০৭:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত: রাজ্যসভায় ‘বন্দে মাতরম’ বিতর্কে খড়্গের তীব্র আক্রমণ বিজেপিকে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২ মিলিয়ন ডলার কিনল: বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতি ফেরাতে নতুন পদক্ষেপ হুইস্কি বিক্রি শুরু করলো সৌদি আরব বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ ১০৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো: সুদের বাড়তি চাপ নিয়ে বিশ্বব্যাংক নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নে অনলাইনে জনমত নেবে জামায়াত এমিনেমকে নিয়ে বিব্রতকর প্রশ্ন, কেট উইন্সলেটের সেই এসএনএল স্মৃতিই এখন ভাইরাল ডিসেম্বর ৯ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ৪০০ ছাড়াল উত্তর-পূর্ব জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা প্রত্যাহার জাপানের সামরিক হুমকি নিয়ে চীনের তীব্র অভিযোগ, তাইওয়ান ইস্যুতে বাড়ছে উত্তেজনা ইন্দোনেশিয়ার বন্যায় টাপানুলি ওরাংওটাং আরও বিপদে

ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনায় কুশনারের অর্থায়ন: ট্রাম্পের স্বার্থ নিয়ে নৈতিক প্রশ্ন

প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের একশো আট বিলিয়ন ডলারের শত্রুতা-মূলক প্রস্তাবে জামাতা জারেড কুশনারের অর্থায়ন যুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সংঘাতে নতুন করে নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে নেটফ্লিক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী বিডকে চ্যালেঞ্জ করেছে, আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সরকারের অ্যান্টিট্রাস্ট নজরদারি ও প্রেসিডেন্টের ভূমিকা এখন মূল আলোচনায়।

কুশনারের অর্থের উৎস ও মধ্যপ্রাচ্যযোগ
অ্যাফিনিটি পার্টনার্স নামে কুশনারের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কেনার প্রস্তাবে অর্থ জোগাড় করছে। এর সঙ্গে আছে সৌদি আরব ও কাতারের সার্বভৌম তহবিল এবং আবুধাবিভিত্তিক লি’মাদ হোল্ডিং কোম্পানির বিনিয়োগ।
সমালোচকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কুশনারের সক্রিয় ভূমিকা এবং একই অঞ্চলের তহবিল থেকে তার প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি ডলারের অর্থপ্রবাহ—দুই মিলে স্বার্থের সংঘাতের আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য ও ‘দূরত্ব বজায় রাখার’ প্রশ্ন
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্স চুক্তি নিয়ে তিনি কুশনারের সঙ্গে কথা বলেননি এবং প্যারামাউন্ট বা নেটফ্লিক্স—কেউই তার “বন্ধু” নয়।
এর পরের দিনই তিনি ঘোষণা করেন, নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবিত ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিও ও স্ট্রিমিং সম্পদ অধিগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তিনি নিজে ভূমিকা রাখবেন। এই ঘোষণাই বিশেষজ্ঞদের কাছে বড় সতর্ক সংকেত—কারণ যেকোনো সিদ্ধান্ত সরাসরি তার জামাতার অর্থায়িত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রস্তাবকে প্রভাবিত করতে পারে।

অ্যান্টিট্রাস্ট নজরদারির বড় পরীক্ষা
প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স হোক কিংবা নেটফ্লিক্স—ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগীয় অ্যান্টিট্রাস্ট ইউনিটের কঠোর ছাঁকনি পেরোতে হবে।
প্রতিযোগিতা কমে গেলে বা গ্রাহক–বিজ্ঞাপনদাতাদের খরচ বাড়লে, বিচার বিভাগ প্রস্তাব আটকে দিতে কিংবা কঠোর শর্ত বেঁধে দিতে পারে। ফলে কে শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হবে, সেটির ওপর সরকারেরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকছে। এই জায়গাতেই প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত–পারিবারিক স্বার্থ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে সিদ্ধান্তের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

Kushner role in bid for Warner Bros raises ethical questions, experts say |  Reuters

