০৫:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

পুনর্বাসনের রাজা রিচার্ড টেইটের নতুন মিশন

রিচার্ড টেইট—একসময় গৃহহীন এক মাদকাসক্ত, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিলাসবহুল পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর প্রতিষ্ঠাতা এবং নেশা–বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কণ্ঠ। অতীতের ভয়াবহ আসক্তি ও জীবনের ২৫ বছর হারানোর পর তিনি আজ আমেরিকার মারাত্মক ফেন্টানিল সংকট মোকাবিলায় নতুন অভিযানে নেমেছেন।

===============================
শৈশবের সহিংসতা থেকে দীর্ঘ ২৫ বছরের অন্ধকার

ক্যালিফোর্নিয়ার এনসিনোতে টেইটের শৈশব ছিল বাইরে থেকে স্বাচ্ছন্দ্যের, ভেতরে ছিল নির্মম সহিংসতা। প্রতিদিন মারধর, অপমান আর “তুমি জন্ম না নিলেই ভালো হতো”—জাতীয় বাক্য ছিল তার পরিবারের স্বাভাবিক রুটিন।

১৭ বছর বয়সেই তার বাবা পরিবার ছেড়ে যান, ঘর ছাড়তে হয়, প্রিয় দাদা মারা যান—সবকিছু ঘটে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে। এই ধাক্কা তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। এরপর শুরু হয় ২৫ বছরের ভয়াবহ মাদক–জীবন। প্রতিদিন এক আউন্স করে ক্র্যাক–কোকেন সেবন ছিল তার দৈনন্দিন অভ্যাস।

তিন বছর চেষ্টার পরও টানা ৩০ দিন sober থাকা সম্ভব হয়নি। তবু দীর্ঘ সংগ্রাম, ধৈর্যশীল থেরাপিস্ট, অ্যালকোহলিকস অ্যানোনিমাস এবং অবিরাম চেষ্টা—এসবই ধীরে ধীরে তাকে উদ্ধার করে।

===============================
স্ব–উদ্ধারের পর অন্যকে বাঁচানোর পথ

থেরাপি, এএ এবং সোবের লিভিং পেরিয়ে টেইট যখন সামান্য স্থির হলেন, তিনি অন্যদের সাহায্য করা শুরু করেন। নতুন sobriety–ধারীদের নাশতা করানো, চুল কাটানো, পোশাক কেনা—সবই তিনি নিজের পয়সায় করতেন।

২০০৫ সালে কোনো প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্লিফসাইড মালিবু—যা ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সেলিব্রিটি রিহ্যাবে পরিণত হয়।

প্রথমদিকে তিনি মনে করতেন—“অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা করে টাকা আনা কি নৈতিক?” কিন্তু এক হিন্দু ধর্মগুরুর কথা তাকে বদলে দেয়:
“মানুষকে সাহায্য করেই যদি মানুষ জীবিকা অর্জন করতে পারত—তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর হতো।”

এই উপলব্ধির পর তিনি বুঝলেন তার জীবনের উদ্দেশ্য—সাহায্য করা। এরপর ক্লিফসাইড মালিবু বিক্রি হয় রেকর্ডমূল্যে ২০১৮ সালে।

===============================
ফেন্টানিল সংকট: ‘আমার অসমাপ্ত কাজ’

টেইটের পাঁচ বছরের নন–কমপিট চুক্তি তাকে কাজহীন করে তোলে। এ সময়েই তিনি দেখেন—আমেরিকায় ফেন্টানিল মহামারী ভয়ংকর আকার নিচ্ছে।

নন–কমপিট শেষ হতেই তিনি ফিরে আসেন আরও বড় পরিকল্পনা নিয়ে।

===============================
কারারা ট্রিটমেন্ট, ওয়েলনেস অ্যান্ড স্পা: বিলাসিতা ও বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ

টেইটের নতুন কেন্দ্র কারারা, যা তিনি বর্ণনা করেছেন—“ফোর সিজনস হোটেল আর evidence–based recovery–র মিশেল।”

প্রতিটি রোগীর আলাদা স্যুইট
নিজস্ব তাপমাত্রা–নিয়ন্ত্রণ
জুস বার
সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা থেরাপি
তিনটি বাধ্যতামূলক স্পা সেশন

টেইটের যুক্তি:
“Self–care থেকে self–esteem জন্মায়, সেখান থেকে self–love। যারা নিজেকে ভালোবাসে না, তারা কখনোই জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ আসক্তি ছাড়তে পারে না।”

