আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘ওশেনম্যান থাইল্যান্ড ২০২৫’-এ বাংলাদেশের সাঁতারু শেখ জামিল হাসান ১০ কিলোমিটার উন্মুক্ত জলসাঁতার সফলভাবে সম্পন্ন করে দেশের জন্য বড় অর্জন এনে দিয়েছেন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার চ্যালেঞ্জিং সাঁতারে তিনি শারীরিক ও মানসিক লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করেন।
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা ‘ওশেনম্যান থাইল্যান্ড ২০২৫’-এ অংশ নিয়ে সফলভাবে ১০ কিলোমিটার উন্মুক্ত জলসাঁতার শেষ করেছেন বাংলাদেশের শেখ জামিল হাসান। ঢাকার বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এই শিক্ষার্থী প্রায় পাঁচ ঘণ্টা লড়ে দূরপাল্লার সাঁতারটি সম্পন্ন করেন।
ঘটনার সারসংক্ষেপ
থাইল্যান্ডের ফাং নাগা প্রদেশে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় ৩৬টি দেশের সাঁতারুরা অংশ নেন। বাংলাদেশ থেকে অংশ নেন দুই সাঁতারু—শেখ জামিল হাসান এবং পিয়ুষ মিশ্র। আন্তর্জাতিক মঞ্চে এমন অংশগ্রহণ বাংলাদেশি সাঁতারুদের জন্য বড় অর্জন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রতিযোগিতার পরিবেশ ও চ্যালেঞ্জ
অ্যান্ডামান সাগরের উন্মুক্ত জলে প্রতিযোগিতাটি হওয়ায় প্রবল স্রোত, জোয়ার-ভাটা এবং স্বাভাবিক সমুদ্র-চ্যালেঞ্জ সাঁতারুদের জন্য কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করে। এসব বাধা অতিক্রম করেই শেখ জামিল ১০ কিলোমিটার পথ সফলভাবে পাড়ি দেন।
ওশেনম্যান প্রতিযোগিতার গুরুত্ব
বিশ্বজুড়ে পরিচিত ওশেনম্যান সিরিজে অংশ নেন পেশাদার সাঁতারু, দীর্ঘদূরত্বের সাঁতার বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক অ্যাথলেটরা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে অংশগ্রহণ কম হলেও নতুন প্রজন্মের সাঁতারুরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে শুরু করেছেন।
শেখ জামিলের অনুভূতি
বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করে শেখ জামিল বলেন, অ্যান্ডামান সাগরে ১০ কিলোমিটার সাঁতার ছিল অত্যন্ত কঠিন। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার এই যাত্রা শারীরিক ও মানসিকভাবে চ্যালেঞ্জিং ছিল, তবে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ফিনিশিং লাইনে পৌঁছানো তাঁর জীবনের বিশেষ মুহূর্ত। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে আরও আন্তর্জাতিক আসরে অংশ নিয়ে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে চান।
ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
শেখ জামিল মনে করেন, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ বাড়লে তা তরুণ সাঁতারুদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। তিনি আশা করেন, ভবিষ্যতে আরও বেশি বাংলাদেশি সাঁতারু আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজেদের সক্ষমতা তুলে ধরতে পারবেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















