বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডের রায়কে “পক্ষপাতদুষ্ট, প্রহসনমূলক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, তাকে এবং আওয়ামী লীগকে রাজনীতি থেকে সরানোর উদ্দেশ্যেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনার তীব্র প্রতিক্রিয়া
ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা পাঁচ পৃষ্ঠার বিবৃতিতে বলেন—
- ট্রাইব্যুনালের এই রায় সরকারের রাজনৈতিক পরিকল্পনার অংশ।
- “আওয়ামী লীগকে দুর্বল এবং নিষ্ক্রিয় করে দিতে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হচ্ছে।”
- তিনি অভিযোগ করেছেন, বিচারটি শুরু থেকেই অন্যায়ভাবে পরিচালিত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন,
- বিচার ছিল “একটি প্রহসন”,
- সব অভিযোগ তিনি আগেই অস্বীকার করেছেন,
- ন্যায়বিচার নিশ্চিত এমন কোনও আদালতে তিনি অভিযোগকারীদের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত।
আইসিসিতে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ
শেখ হাসিনা দাবি করেন—
- অভিযোগগুলো যদি সত্য হয়, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার সেগুলো হেগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (ICC) নিয়ে যাক।
- তিনি তার “মানবাধিকার ও উন্নয়ন”–সংক্রান্ত রেকর্ড নিয়ে গর্বিত।
ট্রাইব্যুনালের রায়: হাসিনা ও কামালের মৃত্যুদণ্ড
২০২৫ সালের ১৭ নভেম্বর দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ঘোষণা করে—
- ২৪ জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার মামলায়
- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের
- ফাঁসির দণ্ড কার্যকরের নির্দেশ দেওয়া হয়।
এ মামলার আরেক অভিযুক্ত,
- সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
- দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ায় তাকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত অবমাননা মামলায় ছয় মাসের দণ্ড
আরেকটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ শেখ হাসিনাকে—
- ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
মামলার পটভূমি
- চলতি বছরের শুরুর দিকে “আমি ২২৬ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়েছি”—এমন একটি অডিও রেকর্ড অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
- প্রসিকিউশন অভিযোগ তোলে, এই বক্তব্য বিচারপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা।
- এরপর আদালত অবমাননার মামলা শুরু হয় এবং এপ্রিলে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়।
- সেই মামলায়ই ট্রাইব্যুনাল তাকে কারাদণ্ড দেয়।
শেখ হাসিনা তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক পরিকল্পনা বলে অভিহিত করেছেন। অপরদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যা মামলায় কঠোর রায় ঘোষণা করেছে। দুই পক্ষের বক্তব্য ও রায়কে কেন্দ্র করে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে এই ঘটনা।
#ট্রাইব্যুনাল_রায় #শেখহাসিনা #বাংলাদেশরাজনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















