ঢাকার বাজারে মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের কেজিপ্রতি দাম ৪০–৫০ টাকা বেড়ে ১৪০–১৫০ টাকায় পৌঁছেছে। পাইকারি বাজারে হঠাৎ মূল্যবৃদ্ধির চাপ সরাসরি খুচরা দামে পড়ে সাধারণ ক্রেতাদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাইকারি বাজারে হঠাৎ দাম বাড়ার প্রভাব
শনিবার (৬ ডিসেম্বর ২০২৫) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পাইকারিতে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ ৬৫০–৬৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই দিন আগেও যার দাম ছিল ৪৮৫–৫০০ টাকা। পাইকারি পর্যায়ে এই অতিরিক্ত ব্যয় খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি ১৪০–১৫০ টাকার নতুন বিক্রয়মূল্য তৈরি করেছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ

উত্তর বাড্ডার ব্যবসায়ী আমিনুল হক জানান, মঙ্গলবার পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ১০০ টাকা। এখন পাল্লাপ্রতি দাম এক লাফে বেড়ে ৬৮০ টাকায় ঠেকেছে।
আরেক ব্যবসায়ী রবিউল বলেন, দুই দিনেই কেজিপ্রতি প্রায় ৫০ টাকা বেড়েছে। প্রতিটি বস্তার দামও ৮৫০–১,০০০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
যৌক্তিক কারণ নেই, বলছেন ব্যবসায়ীরা
রমপুরার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হারুনুর রশিদ জানান, মৌসুমের নতুন ‘মুরিকাটা’ পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করেছে। ফলে দাম কমার কথা। কিন্তু বাস্তবে দাম আরও বেড়েছে, যা ব্যবসায়ীদের কাছে অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে।
নতুন পেঁয়াজেও দাম বাড়ার প্রবণতা
সীমিত সরবরাহের কারণে নতুন মুরিকাটা পেঁয়াজের দামও বেড়ে কেজিতে প্রায় ৯০ টাকায় পৌঁছেছে। কয়েক দিন আগেও এর দাম ছিল ৭০–৮০ টাকা।

আমদানি বন্ধ থাকায় চাপ
কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মোমিনুল বলেন, পুরোনো পেঁয়াজের দাম বাড়ায় অনেকেই নতুন মুরিকাটার দিকে ঝুঁকছেন। কিন্তু সরবরাহ কম থাকায় তা বাজারে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে।
ক্রেতাদের ক্ষোভ
হঠাৎ এমন মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। রমপুরার গৃহিণী রাবেয়া আখতার বলেন, দুই দিনেই কেজিতে ৫০ টাকা বাড়া মোটেও যুক্তিসংগত নয়।
আরেক ক্রেতা ইহসানুল হক মনে করেন, বাজারে নজরদারি না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। মনিটরিং জোরদার না হলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হতেই থাকবে।
কঠোর বাজার তদারকির দাবি
ক্রেতা ও বিশেষজ্ঞদের মতে, বাজারে কঠোর তদারকি না থাকলে পেঁয়াজের দাম আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে। সঠিক বাজার নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করাই এখন জরুরি।
# বাজারদর পেঁয়াজ মূল্যবৃদ্ধি ভোক্তাসংকট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















