চুয়াডাঙ্গায় ১২.২ ডিগ্রি তাপমাত্রায় শীতের তীব্রতা বাড়ায় গরম কাপড়ের অভাব ও কম আয়ের সংকটে পড়েছেন নিম্নআয়ের মানুষজন। দিনভর ঠান্ডা আর কুয়াশার কারণে কাজকর্ম ব্যাহত হয়ে জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে উঠেছে।
চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বৃহস্পতিবার সারাদিন সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন। বিশেষভাবে বিপাকে পড়েছেন দিনমজুর, রিকশাচালকসহ নিম্নআয়ের শ্রমজীবীরা, যাদের দৈনিক আয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ও ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ১২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। সারাদিনের ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস জনজীবনে ভোগান্তি বাড়িয়ে দেয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইন-চার্জ জামিনুর রহমান জানান, বুধবার তাপমাত্রা ছিল ১৩.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে আরও কয়েকদিন শীত বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় পুরো জেলা। রোদ উঠলেও শীতের তীব্রতা কমেনি। ফলে শ্রমজীবী মানুষের কাজের গতি কমে যায়, আয়ও কমতে থাকে।

রিকশা চালক, দিনমজুরসহ নিম্নআয়ের মানুষের অবস্থাই সবচেয়ে খারাপ। শীতে কাজে গতি কমে যাওয়ায় দৈনিক আয় আগের তুলনায় অনেক কমছে। গরম কাপড় না থাকায় তাদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে।
রিকশাচালক লিয়াকত আলী বলেন, শীতে হাত-পা অবশ হয়ে আসে। যাত্রীও কম, ফলে আয়ও কমে গেছে।
এক দিনমজুর জানান, তাদের পর্যাপ্ত গরম কাপড় নেই। রোদ উঠলেও শীত কাটে না, কাজে মনোযোগ দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
#চুয়াডাঙ্গা #শীত #তাপমাত্রা১২ডিগ্রি #নিম্নআয়েরমানুষ #গরমকাপড়অভাব #দুর্ভোগ #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















