বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বিস্তৃত রদবদল করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন পদায়ন ও বদলির মাধ্যমে ১৫ জন কর্মকর্তাকে বিভিন্ন ইউনিট, জেলা ও বিশেষ শাখায় পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যা অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
বড় পরিসরের পরিবর্তন
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চ পদে একটি বড় পরিসরের রদবদল করেছে। রবিবার ১৬ নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা দুটি প্রজ্ঞাপনে মোট ১৫ জন কর্মকর্তাকে নতুন দায়িত্বে বদলি বা পদায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুরো কার্যক্রম তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রদবদলের নির্দেশনায় পুলিশ সদর দপ্তর, বিভাগীয় ইউনিট, মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং বিশেষায়িত ইউনিটসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মকর্তাদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
নতুন পদায়ন: ডিআইজি পর্যায়
শিল্পাঞ্চল পুলিশের ডিআইজি মো. ইসরাইল হাওলাদারকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের নতুন কমিশনার করা হয়েছে।
পুলিশ অধিদপ্তরের ডিআইজি কাজী মো. ফজলুল করিমকে পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর হিসেবে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ টেলিকম ইউনিটের ডিআইজি মো. রফিকুল হাসান গণীকে হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিআইজি মো. নজরুল ইসলামকে এপিবিএন সদর দপ্তরে ডিআইজি পদে বদলি করা হয়েছে।
জেলা পুলিশে নতুন দায়িত্ব
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলমকে গাইবান্ধার নতুন পুলিশ সুপার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দিনাজপুরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হোসাইনকে ফরিদপুর জেলায় পাঠানো হয়েছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মিজানুর রহমানকে দিনাজপুর জেলার নতুন পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এ. এন. এম. সাজেদুর রহমানকে পাবনায় পদায়ন করা হয়েছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার গৌতম কুমার বিশ্বাসকে হবিগঞ্জের নতুন পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেনকে নীলফামারীর পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
অন্যান্য বদলি
গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত অ্যাঞ্জেলাকে পুলিশ সদর দপ্তরে এআইজি হিসেবে পদোন্নতিসহ বদলি করা হয়েছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল পিবিআইয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে যোগ দেবেন।
পাবনার পুলিশ সুপার মো. মরতুজা আলী খানকে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপর পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
নীলফামারীর পুলিশ সুপার আবুল ফজল মোহাম্মদ তারিক হাসান খানকে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার করা হয়েছে।
এই রদবদলের মাধ্যমে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নতুনভাবে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে, যাতে প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানো এবং পুলিশ কার্যক্রম আরও গতিশীল করা যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















