুলভাবে উপস্থাপিত বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা ফখরুল দিল্লিতে হামলার ছক তৈরির অভিযোগে ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল ঢাকা ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১২ জন সূত্রাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুনে আতঙ্ক হামাস যোদ্ধাদের আটকে থাকা পরিস্থিতি গাজা চুক্তির অগ্রগতি ব্যাহত করছে

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩)

  • নাঈম হক
  • ০৯:০০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
  • 6

জাহাজে যাত্রা করলেও থাকা-খাওয়ার পৃথক ব্যবস্থা হওয়ার দরুণ ইভো ও আর্নল্ডের মধ্যে জাহাজে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি।

স্টিভেন স্পিলবার্গের পিতা আর্নল্ড স্পিলবার্গও সান্তা-পাউলা’র সেনা-আরোহী হয়ে করাচি বন্দরে আসেন। সে যাহোক, সেই প্রায় মাস দুয়েক পূর্বে আর্নল্ড যখন জাহাজে প্রথম আরোহণ করেন, ডেকের নিচে বসবাসের আসল পরিস্থিতি কি হতে পারে বুঝতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। তিনি তখন আরেকজন জিআই-কে (কথ্যভাষায় যুক্তরাষ্ট্রে সৈনিককে ‘জিআই’ ডাকা হয়) সঙ্গে নিয়ে, সামরিক অফিসারদের জন্য উপরকার ডেকে নির্দিষ্ট করে রাখা কেবিনের একটিতে ঢুকে পড়েন।

ঢুকেই তাঁরা কেবিনের খিল আঁটকে দেন এবং জাহাজ চলা শুরু করার পরে খিল খুলে দেন। এই উপস্থিত বুদ্ধির বদৌলতে আর্নল্ড ও তার সঙ্গি কেবিনে থাকার আরাম উপভোগ করতে করতে করাচি পর্যন্ত আসেন। আবার একই জাহাজে যাত্রা করলেও থাকা-খাওয়ার পৃথক ব্যবস্থা হওয়ার দরুণ ইভো ও আর্নল্ডের মধ্যে জাহাজে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি।

সান্তা-পাউলায় আগত জিআই-দেরকে প্রথমে করাচির উত্তরে অবস্থিত “মিলায়ার” বিমানঘাঁটিতে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে এলাহাবাদে স্থান্তরিত করা হয়। এলাহাবাদে অবস্থানকালে ইভো প্রমোশন পেয়ে ‘কর্পোরেল’ হন।

ইত্যবসরে, ১৯৪২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, করাচিতে “এগারোতম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রন’-কে ভাগ করে “৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রন (বিএস) গঠিত হয়। সদ্য গঠিত ৪৯০তম বিএস-এতে ছিল মাত্র নাতাল্লিশজন কর্মচারী এবং ২২ নভেম্বর স্কোয়াড্রনকে প্রথম বোমারু প্লেন “বি-২৫সি” দেয়া হয়। দ্রুততার সঙ্গে কর্মচারীর ও প্লেনের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্কোয়াড্রনটিকে বড়ো করা হতে থাকে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৪৯০তম বিএস “বি-২৫সি” ও “বি-২৬ডি” বোমারু প্লেন ব্যবহার করে।

এরমধ্যে “বি-২৫সি” সবচেয়ে বিখ্যাত বা বিখ্যাততম বোমারু প্লেনে পরিণত হয়, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ‘মিডিয়াম বোম্বার’ শ্রেণিভুক্ত প্লেনের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক হারে “বি-২৫সি” ব্যবহার করে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও মিত্রবাহিনীর অন্যান্য অংশিদাররাও “বি-২৫সি”-কে ব্যাপকভাবে রণাঙ্গণে ব্যবহার করে।

“বি-২৫সি”-এর উড়ন্ত-পরিধি বা ফ্লাইং রেঞ্জ ছিল ১৫০০ মাইল, ঘণ্টা প্রতি “ক্রুজ স্পীড” ছিল ২৩৩ মাইল এবং মিশন চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন নাবিক বহন করতে পারত। তদুপরি, তিন হাজার পাউন্ড বোমা বহনে সক্ষম ছিল।

বি-২৫সি এবং বি-২৬ডি- উভয় বোম্বারই ছিল হুবহু একই প্লেন, ব্যতিক্রম ছিল যে বি-২৫সি তৈরি হতো ক্যালিফোর্নিয়ার ইংগলউড-এ, আর বি-২৬ডি নির্মিত হতো ক্যানসাস সিটি প্ল্যান্টে। এগুলোর সরবরাহ শুরু হয় ১৯৪২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

