ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলায় টানা দুই দিনে রেললাইনে আগুন দেওয়ার ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতি বড় ধরনের প্রশ্ন তুলেছে। পরপর এমন অগ্নিসংযোগ পরিকল্পিত নাশকতার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে উদ্বেগ বাড়ছে।
স্থান এবং ঘটনার সারাংশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার ভাতশালা এলাকায় বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে আবারও রেললাইনে আগুন দেওয়া হয়। এর আগের দিন মধ্যরাতে একই এলাকার কাছাকাছি স্থানে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়েছিল।
ট্রেন চলাচলে দৃষ্টিগোচর প্রভাব
ঘটনার কারণে কিছু সময়ের জন্য ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। উদাহরণস্বরূপ, চট্টগ্রামগামী ‘মহানগর এক্সপ্রেস’ ট্রেন প্রায় ১৫ মিনিট ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আটকা পড়ে। পরে রাত ১২টার দিকে ট্রেনটি স্টেশন ছাড়ে। যদিও একাধিক সূত্র জানায়, ট্রেন চলাচলে বড় কোনো বিপর্যয় সৃষ্টি হয়নি।

পুলিশ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রতিক্রিয়া
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তরা রেললাইনে আগুন দেয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরও জানান, বর্তমানে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী রেলস্টেশন ও আশপাশের এলাকায় নজরদারি এবং নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
বিশ্লেষণ ও উদ্বেগ
একই এলাকায় পরপর আগুন লাগার ঘটনা এটিকে কেবল দৈব দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিত নাশকতা হিসেবে দেখার ইঙ্গিত দেয়। রেললাইন বা রেলস্টেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় এমন কর্মকাণ্ড সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন ব্যবস্থার জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করে।
যদিও বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, নিরাপত্তা জোরদার করার প্রয়োজন স্পষ্ট হয়েছে। দ্রুত প্রতিক্রিয়ার ফলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও, ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে বড় বিপর্যয়ের সম্ভাবনা থেকেই যায়।
#ব্রাহ্মণবাড়িয়া #রেললাইন #আগ্নিকাণ্ড #নিরাপত্তা #সারাদেশ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















