পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি সরকারি কোয়ার্টার এলাকায় বস্তার ভেতর আটটি কুকুরছানাকে বেঁধে পুকুরে ফেলে হত্যার অভিযোগে এক নারীকে প্রাণিজ কল্যাণ আইনে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড
স্থানীয়রা জানান, সরকারি কর্মচারীর বাসার আঙিনায় থাকা একটি কুকুরের ছানাগুলোকে ধরে বস্তায় ভরে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কেউ একজন মোবাইলে ভিডিও করে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পরে অভিযুক্ত নারী ওই সরকারি কর্মকর্তার বাসা ছেড়ে অন্য বাড়িতে উঠতে গেলে এলাকাবাসী ও পুলিশ মিলে তাকে আটক করে।
প্রাণিজ কল্যাণ আইনে মামলা, আইনি দৃষ্টান্তের দাবি
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাণিজ কল্যাণ আইন ২০১৯-এর ধারায় এই ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে। প্রাণী অধিকার ও পরিবেশ সংগঠনগুলো বলছে, পশু নির্যাতনের বেশির ভাগ ঘটনায় মামলা হলেও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখা যায় না, সেজন্যই এমন নিষ্ঠুরতা থামে না। এ মামলায় দ্রুত বিচার হলেই তা শক্ত বার্তা দেবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আক্রোশ ও জনমত চাপ
ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ফেসবুকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে হাজারো মানুষ ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। অনেকেই পশু নির্যাতনকারীদের কঠোর শাস্তি, স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও প্রাণী কল্যাণ আইন বাস্তবায়নে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন।
প্রাণী অধিকার আলোচনায় নতুন মোড়
কুকুরছানা হত্যার এই ঘটনা শুধু স্থানীয় নয়, জাতীয় আলোচনায়ও উঠে এসেছে। শহর–গ্রাম সব জায়গায় পথকুকুর ও গৃহপালিত প্রাণীর প্রতি আচরণ, মানবিকতা ও আইনি সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা, শিক্ষা ও কঠোর আইন প্রয়োগ একসঙ্গে না হলে এ ধরনের নির্যাতন বন্ধ হবে না।
#পাবনা #ঈশ্বরদী #প্রাণিজকল্যাণআইন #কুকুরছানাহত্যা #পশুনির্যাতন #AnimalWelfare #বাংলাদেশনিউজ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 

















