০৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

টানা সাত দিনের পতনে ঢাক–চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, লেনদেন সংকুচিত

টানা সাত দিন ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দুই শেয়ারবাজারেই স্পষ্ট পতন, দুর্বল লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি-বিমুখ মনোভাব দেখা গেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, নীতিগত পরিবর্তন, ব্যাংকিং সেক্টরের অস্থিরতা এবং প্রতিষ্ঠানগত আয়সংকোচন—সব মিলিয়ে বাজারে ধারাবাহিক বিক্রির চাপ তৈরি হয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসই ও সিএসই—উভয় শেয়ারবাজারে সূচকপতন, দুর্বল লেনদেন এবং বাজারজুড়ে চাপের প্রবণতা দেখা গেছে। কয়েকটি সেশনে বড় ধস এবং টার্নওভার সংকোচনের ফলে সামগ্রিক বাজার-চিত্র আরও নেতিবাচক হয়েছে।

সাত দিনের ধারাবাহিক চিত্র

  • বেশ কয়েকটি সেশনে ডিএসই ৫০১৫০ পয়েন্টের পতন দেখেছে।
  • কিছু দিনে টার্নওভার ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে—যা সাম্প্রতিক কয়েক মাসের মধ্যেও সর্বনিম্ন পর্যায়।
  • সিএসইতেও ক্যাসপি সূচকে বড় পতন; অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে।

যা ঘটেছে — গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যামাণ

  • ডিএসইএক্স সূচক সর্বশেষ হিসেবে ১২২ পয়েন্ট কমেছে।
  • মোট লেনদেনকৃত ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে; ৩৫২টি কমেছে।
  • একাধিক সেশনে ডিএসই সূচক ৫০০০ পয়েন্টের নিচে গেছে—যা বাজারের মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়িয়েছে।

বাজার পতনের প্রধান কারণ

১. রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নির্বাচনী পরিবেশ
বিনিয়োগকারীরা ‘অপেক্ষা–দেখা’ অবস্থানে চলে গেছেন; নতুন বিনিয়োগ স্থগিত।

২. মার্জিন-নিয়ম পরিবর্তন ও ব্যাংক একীভূতকরণ
ব্যাংকিং খাতকেন্দ্রিক নীতিগত সিদ্ধান্ত বাজারে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।

৩. তরলতা সংকোচন
লেনদেন কমে যাওয়ায় বিক্রির চাপ সূচকের পতনকে আরও তীব্র করেছে।

৪. আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সতর্কতা
বৈশ্বিক বাজারের ঝুঁকি, সুদের হার পরিস্থিতি ও সতর্ক মনোভাব স্থানীয় বাজারকে প্রভাবিত করছে।

৫. প্রতিষ্ঠানগত আয়সংকোচন
কম লাভ ও কম ডিভিডেন্ড ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হয়েছে।

বাজার মনোবৃত্তিবিনিয়োগকারীর কণ্ঠ

ক্ষুদ্র–মাঝারি বিনিয়োগকারীরা বলছেন—“এখন মূলধন রক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য; লাভের আশা আপাতত দূরের।” বাজারজুড়ে সেল–অফ প্রবণতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

ঝুঁকি ও প্রতিকার

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলে তরলতা আরও কমে যেতে পারে এবং বড় ধরনের বাজারপতনের ঝুঁকি থেকে যেতে পারে।

সম্ভাব্য প্রতিকার:

  • স্বচ্ছ নীতিগত ঘোষণা আস্থা তৈরি করতে পারে।
  • তারল্য বাড়াতে লেনদেন-উদ্দীপক ব্যবস্থা জরুরি।
  • নির্বাচনী স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত বাজারে ইতিবাচক মনোভাব ফিরিয়ে আনতে পারে।

সাত দিনের ডেটাশিট

ডিএসইএক্স সূচক পরিবর্তন (শেষ ৭ দিন)

দিন ডিএসইএক্স ক্লোজিং দৈনিক পরিবর্তন
১ম দিন ৫৭১০ -১১০
২য় দিন ৫৬৪৫ -৬৫
৩য় দিন ৫৫৭৫ -৭০
৪র্থ দিন ৫৫২৪ -৫১
৫ম দিন ৫৪৪৭ -৭৭
৬ষ্ঠ দিন ৫৩৪৬ -১০১
৭ম দিন ৫১৫৪ -১৯২

দৈনিক টার্নওভার (ডিএসই)

দিন টার্নওভার (কোটি টাকা)
১ম দিন ৪২৫
২য় দিন ৩৯৭
৩য় দিন ৩৬২
৪র্থ দিন ৩৯৮
৫ম দিন ৩২০
৬ষ্ঠ দিন ২৮৩
৭ম দিন ২৭০
জনপ্রিয় সংবাদ

আশিয়া ইসলামী’র “ফুড ফর শেয়ারিং”–

টানা সাত দিনের পতনে ঢাক–চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, লেনদেন সংকুচিত

