০৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩  বিচারকের বাসায় হামলা: ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী হাসপাতালে জাতীয় ঈদগাহের সামনে ড্রামে মিলল খণ্ডিত মরদেহ: রাজধানীতে চাঞ্চল্য চার্টার ভাঙলে দায় নেবে না বিএনপি: প্রধান উপদেষ্টাকে খসরুর কড়া সতর্কবার্তা সিলেট টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের ইনিংস ব্যবধানে জয়ের দোরগোড়ায় বাওতোকে কেন্দ্র করে চীনের রেয়ার আর্থ শিল্পে বড় রূপান্তর ভারতে জার্মান কায়দায় রিসিন সন্ত্রাস হামলার প্রস্তুতির অভিযোগ গুজরাটে রিচিন হামলা ষড়যন্ত্র: মুজাফ্‌ফরনগরের একই মাদ্রাসায় পড়তেন দুই অভিযুক্ত কাফরুল থানার সামনে ককটেল নিক্ষেপ: পালানোর সময় যুবক আটক তাইওয়ানি ইনফ্লুয়েন্সারের মৃত্যু: মালয়েশিয়ান র‍্যাপার নেমউই জামিনে মুক্ত, তদন্ত চলছে

মালয়েশিয়ায় ৪০০–এর বেশি বাংলাদেশি শ্রমিকের বেতন বঞ্চনা ও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর অভিযোগ

মালয়েশিয়া থেকে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ ও নভেম্বরের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আসা ৪০০–এর বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন যে বিভিন্ন কারখানা তাদের মাসের পর মাস বেতন দেয়নি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখেছে এবং বকেয়া দাবি তোলার পর জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ৬–৯ নভেম্বর ঢাকাায় ফিরে আসা শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে জরুরি সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানান।

মাসের পর মাস বেতনহীন শ্রম ও অস্বাস্থ্যকর আবাসন

মেডিসেরাম ও কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং–এ কাজ করা শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা ছয় থেকে আট মাস ধরে পূর্ণ বেতন পাননি। অনেকে জানিয়েছেন সঙ্কুচিত ডরমিটরি, অযৌক্তিক কাটছাঁট, বেতন স্লিপ আটকে রাখা এবং মৌলিক সুবিধার ঘাটতির কথা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় বহু শ্রমিক ৫–৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যা এখন তাদের আরও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।

Malaysian firms accused of exploiting Bangladeshi workers in wage dispute |  South China Morning Post

অভিযোগ তোলার পর জোরপূর্বক দেশে ফেরত

২–৫ নভেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার কারখানা প্রতিনিধিরা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শ্রমিকদের অভিযোগ তোলার পর জোর করে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি উঠেছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাদের সরাসরি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়। আবার অনেকের ওয়ার্ক পারমিট ইচ্ছাকৃতভাবে নবায়ন করা হয়নি, ফলে তারা গ্রেফতার ও অভিযানের ঝুঁকিতে পড়েন।

ঢাকার ব্যাখ্যা চাওয়া ও আলোচনার চাপ

বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এসব অভিযোগ পেয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চেয়েছে। ঠিক এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন নিয়োগ কাঠামো নিয়ে আলোচনা চলছে। শ্রম অধিকার সংগঠনগুলোর মতে, দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিক এখনো মারাত্মক শোষণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩৩

মালয়েশিয়ায় ৪০০–এর বেশি বাংলাদেশি শ্রমিকের বেতন বঞ্চনা ও জোরপূর্বক ফেরত পাঠানোর অভিযোগ

০৫:৩৪:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৫

মালয়েশিয়া থেকে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ ও নভেম্বরের প্রথম দিকে দেশে ফিরে আসা ৪০০–এর বেশি বাংলাদেশি শ্রমিক অভিযোগ করেছেন যে বিভিন্ন কারখানা তাদের মাসের পর মাস বেতন দেয়নি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রেখেছে এবং বকেয়া দাবি তোলার পর জোরপূর্বক দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। ৬–৯ নভেম্বর ঢাকাায় ফিরে আসা শ্রমিকরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে জরুরি সরকারি পদক্ষেপের দাবি জানান।

মাসের পর মাস বেতনহীন শ্রম ও অস্বাস্থ্যকর আবাসন

মেডিসেরাম ও কাওয়াগুচি ম্যানুফ্যাকচারিং–এ কাজ করা শ্রমিকদের অভিযোগ, তারা ছয় থেকে আট মাস ধরে পূর্ণ বেতন পাননি। অনেকে জানিয়েছেন সঙ্কুচিত ডরমিটরি, অযৌক্তিক কাটছাঁট, বেতন স্লিপ আটকে রাখা এবং মৌলিক সুবিধার ঘাটতির কথা। বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় বহু শ্রমিক ৫–৬ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যা এখন তাদের আরও দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।

Malaysian firms accused of exploiting Bangladeshi workers in wage dispute |  South China Morning Post

অভিযোগ তোলার পর জোরপূর্বক দেশে ফেরত

২–৫ নভেম্বর পর্যন্ত মালয়েশিয়ার কারখানা প্রতিনিধিরা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা শ্রমিকদের অভিযোগ তোলার পর জোর করে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেছেন বলে দাবি উঠেছে। কেউ কেউ জানিয়েছেন, তাদের সরাসরি কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে দেওয়া হয়। আবার অনেকের ওয়ার্ক পারমিট ইচ্ছাকৃতভাবে নবায়ন করা হয়নি, ফলে তারা গ্রেফতার ও অভিযানের ঝুঁকিতে পড়েন।

ঢাকার ব্যাখ্যা চাওয়া ও আলোচনার চাপ

বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা এসব অভিযোগ পেয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে মালয়েশিয়ার কাছে আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা চেয়েছে। ঠিক এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে নতুন নিয়োগ কাঠামো নিয়ে আলোচনা চলছে। শ্রম অধিকার সংগঠনগুলোর মতে, দীর্ঘদিনের কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে হাজারো বাংলাদেশি শ্রমিক এখনো মারাত্মক শোষণের ঝুঁকিতে রয়েছেন।