১১:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : যুক্তিসংগত শাস্তির বিধান প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল চাট্টাল নদী: উৎপত্তি, ভূগোল ও মানুষের জীবন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের নবগঠিত কমিটি অনুমোদন জুলাই ২০২৪ বিদ্রোহ–সংশ্লিষ্ট ১০৬ মামলায় চার্জশিট দাখিল, ২০৮৩ জনের অব্যাহতির সুপারিশ চট্টগ্রামে রোড ক্র্যাশে নিহত–আহতদের স্মরণে মানববন্ধন ভোট ছিনতাইয়ের যে কোনো চেষ্টা ব্যর্থ হবে: জামায়াত নেতা বাংলাদেশে জননিরাপত্তা জোরদারে ডিজিটাল ও কমিউনিটি-ভিত্তিক উদ্যোগের তাগিদ সাম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের উদ্বোধন বৃহস্পতিবার ক্ষমতায় এলে মেগাপ্রকল্প নয়, তৃণমূলে বিনিয়োগেই অগ্রাধিকার দেবে বিএনপি ডেঙ্গুতে আরও ২ জনের মৃত্যু, এক দিনে হাসপাতালে ৫৬৫

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : যুক্তিসংগত শাস্তির বিধান প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ সম্পর্কিত মামলাগুলোতে আরও কঠোর ও যুক্তিসংগত শাস্তির বিধান প্রণয়নের বিষয়টি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না—তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।

রুল জারির নির্দেশ
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।

রিটের পটভূমি
এর আগে রোববার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রণয়ন চেয়ে একটি রিট করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বর্তমান আইন ও আপত্তির বিষয়
অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া জানান—
বাংলাদেশ পেনাল কোডে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা রয়েছে।
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনেও একই মেয়াদের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
তার মতে, এই সাজা অপ্রতুল; ফলে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মতো অনেকেই মহান আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে কটূক্তি করতে সাহস পাচ্ছেন।

রিটে কী চাওয়া হয়েছে
রিটে দাবি করা হয়েছে—
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করা হোক।
কঠোর শাস্তির বিধান থাকলে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস করবে না।

হাইকোর্টের এই রুলের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শাস্তি বাড়ানোর দাবি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এখন রুলের জবাবের পর আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : যুক্তিসংগত শাস্তির বিধান প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত : যুক্তিসংগত শাস্তির বিধান প্রণয়নে হাইকোর্টের রুল

১০:৪৯:১২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৫

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ সম্পর্কিত মামলাগুলোতে আরও কঠোর ও যুক্তিসংগত শাস্তির বিধান প্রণয়নের বিষয়টি কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না—তা জানতে হাইকোর্ট রুল জারি করেছে।

রুল জারির নির্দেশ
মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।

রিটের পটভূমি
এর আগে রোববার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগের মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান প্রণয়ন চেয়ে একটি রিট করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে আইন সচিব, মন্ত্রিপরিষদ সচিবসহ কয়েকজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বর্তমান আইন ও আপত্তির বিষয়
অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া জানান—
বাংলাদেশ পেনাল কোডে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সর্বোচ্চ দুই বছরের সাজা রয়েছে।
নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনেও একই মেয়াদের সাজার বিধান রাখা হয়েছে।
তার মতে, এই সাজা অপ্রতুল; ফলে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের মতো অনেকেই মহান আল্লাহ ও নবীকে নিয়ে কটূক্তি করতে সাহস পাচ্ছেন।

রিটে কী চাওয়া হয়েছে
রিটে দাবি করা হয়েছে—
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে নতুন আইন প্রণয়ন করা হোক।
কঠোর শাস্তির বিধান থাকলে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস করবে না।

হাইকোর্টের এই রুলের মাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের শাস্তি বাড়ানোর দাবি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। এখন রুলের জবাবের পর আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।