যুক্তরাষ্ট্র প্রণীত নতুন শান্তি রূপরেখা ইউক্রেনের সামনে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নিয়ে জটিল সমীকরণ তৈরি করেছে। ২৮ দফার এই নথিতে যুদ্ধবিরতি, নজরদারি কাঠামো ও আলোচনার রূপরেখা থাকলেও কিয়েভের জন্য এতে নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক মর্যাদার মাঝে কঠিন সমঝোতার ইঙ্গিত রয়েছে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, রাশিয়ার পক্ষে ঝুঁকে থাকা কোনো সমাধান জাতীয় মর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করবে এবং সমাজে গভীর বিভাজন তৈরি করতে পারে।
ইউরোপের বিভিন্ন রাজধানীতেও এ প্রস্তাব নিয়ে মতপার্থক্য দেখা গেছে। সীমান্তবর্তী দেশগুলো মনে করছে, বর্তমান ফ্রন্টলাইন স্থায়ী করলে তা রাশিয়ার সামরিক অগ্রগতিকে পুরস্কৃত করা হবে। অন্যদিকে কিছু সরকার বলছে, দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধ, সামরিক ক্লান্তি ও বাজেট সংকট বিবেচনায় নিয়ন্ত্রিত এক বিরতি এখন বাস্তবসম্মত বিকল্প। তবে কিয়েভের শর্ত পরিষ্কার—অস্থায়ী স্থবিরতা মানা যেতে পারে, স্থায়ী সমর্পণ নয়।
প্রস্তাবটি এমন সময় এসেছে, যখন ইউক্রেন আগত শীতের আগে বাড়তি রুশ হামলা, গোলাবারুদের ঘাটতি এবং পশ্চিমা সহায়তার অনিশ্চয়তার মুখে। কিয়েভের উদ্বেগ—যদি প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি সংসদে সহায়তা-সংক্রান্ত ক্লান্তি আরও বাড়তে পারে।
দেশের ভেতরে আবার আলোচনার ভিন্ন রূপ। সীমান্ত বা সাংবিধানিক পরিবর্তন সংক্রান্ত কোনো সমঝোতা এলে গণভোটের দাবি উঠতে পারে, যা রাজনৈতিক সমীকরণকে জটিল করবে। তাই এখন কিয়েভের কৌশল হলো সময় নেয়া, মিত্রদের রাজনৈতিক সিগন্যাল বোঝা এবং নিজের ভেতরের রেড লাইনগুলো আরও স্পষ্ট করা। যে সিদ্ধান্তই হোক, তা ইউক্রেনের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে দীর্ঘমেয়াদে প্রভাবিত করবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