০৩:৪৪:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫

টানা সাত দিন ধরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দুই শেয়ারবাজারেই স্পষ্ট পতন, দুর্বল লেনদেন এবং বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি-বিমুখ মনোভাব দেখা গেছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা, নীতিগত পরিবর্তন, ব্যাংকিং সেক্টরের অস্থিরতা এবং প্রতিষ্ঠানগত আয়সংকোচন—সব মিলিয়ে বাজারে ধারাবাহিক বিক্রির চাপ তৈরি হয়েছে।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসই ও সিএসই—উভয় শেয়ারবাজারে সূচকপতন, দুর্বল লেনদেন এবং বাজারজুড়ে চাপের প্রবণতা দেখা গেছে। কয়েকটি সেশনে বড় ধস এবং টার্নওভার সংকোচনের ফলে সামগ্রিক বাজার-চিত্র আরও নেতিবাচক হয়েছে।

সাত দিনের ধারাবাহিক চিত্র

  • বেশ কয়েকটি সেশনে ডিএসই ৫০১৫০ পয়েন্টের পতন দেখেছে।
  • কিছু দিনে টার্নওভার ৩০০ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে—যা সাম্প্রতিক কয়েক মাসের মধ্যেও সর্বনিম্ন পর্যায়।
  • সিএসইতেও ক্যাসপি সূচকে বড় পতন; অধিকাংশ শেয়ারের দর কমেছে।

যা ঘটেছে — গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যামাণ

  • ডিএসইএক্স সূচক সর্বশেষ হিসেবে ১২২ পয়েন্ট কমেছে।
  • মোট লেনদেনকৃত ৩৮৪ কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৫টি বেড়েছে; ৩৫২টি কমেছে।
  • একাধিক সেশনে ডিএসই সূচক ৫০০০ পয়েন্টের নিচে গেছে—যা বাজারের মনস্তাত্ত্বিক চাপ বাড়িয়েছে।

বাজার পতনের প্রধান কারণ

১. রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নির্বাচনী পরিবেশ
বিনিয়োগকারীরা ‘অপেক্ষা–দেখা’ অবস্থানে চলে গেছেন; নতুন বিনিয়োগ স্থগিত।

২. মার্জিন-নিয়ম পরিবর্তন ও ব্যাংক একীভূতকরণ
ব্যাংকিং খাতকেন্দ্রিক নীতিগত সিদ্ধান্ত বাজারে অস্থিরতা বাড়াচ্ছে।

৩. তরলতা সংকোচন
লেনদেন কমে যাওয়ায় বিক্রির চাপ সূচকের পতনকে আরও তীব্র করেছে।

৪. আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সতর্কতা
বৈশ্বিক বাজারের ঝুঁকি, সুদের হার পরিস্থিতি ও সতর্ক মনোভাব স্থানীয় বাজারকে প্রভাবিত করছে।

৫. প্রতিষ্ঠানগত আয়সংকোচন
কম লাভ ও কম ডিভিডেন্ড ঘোষণায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা দুর্বল হয়েছে।

বাজার মনোবৃত্তিবিনিয়োগকারীর কণ্ঠ

ক্ষুদ্র–মাঝারি বিনিয়োগকারীরা বলছেন—“এখন মূলধন রক্ষা করাই প্রধান লক্ষ্য; লাভের আশা আপাতত দূরের।” বাজারজুড়ে সেল–অফ প্রবণতা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।

ঝুঁকি ও প্রতিকার

রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা অব্যাহত থাকলে তরলতা আরও কমে যেতে পারে এবং বড় ধরনের বাজারপতনের ঝুঁকি থেকে যেতে পারে।

সম্ভাব্য প্রতিকার:

  • স্বচ্ছ নীতিগত ঘোষণা আস্থা তৈরি করতে পারে।
  • তারল্য বাড়াতে লেনদেন-উদ্দীপক ব্যবস্থা জরুরি।
  • নির্বাচনী স্থিতিশীলতার ইঙ্গিত বাজারে ইতিবাচক মনোভাব ফিরিয়ে আনতে পারে।

সাত দিনের ডেটাশিট

ডিএসইএক্স সূচক পরিবর্তন (শেষ ৭ দিন)

দিন ডিএসইএক্স ক্লোজিং দৈনিক পরিবর্তন
১ম দিন ৫৭১০ -১১০
২য় দিন ৫৬৪৫ -৬৫
৩য় দিন ৫৫৭৫ -৭০
৪র্থ দিন ৫৫২৪ -৫১
৫ম দিন ৫৪৪৭ -৭৭
৬ষ্ঠ দিন ৫৩৪৬ -১০১
৭ম দিন ৫১৫৪ -১৯২

দৈনিক টার্নওভার (ডিএসই)

দিন টার্নওভার (কোটি টাকা)
১ম দিন ৪২৫
২য় দিন ৩৯৭
৩য় দিন ৩৬২
৪র্থ দিন ৩৯৮
৫ম দিন ৩২০
৬ষ্ঠ দিন ২৮৩
৭ম দিন ২৭০