০৭:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের অর্থনীতি কি ‘সোনালি টয়লেট’ দিয়ে বাঁচবে? চীনের এআই দৌড়: মার্কিন অবরোধ টপকে দেশীয় চিপের উত্থান রাশিয়ার ওপর নতুন মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: তেলের বাজারে ধাক্কা ও চাপ বাড়ছে চীনা শাশুড়ির ব্যতিক্রমী ত্যাগ: কোমায় থাকা পুত্রবধূর জন্য পাঁচ বছর ধরে সেবা, চিকিৎসা খরচে এক কোটি ইউয়ান ধার জামায়াতের অপপ্রচারে ক্ষোভ প্রকাশ তারেক রহমানের মাদাগাস্কারে সামরিক অভ্যুত্থান: খনিজ খাতে বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত আফ্রিকার নীল অর্থনীতি জাগছে: অবহেলিত মৎস্য সম্পদে নতুন সম্ভাবনার ঢেউ আফ্রিকার উন্নয়ন এজেন্ডায় বেসরকারি খাতের শক্তিশালী দাবি জোহানেসবার্গের বি২০ সম্মেলনে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত সাংবাদিক শওকত মাহমুদ ডিবি হেফাজতে

ইউরোপের নতুন টেকসই আইন নিয়ে উপসাগরীয় উদ্বেগ: ইউরোপে ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়তে পারে গালফ কোম্পানিগুলো

ইউরোপের দুই নতুন আইনে গভীর উদ্বেগ

গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) জানিয়ে দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) করপোরেট টেকসই দায়িত্ব ও টেকসই তথ্য-প্রতিবেদন সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবিত আইন উপসাগরীয় অঞ্চলের কোম্পানিগুলোর ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। জিসিসি বলছে, এই আইন কার্যকর হলে ইউরোপে ব্যবসা করা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইইউ-র টেকসই কাঠামো মেনে চলতে হবে এবং অতিরিক্ত মানবাধিকার ও পরিবেশগত শর্ত পূরণ করতে হবে।

অতিরিক্ত পরিকল্পনা ও রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা

জিসিসি জানায়, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক চুক্তির বাইরে গিয়ে জলবায়ু-সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। এছাড়া, বিস্তারিত টেকসই প্রভাব প্রতিবেদন না দিলে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

Geopolitics and Economic Statecraft in the European Union | Carnegie  Endowment for International Peace

ইউরোপীয় সংশোধনাও জিসিসির প্রত্যাশা মেটায়নি

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বেশ কিছু ধারা সহজ করার সংশোধনী এনেও জিসিসির উদ্বেগ দূর করতে পারেনি। গালফ রাষ্ট্রগুলো মনে করে, এসব সংশোধনাও ইউরোপে কার্যরত গালফ কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং ব্যবসায়িক স্থায়িত্বে আঘাত হানতে পারে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিসিসির প্রতিশ্রুতি

জিসিসি জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে মানবাধিকার, পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় আইন পরিচালনা করছে। উপসাগরীয় দেশগুলো প্যারিস চুক্তি থেকে শুরু করে জাতিসংঘের বিভিন্ন জলবায়ু ফোরামে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে।

Qatar and US warn EU law could threaten energy security as GECF ministers  meet | Euronews

জ্বালানি সরবরাহ ও প্রভাবের আশঙ্কা

গালফ রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপে স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করে আসছে। কিন্তু ইইউর নতুন আইন নিয়ে চলমান আলোচনা সেই সরবরাহের স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে জিসিসির সতর্কবার্তা।

বাজার ছাড়ার পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে

জিসিসির মতে, গালফ অঞ্চলের কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম নীতিমালা মেনেই ব্যবসা করলেও নতুন আইন কার্যকর হলে তারা ঝুঁকি বিবেচনা করে ইউরোপীয় বাজার থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও ভেবে দেখতে পারে।

U.S., Qatar Warn EU States of Energy, Trade Consequences of Supply Chain Sustainability  Law - ESG Today

ইউরোপকে জিসিসির অনুরোধ

গালফ ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আইনটি বাতিল করার বা কমপক্ষে শুধুমাত্র ইইউর অভ্যন্তরে সীমিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এর সীমান্তপারের প্রভাব এড়ানো যায়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের অর্থনীতি কি ‘সোনালি টয়লেট’ দিয়ে বাঁচবে?