===============================
১ মেথড সেন্টার: গৃহহীন ও প্রাক্তন সেনাদের জন্য ১০ হাজার রোগীর মিশন

টেইট আরেকটি ব্র্যান্ড চালু করেন—১ মেথড সেন্টার। লক্ষ্য—দুই বছরে ১০,০০০ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া, বিশেষ করে:

গৃহহীন মানুষ
প্রবীণ সেনাসদস্য
সুবিধাবঞ্চিত পরিবার

এক পরিচিত বন্ধুর কেন্দ্র দেউলিয়া হতে বসলে টেইট তিন ঘণ্টায় সেটি কিনে ফেলেন। এরপর তিনি ক্লিফসাইডের পুরনো কর্মীদের ডেকে বলেন—“সবাই আজই বাড়ি ফিরে আসো।” ১০ জন সাথে সাথেই চাকরি ছেড়ে তার দলে যোগ দেন।

“আমি সেনাদের চিকিৎসা করতে ফিরে এসেছি,” তিনি বলেন। “ওদের চিকিৎসা করা সবচেয়ে সহজ। তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ, লড়াকু, প্রস্তুত।”

===============================
“এটাই আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী মহামারী”

ফেন্টানিল বছরে ১ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করছে। অনেক মৃত্যু সঠিকভাবে রেকর্ডও হয় না। টেইটের মতে—“এটি আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য–সংকট।”

===============================
পডকাস্ট ‘We’re Out of Time’: জনপ্রিয়তা ও বাস্তব মুহূর্ত

টেইটের পডকাস্ট, যেটি ফেন্টানিল সংকট দিয়ে শুরু হলেও এখন মানসিক স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন আলোচনার কেন্দ্রস্থল। অ্যাপল পডকাস্টে এটি হেলথ বিভাগে শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে।

সবচেয়ে আলোচিত পর্ব—র‍্যাপার জ্যানম্যান যখন অনুষ্ঠানের মাঝেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। টেইট তাকে লাইভ–অন–এয়ার চিকিৎসায় পাঠাতে রাজি করান।

===============================
ধনী–গরিব সবার চিকিৎসক: অভিজ্ঞতার শেয়ার

বিলিয়নিয়ার থেকে রাস্তায় থাকা মানুষ—সবাইকে তিনি চিকিৎসা দিয়েছেন। তার মতে—

ধনী/খ্যাতিমানদের পুনর্বাসন কঠিন কারণ “এনাবলাররা” তাদের কাজে ফিরে যেতে চাপ দেয়
কিন্তু তারা সাধারণত বিনয়ী ও কৃতজ্ঞ
যারা ভান করে চলে—তারাই সবচেয়ে অসুখী

===============================
২০+ বছরের sobriety: টেইটের দৈনন্দিন শৃঙ্খলা

তিনি ভোর ৩:৩০–৪টার মধ্যে ওঠেন ধ্যানের জন্য। প্রতিদিন প্রার্থনা, ব্যায়াম, সাধারণ খাবার, সপ্তাহে তিনদিন থেরাপি—এসবই তার জীবনের স্থির রুটিন।

টেইট বলেন—“আমার মতো পাঁচ বছরের শিশুকে ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয় যখন পরিবার ভালোবাসা না দিয়ে আঘাত করে। থেরাপি আমাকে শিখিয়েছে—আমি জন্ম থেকেই ঠিক ছিলাম।”

===============================
তার উত্তরাধিকার: সন্তানদের দায়িত্ববোধ শেখানো

“আমি চাই আমার সন্তানরা জানুক—তাদের অবস্থান দায়িত্বের সাথে আসে। তারা যেন পৃথিবীকে আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় রেখে যায়।”

তার নতুন বই ‘Experiencing Transcendence’ (অক্টোবর ২০২৫) আসক্তি ও ট্রমা থেকে মুক্তির গভীর দর্শন তুলে ধরেছে।

টেইট বলেন—
“আসক্তি কোনো মৃত্যুদণ্ড নয়। এটা শুধু একটি স্পিড বাম্প। sober হলে একই বা তার চেয়েও ভালো জীবন পাওয়া উচিত। আর যদি আনন্দ নিয়ে অন্যকে সাহায্য করতে পারো—তা সবসময় কাজে দেয়।”