জনপ্রিয় সংবাদ

জাপানে বাড়ছে ভাল্লুক আতঙ্ক: নিরাপত্তা জোরদারে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩)

০৯:০০:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

জাহাজে যাত্রা করলেও থাকা-খাওয়ার পৃথক ব্যবস্থা হওয়ার দরুণ ইভো ও আর্নল্ডের মধ্যে জাহাজে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি।

স্টিভেন স্পিলবার্গের পিতা আর্নল্ড স্পিলবার্গও সান্তা-পাউলা’র সেনা-আরোহী হয়ে করাচি বন্দরে আসেন। সে যাহোক, সেই প্রায় মাস দুয়েক পূর্বে আর্নল্ড যখন জাহাজে প্রথম আরোহণ করেন, ডেকের নিচে বসবাসের আসল পরিস্থিতি কি হতে পারে বুঝতে তাঁর অসুবিধা হয়নি। তিনি তখন আরেকজন জিআই-কে (কথ্যভাষায় যুক্তরাষ্ট্রে সৈনিককে ‘জিআই’ ডাকা হয়) সঙ্গে নিয়ে, সামরিক অফিসারদের জন্য উপরকার ডেকে নির্দিষ্ট করে রাখা কেবিনের একটিতে ঢুকে পড়েন।

ঢুকেই তাঁরা কেবিনের খিল আঁটকে দেন এবং জাহাজ চলা শুরু করার পরে খিল খুলে দেন। এই উপস্থিত বুদ্ধির বদৌলতে আর্নল্ড ও তার সঙ্গি কেবিনে থাকার আরাম উপভোগ করতে করতে করাচি পর্যন্ত আসেন। আবার একই জাহাজে যাত্রা করলেও থাকা-খাওয়ার পৃথক ব্যবস্থা হওয়ার দরুণ ইভো ও আর্নল্ডের মধ্যে জাহাজে পরিচিত হওয়ার সুযোগ ঘটেনি।

সান্তা-পাউলায় আগত জিআই-দেরকে প্রথমে করাচির উত্তরে অবস্থিত “মিলায়ার” বিমানঘাঁটিতে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে এলাহাবাদে স্থান্তরিত করা হয়। এলাহাবাদে অবস্থানকালে ইভো প্রমোশন পেয়ে ‘কর্পোরেল’ হন।

ইত্যবসরে, ১৯৪২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর, করাচিতে “এগারোতম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রন’-কে ভাগ করে “৪৯০তম বোম্বার্ডমেন্ট স্কোয়াড্রন (বিএস) গঠিত হয়। সদ্য গঠিত ৪৯০তম বিএস-এতে ছিল মাত্র নাতাল্লিশজন কর্মচারী এবং ২২ নভেম্বর স্কোয়াড্রনকে প্রথম বোমারু প্লেন “বি-২৫সি” দেয়া হয়। দ্রুততার সঙ্গে কর্মচারীর ও প্লেনের সংখ্যা বৃদ্ধির মাধ্যমে স্কোয়াড্রনটিকে বড়ো করা হতে থাকে। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ৪৯০তম বিএস “বি-২৫সি” ও “বি-২৬ডি” বোমারু প্লেন ব্যবহার করে।

এরমধ্যে “বি-২৫সি” সবচেয়ে বিখ্যাত বা বিখ্যাততম বোমারু প্লেনে পরিণত হয়, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় ‘মিডিয়াম বোম্বার’ শ্রেণিভুক্ত প্লেনের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র ব্যাপক হারে “বি-২৫সি” ব্যবহার করে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও মিত্রবাহিনীর অন্যান্য অংশিদাররাও “বি-২৫সি”-কে ব্যাপকভাবে রণাঙ্গণে ব্যবহার করে।

“বি-২৫সি”-এর উড়ন্ত-পরিধি বা ফ্লাইং রেঞ্জ ছিল ১৫০০ মাইল, ঘণ্টা প্রতি “ক্রুজ স্পীড” ছিল ২৩৩ মাইল এবং মিশন চলাকালীন সময়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন নাবিক বহন করতে পারত। তদুপরি, তিন হাজার পাউন্ড বোমা বহনে সক্ষম ছিল।

বি-২৫সি এবং বি-২৬ডি- উভয় বোম্বারই ছিল হুবহু একই প্লেন, ব্যতিক্রম ছিল যে বি-২৫সি তৈরি হতো ক্যালিফোর্নিয়ার ইংগলউড-এ, আর বি-২৬ডি নির্মিত হতো ক্যানসাস সিটি প্ল্যান্টে। এগুলোর সরবরাহ শুরু হয় ১৯৪২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে।

(চলবে)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২)