ইউরোপের নতুন টেকসই আইন নিয়ে উপসাগরীয় উদ্বেগ: ইউরোপে ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়তে পারে গালফ কোম্পানিগুলো

০১:২৩:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ইউরোপের দুই নতুন আইনে গভীর উদ্বেগ

গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) জানিয়ে দিয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) করপোরেট টেকসই দায়িত্ব ও টেকসই তথ্য-প্রতিবেদন সংক্রান্ত দুটি প্রস্তাবিত আইন উপসাগরীয় অঞ্চলের কোম্পানিগুলোর ওপর বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে পারে। জিসিসি বলছে, এই আইন কার্যকর হলে ইউরোপে ব্যবসা করা বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইইউ-র টেকসই কাঠামো মেনে চলতে হবে এবং অতিরিক্ত মানবাধিকার ও পরিবেশগত শর্ত পূরণ করতে হবে।

অতিরিক্ত পরিকল্পনা ও রিপোর্টিং বাধ্যবাধকতা

জিসিসি জানায়, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী কোম্পানিগুলোকে বিদ্যমান আন্তর্জাতিক চুক্তির বাইরে গিয়ে জলবায়ু-সংক্রান্ত নতুন পরিকল্পনা জমা দিতে হবে। এছাড়া, বিস্তারিত টেকসই প্রভাব প্রতিবেদন না দিলে আর্থিক জরিমানার মুখে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

Geopolitics and Economic Statecraft in the European Union | Carnegie  Endowment for International Peace

ইউরোপীয় সংশোধনাও জিসিসির প্রত্যাশা মেটায়নি

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বেশ কিছু ধারা সহজ করার সংশোধনী এনেও জিসিসির উদ্বেগ দূর করতে পারেনি। গালফ রাষ্ট্রগুলো মনে করে, এসব সংশোধনাও ইউরোপে কার্যরত গালফ কোম্পানিগুলোর প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানকে দুর্বল করে দিতে পারে এবং ব্যবসায়িক স্থায়িত্বে আঘাত হানতে পারে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জিসিসির প্রতিশ্রুতি

জিসিসি জানিয়েছে, তারা ইতিমধ্যে মানবাধিকার, পরিবেশ ও জলবায়ু সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জাতীয় আইন পরিচালনা করছে। উপসাগরীয় দেশগুলো প্যারিস চুক্তি থেকে শুরু করে জাতিসংঘের বিভিন্ন জলবায়ু ফোরামে নিয়মিতভাবে প্রতিবেদন জমা দিচ্ছে।

Qatar and US warn EU law could threaten energy security as GECF ministers  meet | Euronews

জ্বালানি সরবরাহ ও প্রভাবের আশঙ্কা

গালফ রাষ্ট্রগুলো দীর্ঘদিন ধরে ইউরোপে স্থিতিশীল জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করে আসছে। কিন্তু ইইউর নতুন আইন নিয়ে চলমান আলোচনা সেই সরবরাহের স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে জিসিসির সতর্কবার্তা।

বাজার ছাড়ার পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে

জিসিসির মতে, গালফ অঞ্চলের কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিক সর্বোত্তম নীতিমালা মেনেই ব্যবসা করলেও নতুন আইন কার্যকর হলে তারা ঝুঁকি বিবেচনা করে ইউরোপীয় বাজার থেকে সরে দাঁড়ানোর কথাও ভেবে দেখতে পারে।

U.S., Qatar Warn EU States of Energy, Trade Consequences of Supply Chain Sustainability  Law - ESG Today

ইউরোপকে জিসিসির অনুরোধ

গালফ ব্লক ইউরোপীয় ইউনিয়নকে আইনটি বাতিল করার বা কমপক্ষে শুধুমাত্র ইইউর অভ্যন্তরে সীমিত রাখার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে এর সীমান্তপারের প্রভাব এড়ানো যায়।