জনপ্রিয় সংবাদ

পুনর্বাসনের রাজা রিচার্ড টেইটের নতুন মিশন

০৩:২৯:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

রিচার্ড টেইট—একসময় গৃহহীন এক মাদকাসক্ত, এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বিলাসবহুল পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর প্রতিষ্ঠাতা এবং নেশা–বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম প্রধান কণ্ঠ। অতীতের ভয়াবহ আসক্তি ও জীবনের ২৫ বছর হারানোর পর তিনি আজ আমেরিকার মারাত্মক ফেন্টানিল সংকট মোকাবিলায় নতুন অভিযানে নেমেছেন।

===============================
শৈশবের সহিংসতা থেকে দীর্ঘ ২৫ বছরের অন্ধকার

ক্যালিফোর্নিয়ার এনসিনোতে টেইটের শৈশব ছিল বাইরে থেকে স্বাচ্ছন্দ্যের, ভেতরে ছিল নির্মম সহিংসতা। প্রতিদিন মারধর, অপমান আর “তুমি জন্ম না নিলেই ভালো হতো”—জাতীয় বাক্য ছিল তার পরিবারের স্বাভাবিক রুটিন।

১৭ বছর বয়সেই তার বাবা পরিবার ছেড়ে যান, ঘর ছাড়তে হয়, প্রিয় দাদা মারা যান—সবকিছু ঘটে মাত্র ৯০ দিনের মধ্যে। এই ধাক্কা তাকে ভেঙে চুরমার করে দেয়। এরপর শুরু হয় ২৫ বছরের ভয়াবহ মাদক–জীবন। প্রতিদিন এক আউন্স করে ক্র্যাক–কোকেন সেবন ছিল তার দৈনন্দিন অভ্যাস।

তিন বছর চেষ্টার পরও টানা ৩০ দিন sober থাকা সম্ভব হয়নি। তবু দীর্ঘ সংগ্রাম, ধৈর্যশীল থেরাপিস্ট, অ্যালকোহলিকস অ্যানোনিমাস এবং অবিরাম চেষ্টা—এসবই ধীরে ধীরে তাকে উদ্ধার করে।

===============================
স্ব–উদ্ধারের পর অন্যকে বাঁচানোর পথ

থেরাপি, এএ এবং সোবের লিভিং পেরিয়ে টেইট যখন সামান্য স্থির হলেন, তিনি অন্যদের সাহায্য করা শুরু করেন। নতুন sobriety–ধারীদের নাশতা করানো, চুল কাটানো, পোশাক কেনা—সবই তিনি নিজের পয়সায় করতেন।

২০০৫ সালে কোনো প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা ছাড়া তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ক্লিফসাইড মালিবু—যা ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ সেলিব্রিটি রিহ্যাবে পরিণত হয়।

প্রথমদিকে তিনি মনে করতেন—“অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসা করে টাকা আনা কি নৈতিক?” কিন্তু এক হিন্দু ধর্মগুরুর কথা তাকে বদলে দেয়:
“মানুষকে সাহায্য করেই যদি মানুষ জীবিকা অর্জন করতে পারত—তাহলে পৃথিবী আরও সুন্দর হতো।”

এই উপলব্ধির পর তিনি বুঝলেন তার জীবনের উদ্দেশ্য—সাহায্য করা। এরপর ক্লিফসাইড মালিবু বিক্রি হয় রেকর্ডমূল্যে ২০১৮ সালে।

===============================
ফেন্টানিল সংকট: ‘আমার অসমাপ্ত কাজ’

টেইটের পাঁচ বছরের নন–কমপিট চুক্তি তাকে কাজহীন করে তোলে। এ সময়েই তিনি দেখেন—আমেরিকায় ফেন্টানিল মহামারী ভয়ংকর আকার নিচ্ছে।

নন–কমপিট শেষ হতেই তিনি ফিরে আসেন আরও বড় পরিকল্পনা নিয়ে।

===============================
কারারা ট্রিটমেন্ট, ওয়েলনেস অ্যান্ড স্পা: বিলাসিতা ও বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ

টেইটের নতুন কেন্দ্র কারারা, যা তিনি বর্ণনা করেছেন—“ফোর সিজনস হোটেল আর evidence–based recovery–র মিশেল।”

প্রতিটি রোগীর আলাদা স্যুইট
নিজস্ব তাপমাত্রা–নিয়ন্ত্রণ
জুস বার
সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা থেরাপি
তিনটি বাধ্যতামূলক স্পা সেশন

টেইটের যুক্তি:
“Self–care থেকে self–esteem জন্মায়, সেখান থেকে self–love। যারা নিজেকে ভালোবাসে না, তারা কখনোই জীবনের ঝুঁকিপূর্ণ আসক্তি ছাড়তে পারে না।”

