০৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫
দুবাই থেকে শুরু, চার মহাদেশে ‘মাই স্টোরি’ ট্যুরে যাচ্ছেন ইয়ো ইয়ো হানি সিং ধেপা নদী: উত্তরবঙ্গের জীবন, ইতিহাস ও সংস্কৃতির হৃদস্পন্দন কুষ্টিয়ায় ট্রাক পুড়িয়ে দেওয়া: ভোরের হামলায় বাড়ছে উদ্বেগ নতুন আয়রন-গ্রে পুলিশ ইউনিফর্ম নিয়ে জনমতের মিশ্র প্রতিক্রিয়া বাংলাদেশিরা মালয়েশিয়ায় আটক বারিশালে বাস চলাচল বন্ধ: সংঘর্ষের পর ১৫০ যানবাহন ভাঙচুর চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রলি উল্টে নিহত ১, আহত ২ আবারও বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত, এবার লক্ষ্মীপুরে নারায়ণগঞ্জে কৃষক দল নেতার ওপর ছুরিকাঘাত: মাদককারবারীদের হামলার অভিযোগ রাজধানীসহ চার জেলায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন

বারিশালে বাস চলাচল বন্ধ: সংঘর্ষের পর ১৫০ যানবাহন ভাঙচুর

শনিবার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের পর রবিবার সকাল থেকে বারিশালের সঙ্গে দেশের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১৫০টির বেশি বাস ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের কারণ
মুলাদী থেকে বারিশালগামী একটি বাসে অর্ধেক ভাড়া দিতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বিএম কলেজ ছাত্রের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের কথা কাটাকাটির জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে কয়েকশ শিক্ষার্থী টার্মিনালে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পরিবহন শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরা ১০০টির বেশি বাস ভাঙচুর করেছে, টার্মিনাল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং টিকিট কাউটার ভেঙে টাকা লুট করেছে। একটি বাসে আগুনও দেওয়া হয়, যদিও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রমিকদের দাবি, তাদের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে এবং টিকিট কাউন্টারগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পাল্টা অভিযোগ
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, শ্রমিকরাই বাসগুলো ভাঙচুর করেছে এবং একটি বাসে আগুন দিয়ে দোষ শিক্ষার্থীদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছে।

ঘটনাস্থলের চিত্র
রবিবার সকাল টার্মিনাল পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি বাসের কাঁচ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। মালিক সমিতির নেতারা জানান, তাদের মোট ১৯০টি বাসের মধ্যে ১৫০টিই টার্মিনালে ছিল এবং সবগুলোই ভাঙচুর করা হয়েছে। বাকি ৪০টি বাস ঘটনাস্থলে ছিল না। ক্ষতিগ্রস্ত কোনো বাসই বড় মেরামত ছাড়া রাস্তায় নামার উপযোগী নয়।

বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে কোনো ধর্মঘট ডাকা না হলেও সব রুটেই তারা বাস চালানো বন্ধ রেখেছে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকেও বারিশালমুখী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।

দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য টার্মিনালে আসা সরকারি কর্মচারী আহসান মোহাম্মদ বলেন, এত দূর যাত্রার জন্য বিকল্প কোনো পরিবহন নেই।

মালিকদের বক্তব্য
বারিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা কোনো ধর্মঘট ডাকিনি। কিন্তু একটি বাসও অক্ষত নেই—আমরা কি চালাব?” তিনি জানান, দূরপাল্লার বাসমালিকরাও নিরাপত্তার কারণে চলাচল বন্ধ করে দিতে পারেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকার মতো।

জনপ্রিয় সংবাদ

দুবাই থেকে শুরু, চার মহাদেশে ‘মাই স্টোরি’ ট্যুরে যাচ্ছেন ইয়ো ইয়ো হানি সিং

বারিশালে বাস চলাচল বন্ধ: সংঘর্ষের পর ১৫০ যানবাহন ভাঙচুর

০৪:১২:৫৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

শনিবার নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষের পর রবিবার সকাল থেকে বারিশালের সঙ্গে দেশের সব রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সংঘর্ষে অন্তত ১৫০টির বেশি বাস ভাঙচুর হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সংঘর্ষের কারণ
মুলাদী থেকে বারিশালগামী একটি বাসে অর্ধেক ভাড়া দিতে চাওয়াকে কেন্দ্র করে এক বিএম কলেজ ছাত্রের সঙ্গে বাস শ্রমিকদের কথা কাটাকাটির জেরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে কয়েকশ শিক্ষার্থী টার্মিনালে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
পরিবহন শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীরা ১০০টির বেশি বাস ভাঙচুর করেছে, টার্মিনাল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং টিকিট কাউটার ভেঙে টাকা লুট করেছে। একটি বাসে আগুনও দেওয়া হয়, যদিও ফায়ার সার্ভিস দ্রুত তা নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রমিকদের দাবি, তাদের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে এবং টিকিট কাউন্টারগুলো সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের পাল্টা অভিযোগ
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ অস্বীকার করে জানায়, শ্রমিকরাই বাসগুলো ভাঙচুর করেছে এবং একটি বাসে আগুন দিয়ে দোষ শিক্ষার্থীদের উপর চাপানোর চেষ্টা করেছে।

ঘটনাস্থলের চিত্র
রবিবার সকাল টার্মিনাল পরিদর্শনে দেখা যায়, সারি সারি বাসের কাঁচ ভাঙা অবস্থায় পড়ে আছে। মালিক সমিতির নেতারা জানান, তাদের মোট ১৯০টি বাসের মধ্যে ১৫০টিই টার্মিনালে ছিল এবং সবগুলোই ভাঙচুর করা হয়েছে। বাকি ৪০টি বাস ঘটনাস্থলে ছিল না। ক্ষতিগ্রস্ত কোনো বাসই বড় মেরামত ছাড়া রাস্তায় নামার উপযোগী নয়।

বাস চলাচল বন্ধ, যাত্রীদের দুর্ভোগ
শ্রমিক ও মালিকদের পক্ষ থেকে কোনো ধর্মঘট ডাকা না হলেও সব রুটেই তারা বাস চালানো বন্ধ রেখেছে। ঢাকাসহ অন্যান্য জেলা থেকেও বারিশালমুখী বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে, ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন।

দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রীদের ভোগান্তি বেড়েছে। কুষ্টিয়া যাওয়ার জন্য টার্মিনালে আসা সরকারি কর্মচারী আহসান মোহাম্মদ বলেন, এত দূর যাত্রার জন্য বিকল্প কোনো পরিবহন নেই।

মালিকদের বক্তব্য
বারিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা কোনো ধর্মঘট ডাকিনি। কিন্তু একটি বাসও অক্ষত নেই—আমরা কি চালাব?” তিনি জানান, দূরপাল্লার বাসমালিকরাও নিরাপত্তার কারণে চলাচল বন্ধ করে দিতে পারেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকার মতো।