০২:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫
ফিলিপস কালেকশনের মাস্টারপিস বিক্রি নিয়ে তীব্র বিতর্ক ২০২৫ সালের সেরা চলচ্চিত্র টার্গেটের ‘১০–৪’ নীতি: অদ্ভুত আচরণ, নাকি স্মার্ট ব্যবসায়িক কৌশল? আধুনিক সংস্কৃতির স্থবিরতা—সৃজনশীল সংকট নাকি স্বাভাবিক বিবর্তন? ব্যক্তিগত ফাইন্যান্স বৈষম্য বাড়ালেও এর গুরুত্বপূর্ণ সুফল অস্বীকার করা যায় না এআই-চালিত কাভার লেটার এখন আর যোগ্য প্রার্থী চিহ্নিত করতে কার্যকর নয় যুক্তরাষ্ট্রে ধনী মহল্লায় গোপনে গাছ হত্যা—অপরাধ, অর্থনীতি ও আইনের জটিল দ্বন্দ্ব ভারতে মতপ্রকাশের লড়াইয়ে কমেডিয়ানরা এখন ফ্রন্টলাইনে টিভির সবচেয়ে বাজে ড্রামা—সমালোচনার ঝড়ে তছনছ ‘অলস ফেয়ার’ চীনের সুপার ক্যারিয়ার ‘ফুজিয়ান’: যুক্তরাষ্ট্রের সামুদ্রিক আধিপত্যে বড় চ্যালেঞ্জ

ঢাকায় শিশু ও গর্ভবতী নারী সিসা-ঝুঁকিতে শীর্ষে

ঢাকার শিশুরা এবং গর্ভবতী নারীরা দেশে সিসা-দূষণের সবচেয়ে উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। নতুন তথ্য বলছে, ১২–৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ৩৮ শতাংশ এবং গর্ভবতী নারীদের প্রায় ৮ শতাংশের রক্তে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো ঢাকা (৬৫ শতাংশ)।

সিসা-দূষণ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এটি সব সামাজিক-অর্থনৈতিক শ্রেণির ওপর প্রভাব ফেলে। আশ্চর্যের বিষয়, সবচেয়ে ধনী পরিবারের অর্ধেকের বেশি শিশু এবং অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের ৩০ শতাংশ শিশু সিসা-ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

রবিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ইউনিসেফসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে দেশের শিশু ও নারীর ওপর সবচেয়ে বিস্তৃত জরিপ ‘মিক্স ২০২৫’-এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স।

জরিপে প্রকাশ পায়, দেশে আরও ১২ লাখ শিশু নতুন করে শিশুশ্রমে জড়িয়েছে এবং দশে চারজন শিশুর রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সিসা পাওয়া যাচ্ছে।

৬৩ হাজারেরও বেশি পরিবারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি মিক্স ২০২৫ জরিপ শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং বিকাশ নিয়ে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। এতে ১৭২টি মানদণ্ড এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ২৭টি সূচক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভাগ, জেলা এবং তিনটি সিটি করপোরেশনের জন্য পৃথক তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা বৈষম্য চিহ্নিত করতে সহায়ক।

ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “মিক্স ২০২৫ জরিপ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রকাশিত হলো। শিশু বিবাহ ও শিশু মৃত্যুহারের উন্নতি আমাদের সক্ষমতা দেখালেও সিসা-দূষণ, শিশুশ্রম এবং বাড়তে থাকা সিজারিয়ান হার লাখো শিশুর ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা এবং শেখার অধিকার নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরকারকে লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে ইউনিসেফ সহযোগিতা করবে।”

পরিসংখ্যান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার বলেন, এইবারের মিক্স জরিপ আগের চেয়ে আরও বিস্তৃত, যেখানে অ্যানিমিয়া শনাক্তকরণ ও ভারী ধাতু শনাক্তকরণের মতো নতুন মডিউল যুক্ত হয়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, অপুষ্টি বেড়েছে। শিশুদের ‘ওয়েস্টিং’ (অতি কম ওজন) হার ২০১৯ সালের ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১২.৯ শতাংশে পৌঁছেছে। মাতৃ অ্যানিমিয়ার হার এখনও অত্যন্ত বেশি—৫২.৮ শতাংশ। কিশোরী মাতৃত্বের হার ১,০০০ মেয়েতে ৮৩ থেকে বেড়ে ৯২-তে দাঁড়িয়েছে। ফলে মাতৃ-পুষ্টি, শিশুর খাদ্যাভ্যাস, দুধপান এবং স্বাস্থ্যসেবায় আরও জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়েছে।

