১০:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩০)

কলাপাতার মধ্যে এগুলো সাজিয়ে বিক্রি করা হতো। অনেকটা আজকালকার দিনের মণ্ডার মতো।

পাঁচ ভাই ঘাট লেন

দোলাই খালের পাশে একটি ঘাটের নাম হয়েছিল পাঁচ ভাই ঘাট। পাঁচ ভাই ঘাট লেন নামের উৎপত্তি কেউ জানে না। এমনকি হতে পারে এক পরিবারের পাঁচজন ঐ এলাকা আবাদ করেছিলেন অষ্টাদশ শতকে হতে পারে। ঐ পাঁচ ভাই ঘাটের নামে পাশের এলাকার সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে পাঁচ ভাই ঘাট লেন নামে।

পাঁচ ভাই ঘাট লেন মসজিদ

পাতক্ষীর

উনিশ শতকে যদি জি আই দেয়ার বন্দোবস্ত থাকত, তাহলে ঢাকার পাতক্ষীর অবশ্যই তা পেত। সকাল বিকালের নাশতা হিসেবে পাতক্ষীর পছন্দ করত সবাই। গত শতকের প্রথম দশকে পাতক্ষীর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেছেন সুধীরা গুপ্ত।

পাতক্ষীর

“ঢাকার পাতক্ষীর এত ভালো ছিল যে, এখনো যেন তার স্বাদ জিবে লেগে আছে। রোজ ফিরিওয়ালা বাঁকে করে পাতক্ষীর নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেত। মা প্রায়ই কিনতেন। বেশি দাম ছিল নাতো। বোধ হয় চার কি আট পয়সার পাওয়া যেত। একটা কলাপাতায় মোড়া বড় লুচির মতো জিনিস।”

এ বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখেছেন সৈয়দ আলী আহসান- “পাতক্ষীর ফেরি করে বিক্রি করতো। পাতক্ষীর ছিল ছানার এক রকম মিষ্টি। কলাপাতার মধ্যে এগুলো সাজিয়ে বিক্রি করা হতো। অনেকটা আজকালকার দিনের মণ্ডার মতো। কিন্তু মণ্ডার চেয়ে নরম এবং ভেজা ভেজা। একটি কলাপাতার ওপর ছাঁচে তোলা মিষ্টি সাজিয়ে অন্য একটি কলাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। কুলার পাত্র থেকে পরিবেশন করা হতো বলে এগুলোকে পাতক্ষীর বলা হতো।”

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৯)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৯)

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩০)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩০)

০৯:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫

কলাপাতার মধ্যে এগুলো সাজিয়ে বিক্রি করা হতো। অনেকটা আজকালকার দিনের মণ্ডার মতো।

পাঁচ ভাই ঘাট লেন

দোলাই খালের পাশে একটি ঘাটের নাম হয়েছিল পাঁচ ভাই ঘাট। পাঁচ ভাই ঘাট লেন নামের উৎপত্তি কেউ জানে না। এমনকি হতে পারে এক পরিবারের পাঁচজন ঐ এলাকা আবাদ করেছিলেন অষ্টাদশ শতকে হতে পারে। ঐ পাঁচ ভাই ঘাটের নামে পাশের এলাকার সড়কটির নামকরণ করা হয়েছে পাঁচ ভাই ঘাট লেন নামে।

পাঁচ ভাই ঘাট লেন মসজিদ

পাতক্ষীর

উনিশ শতকে যদি জি আই দেয়ার বন্দোবস্ত থাকত, তাহলে ঢাকার পাতক্ষীর অবশ্যই তা পেত। সকাল বিকালের নাশতা হিসেবে পাতক্ষীর পছন্দ করত সবাই। গত শতকের প্রথম দশকে পাতক্ষীর সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেছেন সুধীরা গুপ্ত।

পাতক্ষীর

“ঢাকার পাতক্ষীর এত ভালো ছিল যে, এখনো যেন তার স্বাদ জিবে লেগে আছে। রোজ ফিরিওয়ালা বাঁকে করে পাতক্ষীর নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে দিয়ে যেত। মা প্রায়ই কিনতেন। বেশি দাম ছিল নাতো। বোধ হয় চার কি আট পয়সার পাওয়া যেত। একটা কলাপাতায় মোড়া বড় লুচির মতো জিনিস।”

এ বিষয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখেছেন সৈয়দ আলী আহসান- “পাতক্ষীর ফেরি করে বিক্রি করতো। পাতক্ষীর ছিল ছানার এক রকম মিষ্টি। কলাপাতার মধ্যে এগুলো সাজিয়ে বিক্রি করা হতো। অনেকটা আজকালকার দিনের মণ্ডার মতো। কিন্তু মণ্ডার চেয়ে নরম এবং ভেজা ভেজা। একটি কলাপাতার ওপর ছাঁচে তোলা মিষ্টি সাজিয়ে অন্য একটি কলাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়া হতো। কুলার পাত্র থেকে পরিবেশন করা হতো বলে এগুলোকে পাতক্ষীর বলা হতো।”

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৯)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৯)