জয়পুরহাট সদর উপজেলায় গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা, এ সময় হামলায় তাঁর ভাতিজি আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
নিজ বাড়িতেই নির্মম আক্রমণ
পরিবারের সদস্যদের ভাষ্য, সবাই ঘুমিয়ে থাকার সময় হঠাৎ কিছু লোক ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই নারীর ওপর হামলা চালায়। চিৎকার শুনে পাশে থাকা ভাতিজি এসে বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে প্রতিবেশীরা রক্তাক্ত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নারীটিকে মৃত ঘোষণা করেন।
টার্গেটেড কিলিংয়ের সন্দেহ পুলিশের
পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেছে, প্রাথমিকভাবে এটি পরিকল্পিত ও লক্ষ্যভিত্তিক হামলা বলেই মনে হচ্ছে। পূর্বশত্রুতা, পারিবারিক দ্বন্দ্ব বা জমি–সম্পত্তি বিরোধ—সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহভাজন কয়েকজনকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
গ্রামজুড়ে আতঙ্ক ও নিরাপত্তা প্রশ্নে আলোচনার ঝড়
ঘটনার পর পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে নারী ও বয়স্ক সদস্যদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসীরা রাতের পাহারা বৃদ্ধি, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও নিয়মিত পুলিশ টহলের দাবি তুলেছেন।
নারীর নিরাপত্তা ও আইন–শৃঙ্খলা নিয়ে নতুন উদ্বেগ
এই হত্যাকাণ্ড আবারও দেখাল, গ্রামীণ এলাকায় পারিবারিক বা স্থানীয় দ্বন্দ্ব যখন সহিংসতায় রূপ নেয়, তখন সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন নারীরা। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, দ্রুত ঘটনার বিচার ও উদাহরণযোগ্য শাস্তি নিশ্চিত করা না গেলে নারী ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থাহীনতা আরও বাড়বে।
#জয়পুরহাট #নারীনিরাপত্তা #হত্যাকাণ্ড #আইনশৃঙ্খলা #গ্রামীনবাংলাদেশ #ক্রাইমনিউজ #বাংলাদেশনিউজ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