শিশু সুরক্ষায়ও উদ্বেগ বেড়েছে। ৫–১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে শিশুশ্রম এখন ৯.২ শতাংশ—যা ২০১৯ সালের ৬.৮ শতাংশ থেকে অনেক বেশি। এতে আরও ১২ লাখ শিশু ঝুঁকির মধ্যে এসেছে। সহিংস শাসনের শিকার হয়েছে ৮৬ শতাংশ শিশু।

শিশু বিবাহ ২০১৯ সালের ৫১.৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশ হলেও এখনও প্রায় অর্ধেক মেয়ে ১৮ বছরের আগে বিয়ে করছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫৯ শতাংশ নিবন্ধিত এবং মাত্র ৪৭ শতাংশ জন্ম সনদ পেয়েছে, ফলে অনেক শিশু আইনগত পরিচয় ও সেবার বাইরে রয়েছে।

জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে প্রতিটি ব্যয়ে নয়গুণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুফল পাওয়া যায়। তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, সামাজিক সেবা বৃদ্ধি করা এবং কিশোর-কিশোরীদের সক্ষম করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য খাতে ঘাটতি রয়ে গেছে। নবজাতক মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২২, যা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ৬৭ শতাংশ। সিজারিয়ান হার অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে এখন ৭৫ শতাংশ—যা স্বাস্থ্য ও আর্থিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চার মাসের মধ্যে মাত্র ৪৬ শতাংশ গর্ভবতী নারী প্রসূতি সেবা পান, যা উন্নত মানসিক যত্নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বেড়ে ৭৩ শতাংশে দাঁড়ালেও নিরাপদ পানির প্রবেশাধিকার কমে ৩৯.৩ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশে ১০ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ পানীয় জল পাচ্ছে না। অর্ধেকের বেশি পানির উৎস এবং ৮০ শতাংশের বেশি পরিবারের নমুনা ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত। জলবায়ুজনিত দুর্যোগ গত বছর ১০.২ শতাংশ পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা জলবায়ু-সহনীয় অবকাঠামোর তীব্র প্রয়োজন নির্দেশ করে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হার ৮০ শতাংশ হলেও উচ্চ পর্যায়ে উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। অনেক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেও প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। ৬–৭ শতাংশ শিশু স্কুলবহির্ভূত রয়ে গেছে। তাই উপস্থিতি ও শেখা নিশ্চিত করতে নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন।

মিক্স ২০২৫-এর ভিত্তিতে ইউনিসেফ সরকারকে সহায়তা করবে যেন এই তথ্যগুলো নীতি ও বিনিয়োগে রূপ পায় এবং প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকা ও বিকাশ নিশ্চিত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফিলিপস কালেকশনের মাস্টারপিস বিক্রি নিয়ে তীব্র বিতর্ক

ঢাকায় শিশু ও গর্ভবতী নারী সিসা-ঝুঁকিতে শীর্ষে

১১:৪৭:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকার শিশুরা এবং গর্ভবতী নারীরা দেশে সিসা-দূষণের সবচেয়ে উচ্চ মাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে। নতুন তথ্য বলছে, ১২–৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ৩৮ শতাংশ এবং গর্ভবতী নারীদের প্রায় ৮ শতাংশের রক্তে নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি সিসা পাওয়া গেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো ঢাকা (৬৫ শতাংশ)।

সিসা-দূষণ শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এটি সব সামাজিক-অর্থনৈতিক শ্রেণির ওপর প্রভাব ফেলে। আশ্চর্যের বিষয়, সবচেয়ে ধনী পরিবারের অর্ধেকের বেশি শিশু এবং অপেক্ষাকৃত দরিদ্র পরিবারের ৩০ শতাংশ শিশু সিসা-ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

রবিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ইউনিসেফসহ অন্যান্য সহযোগী সংস্থার সঙ্গে অংশীদারিত্বে দেশের শিশু ও নারীর ওপর সবচেয়ে বিস্তৃত জরিপ ‘মিক্স ২০২৫’-এর প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং বাংলাদেশে ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স।

জরিপে প্রকাশ পায়, দেশে আরও ১২ লাখ শিশু নতুন করে শিশুশ্রমে জড়িয়েছে এবং দশে চারজন শিশুর রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সিসা পাওয়া যাচ্ছে।

৬৩ হাজারেরও বেশি পরিবারের ওপর ভিত্তি করে তৈরি মিক্স ২০২৫ জরিপ শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি, সুরক্ষা এবং বিকাশ নিয়ে নীতিনির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। এতে ১৭২টি মানদণ্ড এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ২৭টি সূচক অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভাগ, জেলা এবং তিনটি সিটি করপোরেশনের জন্য পৃথক তথ্য দেওয়া হয়েছে, যা বৈষম্য চিহ্নিত করতে সহায়ক।

