সিনেমা–সিরিজ অবাধে ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর কপিরাইট দাবি
হলিউডের বড় স্টুডিও এবং বলিউডের প্রযোজক সংগঠনগুলো ভারতের নীতিনির্ধারকদের কাছে দাবি তুলেছে—এআই কোম্পানিগুলো যেন আর অবাধে সিনেমা, সংলাপ ও চরিত্র স্ক্যান করে মডেল ট্রেনিং করতে না পারে। তাদের মতে, বর্তমান কপিরাইট কাঠামো “অস্পষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ”, যার সুযোগে বিশাল পরিমাণ অডিও–ভিডিও কনটেন্ট অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা হচ্ছে।
জোটটি বলছে, বাণিজ্যিক এআই প্রশিক্ষণে সিনেমা ব্যবহার ‘ফেয়ার ডিলিং’ নয়, বরং লাইসেন্স সাপেক্ষ হওয়া উচিত। কারণ আধুনিক মডেলগুলো ইতিমধ্যে অভিনেতার কণ্ঠ, মুখভঙ্গি ও অভিনয়ের ধরন নকল করতে পারছে—যা অভিনয়, ডাবিং, ভিএফএক্স ও লেখালেখির পেশায় সরাসরি হুমকি। প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যুক্তি দিচ্ছে যে অতিরিক্ত নিয়ম চাপালে ভারত এআই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে; কিন্তু শিল্পী ইউনিয়নগুলো তা মানছে না।
প্রযোজকদের আশঙ্কা, যদি এআই–উৎপন্ন চরিত্র বাজার দখল করে নেয়, তাহলে নতুন সিনেমায় বিনিয়োগ কমবে। আইনজীবীরা সতর্ক করছেন, অস্পষ্ট নিয়ম থাকলে শেষ পর্যন্ত মামলাই শেষ কথা বলে দেবে—এবং সেই লড়াইয়ে বহুজাতিক প্ল্যাটফর্ম সুবিধা পাবে।
এদিকে বলিউডও অভিনেতাদের “পার্সোনালিটি রাইটস” রক্ষার দাবি তুলেছে, কারণ ডিপফেক ও ভুয়া ভিডিওতে তারকাদের মুখ–কণ্ঠ ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। সরকার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক মান যাচাই করে শিগগিরই খসড়া আইন প্রকাশ করা হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