===============================
১ মেথড সেন্টার: গৃহহীন ও প্রাক্তন সেনাদের জন্য ১০ হাজার রোগীর মিশন

টেইট আরেকটি ব্র্যান্ড চালু করেন—১ মেথড সেন্টার। লক্ষ্য—দুই বছরে ১০,০০০ মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া, বিশেষ করে:

গৃহহীন মানুষ
প্রবীণ সেনাসদস্য
সুবিধাবঞ্চিত পরিবার

এক পরিচিত বন্ধুর কেন্দ্র দেউলিয়া হতে বসলে টেইট তিন ঘণ্টায় সেটি কিনে ফেলেন। এরপর তিনি ক্লিফসাইডের পুরনো কর্মীদের ডেকে বলেন—“সবাই আজই বাড়ি ফিরে আসো।” ১০ জন সাথে সাথেই চাকরি ছেড়ে তার দলে যোগ দেন।

“আমি সেনাদের চিকিৎসা করতে ফিরে এসেছি,” তিনি বলেন। “ওদের চিকিৎসা করা সবচেয়ে সহজ। তারা শৃঙ্খলাবদ্ধ, লড়াকু, প্রস্তুত।”

===============================
“এটাই আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে প্রাণঘাতী মহামারী”

ফেন্টানিল বছরে ১ লাখেরও বেশি মানুষকে হত্যা করছে। অনেক মৃত্যু সঠিকভাবে রেকর্ডও হয় না। টেইটের মতে—“এটি আমেরিকার ইতিহাসের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্য–সংকট।”

===============================
পডকাস্ট ‘We’re Out of Time’: জনপ্রিয়তা ও বাস্তব মুহূর্ত

টেইটের পডকাস্ট, যেটি ফেন্টানিল সংকট দিয়ে শুরু হলেও এখন মানসিক স্বাস্থ্য ও পুনর্বাসন আলোচনার কেন্দ্রস্থল। অ্যাপল পডকাস্টে এটি হেলথ বিভাগে শীর্ষ তালিকায় উঠে এসেছে।

সবচেয়ে আলোচিত পর্ব—র‍্যাপার জ্যানম্যান যখন অনুষ্ঠানের মাঝেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। টেইট তাকে লাইভ–অন–এয়ার চিকিৎসায় পাঠাতে রাজি করান।

===============================
ধনী–গরিব সবার চিকিৎসক: অভিজ্ঞতার শেয়ার

বিলিয়নিয়ার থেকে রাস্তায় থাকা মানুষ—সবাইকে তিনি চিকিৎসা দিয়েছেন। তার মতে—

ধনী/খ্যাতিমানদের পুনর্বাসন কঠিন কারণ “এনাবলাররা” তাদের কাজে ফিরে যেতে চাপ দেয়
কিন্তু তারা সাধারণত বিনয়ী ও কৃতজ্ঞ
যারা ভান করে চলে—তারাই সবচেয়ে অসুখী

===============================
২০+ বছরের sobriety: টেইটের দৈনন্দিন শৃঙ্খলা

তিনি ভোর ৩:৩০–৪টার মধ্যে ওঠেন ধ্যানের জন্য। প্রতিদিন প্রার্থনা, ব্যায়াম, সাধারণ খাবার, সপ্তাহে তিনদিন থেরাপি—এসবই তার জীবনের স্থির রুটিন।

টেইট বলেন—“আমার মতো পাঁচ বছরের শিশুকে ভেতরে লুকিয়ে রাখা হয় যখন পরিবার ভালোবাসা না দিয়ে আঘাত করে। থেরাপি আমাকে শিখিয়েছে—আমি জন্ম থেকেই ঠিক ছিলাম।”

===============================
তার উত্তরাধিকার: সন্তানদের দায়িত্ববোধ শেখানো

“আমি চাই আমার সন্তানরা জানুক—তাদের অবস্থান দায়িত্বের সাথে আসে। তারা যেন পৃথিবীকে আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় রেখে যায়।”

তার নতুন বই ‘Experiencing Transcendence’ (অক্টোবর ২০২৫) আসক্তি ও ট্রমা থেকে মুক্তির গভীর দর্শন তুলে ধরেছে।

টেইট বলেন—
“আসক্তি কোনো মৃত্যুদণ্ড নয়। এটা শুধু একটি স্পিড বাম্প। sober হলে একই বা তার চেয়েও ভালো জীবন পাওয়া উচিত। আর যদি আনন্দ নিয়ে অন্যকে সাহায্য করতে পারো—তা সবসময় কাজে দেয়।”