পরিবেশ উপদেষ্টা সায়েদা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের ‘ভেরি, ভেরি ইমপর্ট্যান্ট পারসন’ বা ভিভিআইপি শ্রেণিতে বর্তমানে শুধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াই সরকার ঘোষিত নির্ধারিত সুবিধাগুলো পাওয়ার অধিকারী। তার নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স বা এসএসএফ ইতোমধ্যে নিয়োজিত হয়েছে।
উপদেষ্টার বক্তব্য: কে ভিভিআইপি সুবিধা পাবেন
পররাষ্ট্রসেবা একাডেমিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান জানান, খালেদা জিয়াকে ভিভিআইপি ঘোষণা করে সরকার ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ সুবিধা তার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রযোজ্য কি না—এ নিয়ে যে জল্পনা ছিল, তা তিনি নাকচ করেন।
ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টামণ্ডলীর বৈঠকের সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরা হয়।

ইউনূসের হাসপাতাল পরিদর্শন
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৩ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার খোঁজখবর নেন। তিনি প্রায় ৩০ মিনিট সেখানে অবস্থান করেন।
ইউনূস খালেদা জিয়ার পরিবার ও দলীয় নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি দেশবাসীকেও খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া করতে অনুরোধ জানান।
লন্ডনে নেয়ার সিদ্ধান্ত
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, চিকিৎসক বোর্ড সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত কিংবা শুক্রবার ভোরে তাকে লন্ডনে পাঠানো হতে পারে।
তিনি জানান, কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে লন্ডনে নেয়া হবে। সেখানে একটি হাসপাতালও নির্ধারণ করা হয়েছে। দুইজন বিদেশিসহ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তার সঙ্গে থাকবেন।

চিকিৎসার বর্তমান অবস্থা
ডা. জাহিদ বলেন, চিকিৎসক বোর্ডের সব নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা হচ্ছে। বোর্ড মনে করছে, এই পর্যায়ে তাকে লন্ডনে পাঠানোই সবচেয়ে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত। তিনি জাতির কাছে খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, কাতারের আমির তার বিদেশযাত্রায় প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল হক চৌধুরী জানান, কাতার থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে এ বছরের ৮ জানুয়ারি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য কাতারের আমির পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন গিয়েছিলেন এবং ৬ মে দেশে ফেরেন।

হাসপাতালে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণ
বহু শারীরিক জটিলতা নিয়ে খালেদা জিয়াকে ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। ২৭ নভেম্বর অবস্থার অবনতি হলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন।
ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তার লিভার, কিডনি ও হার্টসংক্রান্ত বেশ কিছু জটিলতার জন্য নিবিড় চিকিৎসা চলছে।
প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সহায়তায় তার সার্বিক চিকিৎসা তদারকি করছে।
#bangladesh #khaledazia #vvip #healthupdate #sarakhonreport
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















