ডিডব্লিউসির বিশাল সম্প্রসারণ পরিকল্পনা
দুবাই সাউথ এলাকায়, দুবাই মেরিনা থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে অবস্থিত ডিডব্লিউসি। গত বছর ঘোষণা করা হয়েছিল যে এটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (ডিএক্সবি)-এর পাঁচগুণ বড় হবে। এখানে থাকবে পাঁচটি সমান্তরাল রানওয়ে এবং ৪০০ বিমানের গেট।
প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার লক্ষ্য ২০৩২ সাল, যেখানে একটি কেন্দ্রীয় টার্মিনাল ও চারটি কনকোর্স তৈরি হবে, যা বছরে ১৫ কোটি যাত্রী সামলাতে পারবে। ভবিষ্যতে ডিএক্সবির সমস্ত কার্যক্রম ডিডব্লিউসিতে স্থানান্তর করা হবে। ১২৮ বিলিয়ন দিরহামের এই মেগা প্রকল্প শেষ হলে এটি বছরে ২৬ কোটি যাত্রী বহনক্ষম বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবন্দর হয়ে উঠবে।
বিমানবন্দরের বাইরেও একটি নতুন শহর
দুবাই কেবল একটি বড় বিমানবন্দরই নয়, বরং তার আশেপাশে গড়ে তুলছে একটি নতুন নগর কেন্দ্র—যেখানে থাকবে ব্যবসা-বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, আবাসিক এলাকা এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

প্রদর্শিত জীবন-সমান মডেলে দেখা গেছে—টার্মিনাল, রানওয়ে, কার্গো জোন, সাংস্কৃতিক জেলা, ভিলা, ম্যানশন, মাঝারি উচ্চতার আবাসিক ভবন, হোটেল এবং বৃহৎ সড়ক নেটওয়ার্ক যার মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন অংশ থেকে সহজে ডিডব্লিউসিতে যাওয়া যাবে। শেইখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ রোড (E311), এমিরেটস রোড (E611) এবং শেইখ জায়েদ রোড (E11) –এর মতো গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কের সঙ্গে সংযোগ এটিকে আরও সহজলভ্য করেছে।
বিনিয়োগকারী ও বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা
ডিডব্লিউসিকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অনেক বিদেশিও এখানে স্থায়ীভাবে বসবাসে আগ্রহী হতে পারেন।
আরও কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ
নতুন শহর গড়ে উঠলে নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হয়। ১৪৫ বর্গকিলোমিটারের এই বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে হাজারো কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুধু আবাসিক চাহিদাই নির্মাণ ও আবাসন খাতে চাকরির সংখ্যা বাড়াবে। বিমানবন্দর চালুর পর এলাকাটিতে ২৫ হাজার জনসংখ্যা থেকে এক মিলিয়নের বেশি বাসিন্দা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

ডিডব্লিউসি জেবেল আলির নিকটে হওয়ায় এখানে গড়ে উঠবে একটি শক্তিশালী মাল্টি-মোডাল লজিস্টিক্স হাব—যা আকাশ, স্থল ও সমুদ্র পরিবহনকে একত্র করবে। এর পাশাপাশি অফিস, খুচরা ব্যবসা, হোটেল, হাসপাতাল, স্কুলসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও কর্মসংস্থান বাড়িয়ে তুলবে।
উন্নত পরিবহন নেটওয়ার্ক
‘বিমানবন্দর নগরীটি’ দুবাই ও সমগ্র ইউএই-এর সঙ্গে সড়ক ও আকাশ—দু’ভাবেই শক্তভাবে সংযুক্ত থাকবে। এখানে থাকবে উচ্চগতির রেল (এতিহাদ রেল), নতুন মেট্রো লাইন, এয়ার ট্যাক্সি ও স্বয়ংক্রিয় যান।
দুবাই এয়ারপোর্টসের সিইও পল গ্রিফিথস জানিয়েছেন, আল মাকতুম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এতিহাদ রেলের একটি স্টেশন থাকতে পারে। এই রেল সংযোগ আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, রাস আল খাইমাহ, ফুজাইরাহ, আল আইন, রুয়াইস, আল মিরফা, আল দাইদ, গুওয়াইফাত (সৌদি সীমান্ত), এমনকি ওমানের সোহার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















