এক আফগান নাগরিকের গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত ও আহত হওয়ার ঘটনার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে কঠোর অভিবাসন নীতি গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে অভিবাসন ‘সম্পূর্ণ বন্ধ করা’ এবং ‘উল্টো অভিবাসন’ শুরু করার কথা জানিয়েছেন।
ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা
ট্রাম্প দাবি করেন, বর্তমান অভিবাসন নীতি দেশের অগ্রগতিকে দুর্বল করেছে। তাই দেশকে পুনরুদ্ধারের সময় দিতে সবার আগে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কঠোর করা জরুরি।
মূল ঘোষণা
• তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে অভিবাসন ‘স্থায়ীভাবে স্থগিত’ করা হবে।
• বাইডেন প্রশাসনের ‘অটোপেন অনুমোদন’-এর মাধ্যমে দেশে প্রবেশ করেছে এমন ‘মিলিয়ন’ অভিবাসীর অনুমতি বাতিল করা হবে।
• যারা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ‘নেট সম্পদ নয়’ বা যারা ‘দেশকে ভালোবাসতে অক্ষম’—এমন সব বিদেশিকে অপসারণের প্রতিশ্রুতি।
• অ-নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ফেডারেল সুবিধা বন্ধ করা হবে।
• যারা দেশের শান্তি বিনষ্ট করে—এমন নাগরিকত্বপ্রাপ্ত অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বাতিল করা হবে।
• রাষ্ট্রের ওপর বোঝা, নিরাপত্তা হুমকি কিংবা ‘পাশ্চাত্য সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’—এমন বিদেশিদের নির্বাসন।
ট্রাম্প বলেন, অবৈধ ও অনিয়ন্ত্রিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির সমাধান একমাত্র ‘উল্টো অভিবাসন’।
থ্যাংকসগিভিং বার্তায় তিনি লেখেন:
“যারা ঘৃণা, চুরি, হত্যা করে এবং আমেরিকার মূল্যবোধ ধ্বংস করে—তাদের বাদে সকলকে শুভ থ্যাংকসগিভিং। তোমরা এখানে বেশি দিন থাকবে না!”

ওয়াশিংটন ডিসি গুলিকাণ্ড: এক ন্যাশনাল গার্ডের মৃত্যু
হোয়াইট হাউস জানায়, ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ন্যাশনাল গার্ড সদস্য স্পেশালিস্ট সারা বেকস্ট্রম কাছ থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
• ঘটনা ঘটে হোয়াইট হাউস থেকে মাত্র কয়েক ব্লক দূরে, থ্যাংকসগিভিংয়ের আগের দিন।
• গুলিতে দুই গার্ড সদস্য পড়েন; দ্রুত নিন্দা আসে ফেডারেল মহল থেকে।
অভিযুক্ত
• হামলাকারী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে ২৯ বছর বয়সী আফগান নাগরিক রহমানউল্লাহ লাখানওয়ালকে।
• তিনি ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন।
• কর্তৃপক্ষের ধারণা, তিনি একাই হামলা চালিয়েছেন।
দ্বিতীয় গার্ড সদস্যের অবস্থা
• আহত অপর ন্যাশনাল গার্ড সদস্য এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
• তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তবে ফেডারেল তদন্ত দল তার শারীরিক অবস্থার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করছে।
ঘটনা ঘিরে ট্রাম্পের মন্তব্য
ট্রাম্প বারবার উল্লেখ করেছেন যে অভিযুক্ত ব্যক্তি আফগান নাগরিক এবং তিনি বাইডেন প্রশাসনের কথিত ‘অটোপেন অনুমোদনে’ দেশে প্রবেশ করেছিলেন।
ট্রাম্পের দাবি, এই ঘটনা প্রমাণ করে যে জরুরি ভিত্তিতে কঠোর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন নীতি নিয়ে বিতর্ক আরও তীব্র হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন প্রস্তাব দেশজুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়িয়েছে।
#ট্রাম্প #যুক্তরাষ্ট্র #অভিবাসন #ওয়াশিংটনডিসি #ন্যাশনালগার্ড #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















