ইসরায়েল দক্ষিণ লেবাননের কয়েকটি গ্রামে আগাম সতর্কতা দিয়ে হামলা চালায়।
লেবানন জানায়—দিনের শুরুতে একজন নিহত হয়েছে।
ইসরায়েল দাবি করে নিহত ব্যক্তি হিজবুল্লাহর সদস্য।
মঙ্গলবারের হামলা ছিল গত বছরের যুদ্ধের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী স্ট্রাইকগুলোর একটি।
ইসরায়েলের টানা হামলা ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
বেইরুত, ১৯ নভেম্বর।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বুধবার দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা বাড়িয়েছে। অন্তত একজন নিহত হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন চালানো এসব হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল বলছে—ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতা পুনর্গঠন ঠেকানোই তাদের উদ্দেশ্য।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতির পরে হিজবুল্লাহ পুনরায় অস্ত্র মজুত করছে বলে ইসরায়েলের অভিযোগ। তবে হিজবুল্লাহ বলছে, তারা চুক্তির শর্ত মেনে সীমান্ত অঞ্চলে সামরিক অবস্থান কমিয়েছে এবং সেখানে লেবানিজ সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।

গ্রামবাসীদের জন্য আগাম সতর্কতা
ইসরায়েল বুধবার সামাজিক মাধ্যমে দক্ষিণের চারটি গ্রামের নির্দিষ্ট ভবনকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে চিহ্নিত করে—দেইর কিফা, শেহুর, আইনাতা ও তায়ের ফিলসে। সতর্কতা জারি হতেই বাসিন্দারা এলাকা ছাড়ে। হামলার পর আকাশে ঘন ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে।
ইসরায়েলের দাবি—হিজবুল্লাহর রকেট ইউনিটের অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করা হয়েছে, যা বেসামরিক এলাকাতেই লুকানো ছিল বলে তারা অভিযোগ করে। বেইত লিফ গ্রামে হিজবুল্লাহর নতুন ঘাঁটি ও অস্ত্রাগার স্থাপনের অভিযোগও তোলে তারা।
হিজবুল্লাহ এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়—ইসরায়েল ক্রমাগত হামলার বৈধতা তৈরি করতে মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।
দিনের শুরুতেই এক ব্যক্তির মৃত্যু
লেবানন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়—আল-তিরি গ্রামে ইসরায়েলের হামলায় একজন নিহত হয়।
ইসরায়েল দাবি করে—তিনি হিজবুল্লাহর সদস্য এবং এলাকাটিতে সংগঠনের কার্যক্রম পুনর্গঠন করছিলেন।
শরণার্থী শিবিরে প্রাণঘাতী হামলা
মঙ্গলবার সাইদোনের কাছে আইন আল-হিলওয়ে ফিলিস্তিনি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল গত বছরের পর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালায়। হামলায় ১৩ জন নিহত হন।
ইসরায়েলের দাবি—হামাস ওই শিবিরের একটি স্থাপনা থেকে ইসরায়েলে আক্রমণ চালাচ্ছিল। হামাস এসব দাবি ‘মিথ্যা ও মনগড়া’ বলে জানায় এবং বলে—শরণার্থী শিবিরে তাদের কোনো সামরিক স্থাপনা নেই।
একজন হামাস কর্মকর্তা বলেন—নিহতদের মধ্যে তাদের কোনো সদস্য নেই।

শান্তিচুক্তির শর্ত ও বিতর্ক
মার্কিন ও ফরাসি মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী লেবানিজ সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল লিতানি নদীর দক্ষিণাঞ্চল থেকে সব ধরনের অননুমোদিত অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা।
হিজবুল্লাহর মহাসচিব নাইম কাসেম বলেন—চুক্তি কেবল লিতানির দক্ষিণ অংশে প্রযোজ্য, পুরো লেবাননে নয়।
লেবাননের দাবি—ইসরায়েল এখনো দক্ষিণ লেবাননের কিছু এলাকা দখল করে চুক্তি লঙ্ঘন করছে।
#ইসরায়েল #লেবানন #হিজবুল্লাহ #মধ্যপ্রাচ্য #সীমানা-সংঘাত
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