‘ব্যবসা বনাম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব’—বিশেষজ্ঞদের মত
করপোরেট শাসন ও নৈতিকতা অনুসন্ধানী ভ্যালুএজ অ্যাডভাইজার্সের চেয়ার নেল মিনো মন্তব্য করেছেন, ব্যবসা শিক্ষায় স্বার্থের সংঘাত বোঝাতে চাইলে এই উদাহরণটি “প্রথম পাতা”তে রাখা যায়। তার মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের উচিত যে কোনো অনুমোদন প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ানো, যাতে সন্দেহ না থাকে যে তিনি নিজের পরিবারের আর্থিক স্বার্থকে সুবিধা দিচ্ছেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী সিটিজেন্স ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্সের জর্ডান লিবোভিৎজ মনে করিয়ে দেন, আইনগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ফেডারেল স্বার্থ–সংঘাত আইনের আওতার বাইরে থাকলেও প্রচলিত রীতি হলো নিজ ব্যবসা থেকে নিজেকে আলাদা রাখা এবং পরিবারের ব্যবসা সিদ্ধান্ত থেকে দূরে থাকা—যাতে নাগরিকরা সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলে।

আগেও উঠেছে কুশনারকে ঘিরে প্রশ্ন
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কুশনার হোয়াইট হাউসে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি আনুষ্ঠানিক পদ না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে এখনও কাজ করছেন বলে পরিচিত মহল জানায়।
এর আগেই কুশনার–ট্রাম্প সম্পর্ককে ঘিরে লাভবান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাজা উপকূলকে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসৈকত রিসোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার যে ধারণা ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তার আগেই কুশনার অনুরূপ প্রস্তাব ভেতরে ভেতরে তুলেছিলেন বলে খবর রয়েছে। একই সঙ্গে, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন প্রচেষ্টার সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কুশনারের প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের অর্থ আসায় স্বার্থের জটিলতা আরও বেড়েছে বলে সমালোচকদের মত।

স্বচ্ছতা নিয়ে নাগরিক সংগঠনের সতর্কতা
পাবলিক ইন্টারেস্ট গ্রুপ প্রজেক্ট অন গভর্নমেন্ট ওভারসাইট–এর আইনি উপদেষ্টা স্কট এমি বলেন, সরকার পরিচালনা আর পরিবারের ব্যবসা—এই দুইয়ের সীমানা প্রতিদিন আরও ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। তার মতে, ট্রাম্পের উচিত ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনাবেচা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা, যেন কুশনার বা প্যারামাউন্টকে সহায়তা করছেন—এমন ধারণা জন্ম না নেয়।

ট্রাম্প পরিবারের ব্যবসা ও ভবিষ্যৎ লাভের আশঙ্কা
ট্রাম্পের বহুমিলিয়ন ডলারের রিয়েল এস্টেট, গলফ, মিডিয়া ও অন্যান্য ব্যবসা এখন একটি ট্রাস্টের অধীনে, যা তার সন্তানরা পরিচালনা করছেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পর এই ট্রাস্ট থেকে সম্পদ নিজের নামে তুলে নিতে পারবেন।
সমালোচকদের যুক্তি, এখন যদি নীতিনির্ধারণ ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয় যা তার পরিবারের ব্যবসায়িক অংশীদারদের জন্য লাভজনক, তবে ভবিষ্যতে ট্রাম্প সরাসরি সেই আর্থিক সুফল ভোগ করতে পারবেন—ফলে বর্তমান সিদ্ধান্তও নৈতিকভাবে ‘স্বার্থের সংঘাত’-এর মধ্যে পড়ে যায়।

#ওয়ার্নারব্রাদার্স
#জারেডকুশনার
#প্যারামাউন্টস্কাইড্যান্স
#নেটফ্লিক্সডিল
#ট্রাম্পপ্রশাসন
#স্বার্থেরসংঘাত
#মিডিয়াডিল
#হোয়াইটহাউসবিতর্ক
#মার্কিনরাজনীতি
#মধ্যপ্রাচ্যবিনিয়োগ

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতীয় রাজনীতি উত্তপ্ত: রাজ্যসভায় ‘বন্দে মাতরম’ বিতর্কে খড়্গের তীব্র আক্রমণ বিজেপিকে

ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনায় কুশনারের অর্থায়ন: ট্রাম্পের স্বার্থ নিয়ে নৈতিক প্রশ্ন

০৫:৫৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৫

প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্সের একশো আট বিলিয়ন ডলারের শত্রুতা-মূলক প্রস্তাবে জামাতা জারেড কুশনারের অর্থায়ন যুক্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পারিবারিক ব্যবসা ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সংঘাতে নতুন করে নৈতিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রস্তাবটি ইতিমধ্যে নেটফ্লিক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী বিডকে চ্যালেঞ্জ করেছে, আর চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে সরকারের অ্যান্টিট্রাস্ট নজরদারি ও প্রেসিডেন্টের ভূমিকা এখন মূল আলোচনায়।

কুশনারের অর্থের উৎস ও মধ্যপ্রাচ্যযোগ
অ্যাফিনিটি পার্টনার্স নামে কুশনারের বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কেনার প্রস্তাবে অর্থ জোগাড় করছে। এর সঙ্গে আছে সৌদি আরব ও কাতারের সার্বভৌম তহবিল এবং আবুধাবিভিত্তিক লি’মাদ হোল্ডিং কোম্পানির বিনিয়োগ।
সমালোচকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে কুশনারের সক্রিয় ভূমিকা এবং একই অঞ্চলের তহবিল থেকে তার প্রতিষ্ঠানের কোটি কোটি ডলারের অর্থপ্রবাহ—দুই মিলে স্বার্থের সংঘাতের আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হয়েছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য ও ‘দূরত্ব বজায় রাখার’ প্রশ্ন
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ওয়ার্নার ব্রাদার্স চুক্তি নিয়ে তিনি কুশনারের সঙ্গে কথা বলেননি এবং প্যারামাউন্ট বা নেটফ্লিক্স—কেউই তার “বন্ধু” নয়।
এর পরের দিনই তিনি ঘোষণা করেন, নেটফ্লিক্সের প্রস্তাবিত ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিও ও স্ট্রিমিং সম্পদ অধিগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে তিনি নিজে ভূমিকা রাখবেন। এই ঘোষণাই বিশেষজ্ঞদের কাছে বড় সতর্ক সংকেত—কারণ যেকোনো সিদ্ধান্ত সরাসরি তার জামাতার অর্থায়িত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রস্তাবকে প্রভাবিত করতে পারে।

অ্যান্টিট্রাস্ট নজরদারির বড় পরীক্ষা
প্যারামাউন্ট স্কাইড্যান্স হোক কিংবা নেটফ্লিক্স—ওয়ার্নার ব্রাদার্স ডিসকভারি কিনতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগীয় অ্যান্টিট্রাস্ট ইউনিটের কঠোর ছাঁকনি পেরোতে হবে।
প্রতিযোগিতা কমে গেলে বা গ্রাহক–বিজ্ঞাপনদাতাদের খরচ বাড়লে, বিচার বিভাগ প্রস্তাব আটকে দিতে কিংবা কঠোর শর্ত বেঁধে দিতে পারে। ফলে কে শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিক হবে, সেটির ওপর সরকারেরও উল্লেখযোগ্য প্রভাব থাকছে। এই জায়গাতেই প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত–পারিবারিক স্বার্থ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে সিদ্ধান্তের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

Kushner role in bid for Warner Bros raises ethical questions, experts say |  Reuters