ইউনিসেফ প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “মিক্স ২০২৫ জরিপ বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে প্রকাশিত হলো। শিশু বিবাহ ও শিশু মৃত্যুহারের উন্নতি আমাদের সক্ষমতা দেখালেও সিসা-দূষণ, শিশুশ্রম এবং বাড়তে থাকা সিজারিয়ান হার লাখো শিশুর ভবিষ্যৎ কেড়ে নিচ্ছে। প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকা, বেড়ে ওঠা এবং শেখার অধিকার নিশ্চিত হলে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরকারকে লক্ষ্যভিত্তিক পদক্ষেপ নিতে ইউনিসেফ সহযোগিতা করবে।”

পরিসংখ্যান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব আলেয়া আখতার বলেন, এইবারের মিক্স জরিপ আগের চেয়ে আরও বিস্তৃত, যেখানে অ্যানিমিয়া শনাক্তকরণ ও ভারী ধাতু শনাক্তকরণের মতো নতুন মডিউল যুক্ত হয়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, অপুষ্টি বেড়েছে। শিশুদের ‘ওয়েস্টিং’ (অতি কম ওজন) হার ২০১৯ সালের ৯.৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১২.৯ শতাংশে পৌঁছেছে। মাতৃ অ্যানিমিয়ার হার এখনও অত্যন্ত বেশি—৫২.৮ শতাংশ। কিশোরী মাতৃত্বের হার ১,০০০ মেয়েতে ৮৩ থেকে বেড়ে ৯২-তে দাঁড়িয়েছে। ফলে মাতৃ-পুষ্টি, শিশুর খাদ্যাভ্যাস, দুধপান এবং স্বাস্থ্যসেবায় আরও জোর দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা স্পষ্ট হয়েছে।

শিশু সুরক্ষায়ও উদ্বেগ বেড়েছে। ৫–১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে শিশুশ্রম এখন ৯.২ শতাংশ—যা ২০১৯ সালের ৬.৮ শতাংশ থেকে অনেক বেশি। এতে আরও ১২ লাখ শিশু ঝুঁকির মধ্যে এসেছে। সহিংস শাসনের শিকার হয়েছে ৮৬ শতাংশ শিশু।

শিশু বিবাহ ২০১৯ সালের ৫১.৪ শতাংশ থেকে কমে ৪৭ শতাংশ হলেও এখনও প্রায় অর্ধেক মেয়ে ১৮ বছরের আগে বিয়ে করছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে মাত্র ৫৯ শতাংশ নিবন্ধিত এবং মাত্র ৪৭ শতাংশ জন্ম সনদ পেয়েছে, ফলে অনেক শিশু আইনগত পরিচয় ও সেবার বাইরে রয়েছে।

জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু সুরক্ষায় বিনিয়োগ করলে প্রতিটি ব্যয়ে নয়গুণ সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুফল পাওয়া যায়। তাই সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা, সামাজিক সেবা বৃদ্ধি করা এবং কিশোর-কিশোরীদের সক্ষম করে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

স্বাস্থ্য খাতে ঘাটতি রয়ে গেছে। নবজাতক মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২২, যা পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর ৬৭ শতাংশ। সিজারিয়ান হার অবিশ্বাস্যভাবে বেড়ে এখন ৭৫ শতাংশ—যা স্বাস্থ্য ও আর্থিক ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। চার মাসের মধ্যে মাত্র ৪৬ শতাংশ গর্ভবতী নারী প্রসূতি সেবা পান, যা উন্নত মানসিক যত্নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।

পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থায় প্রবেশাধিকার বেড়ে ৭৩ শতাংশে দাঁড়ালেও নিরাপদ পানির প্রবেশাধিকার কমে ৩৯.৩ শতাংশে নেমেছে। বাংলাদেশে ১০ কোটি ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ পানীয় জল পাচ্ছে না। অর্ধেকের বেশি পানির উৎস এবং ৮০ শতাংশের বেশি পরিবারের নমুনা ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত। জলবায়ুজনিত দুর্যোগ গত বছর ১০.২ শতাংশ পানির উৎস ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা জলবায়ু-সহনীয় অবকাঠামোর তীব্র প্রয়োজন নির্দেশ করে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হার ৮০ শতাংশ হলেও উচ্চ পর্যায়ে উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়। অনেক শিশু প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেও প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। ৬–৭ শতাংশ শিশু স্কুলবহির্ভূত রয়ে গেছে। তাই উপস্থিতি ও শেখা নিশ্চিত করতে নতুন পদ্ধতির প্রয়োজন।

মিক্স ২০২৫-এর ভিত্তিতে ইউনিসেফ সরকারকে সহায়তা করবে যেন এই তথ্যগুলো নীতি ও বিনিয়োগে রূপ পায় এবং প্রতিটি শিশুর বেঁচে থাকা ও বিকাশ নিশ্চিত হয়।