‘ব্যবসা বনাম রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব’—বিশেষজ্ঞদের মত
করপোরেট শাসন ও নৈতিকতা অনুসন্ধানী ভ্যালুএজ অ্যাডভাইজার্সের চেয়ার নেল মিনো মন্তব্য করেছেন, ব্যবসা শিক্ষায় স্বার্থের সংঘাত বোঝাতে চাইলে এই উদাহরণটি “প্রথম পাতা”তে রাখা যায়। তার মতে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের উচিত যে কোনো অনুমোদন প্রক্রিয়া থেকে সম্পূর্ণ সরে দাঁড়ানো, যাতে সন্দেহ না থাকে যে তিনি নিজের পরিবারের আর্থিক স্বার্থকে সুবিধা দিচ্ছেন।
ওয়াশিংটনভিত্তিক নাগরিক অধিকার গোষ্ঠী সিটিজেন্স ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্সের জর্ডান লিবোভিৎজ মনে করিয়ে দেন, আইনগতভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা ফেডারেল স্বার্থ–সংঘাত আইনের আওতার বাইরে থাকলেও প্রচলিত রীতি হলো নিজ ব্যবসা থেকে নিজেকে আলাদা রাখা এবং পরিবারের ব্যবসা সিদ্ধান্ত থেকে দূরে থাকা—যাতে নাগরিকরা সিদ্ধান্তের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন না তোলে।

আগেও উঠেছে কুশনারকে ঘিরে প্রশ্ন
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে কুশনার হোয়াইট হাউসে জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেছেন। দ্বিতীয় দফায় তিনি আনুষ্ঠানিক পদ না থাকলেও মধ্যপ্রাচ্য নীতি নিয়ে এখনও কাজ করছেন বলে পরিচিত মহল জানায়।
এর আগেই কুশনার–ট্রাম্প সম্পর্ককে ঘিরে লাভবান হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গাজা উপকূলকে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসৈকত রিসোর্ট হিসেবে গড়ে তোলার যে ধারণা ট্রাম্প প্রকাশ্যে বলেছিলেন, তার আগেই কুশনার অনুরূপ প্রস্তাব ভেতরে ভেতরে তুলেছিলেন বলে খবর রয়েছে। একই সঙ্গে, ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচন প্রচেষ্টার সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে কুশনারের প্রতিষ্ঠানে বড় অঙ্কের অর্থ আসায় স্বার্থের জটিলতা আরও বেড়েছে বলে সমালোচকদের মত।

স্বচ্ছতা নিয়ে নাগরিক সংগঠনের সতর্কতা
পাবলিক ইন্টারেস্ট গ্রুপ প্রজেক্ট অন গভর্নমেন্ট ওভারসাইট–এর আইনি উপদেষ্টা স্কট এমি বলেন, সরকার পরিচালনা আর পরিবারের ব্যবসা—এই দুইয়ের সীমানা প্রতিদিন আরও ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে। তার মতে, ট্রাম্পের উচিত ওয়ার্নার ব্রাদার্স কেনাবেচা নিয়ে কোনো মন্তব্য বা পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকা, যেন কুশনার বা প্যারামাউন্টকে সহায়তা করছেন—এমন ধারণা জন্ম না নেয়।

ট্রাম্প পরিবারের ব্যবসা ও ভবিষ্যৎ লাভের আশঙ্কা
ট্রাম্পের বহুমিলিয়ন ডলারের রিয়েল এস্টেট, গলফ, মিডিয়া ও অন্যান্য ব্যবসা এখন একটি ট্রাস্টের অধীনে, যা তার সন্তানরা পরিচালনা করছেন। তবে তিনি প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার পর এই ট্রাস্ট থেকে সম্পদ নিজের নামে তুলে নিতে পারবেন।
সমালোচকদের যুক্তি, এখন যদি নীতিনির্ধারণ ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় এমন কোনো সিদ্ধান্ত হয় যা তার পরিবারের ব্যবসায়িক অংশীদারদের জন্য লাভজনক, তবে ভবিষ্যতে ট্রাম্প সরাসরি সেই আর্থিক সুফল ভোগ করতে পারবেন—ফলে বর্তমান সিদ্ধান্তও নৈতিকভাবে ‘স্বার্থের সংঘাত’-এর মধ্যে পড়ে যায়।

#ওয়ার্নারব্রাদার্স
#জারেডকুশনার
#প্যারামাউন্টস্কাইড্যান্স
#নেটফ্লিক্সডিল
#ট্রাম্পপ্রশাসন
#স্বার্থেরসংঘাত
#মিডিয়াডিল
#হোয়াইটহাউসবিতর্ক
#মার্কিনরাজনীতি
#মধ্যপ্রাচ্যবিনিয়োগ