দুই দশকের সাউন্ডট্র্যাক এক তালিকায়
রোলিং স্টোন অস্ট্রেলিয়া/এনজেড সংস্করণ ২১শ শতকের শুরুর ২৫ বছরের সঙ্গীতকে এক ফ্রেমে ধরতে প্রকাশ করেছে “দ্য বেস্ট ৩০০ সংস অব দ্য ২১স্ট সেঞ্চুরি সো ফার” তালিকা। ভ্যারাইটির প্রতিবেদনে জানানো হয়, তালিকায় রয়েছেন লর্ড, কাইলি মিনোগ, দ্য কিড লারয়ির মতো বিশ্বখ্যাত তারকা, পাশাপাশি আন্ডারগ্রাউন্ড ও ইন্ডি ব্যান্ড, মেটাল ও পাঙ্ক গ্রুপও, যারা স্থানীয় দৃশ্যকে বদলে দিয়েছে। সম্পাদকীয় দলের ভাষ্য, শুধু চার্ট–শীর্ষ গান নয়; এমন ট্র্যাকও জায়গা পেয়েছে, যেগুলো ক্যারিয়ার ঘুরিয়ে দিয়েছে, নতুন দৃশ্য তৈরি করেছে বা স্থানীয় সংস্কৃতিতে স্থায়ী ছাপ রেখে গেছে।

তালিকাটি অস্ট্রেলিয়া ও আউটেয়ারোয়া (নিউজিল্যান্ড)–এর সঙ্গীতগত বৈচিত্র্যও তুলে ধরেছে—পপ, আরঅ্যান্ডবি, রক, পাঙ্ক, হিপ–হপ থেকে পরীক্ষামূলক ইলেকট্রনিক মিউজিক পর্যন্ত। অনেক গান প্রথমে স্থানীয় রেডিও বা ছোট ক্লাবে জনপ্রিয় হলেও পরে স্ট্রিমিং ও সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে বিশ্বজুড়ে শ্রোতা পেয়েছে। সিডি–নির্ভর চার্ট থেকে শুরু করে আজকের প্লেলিস্ট আর টিকটক–কেন্দ্রিক শ্রোতাভ্যাস—এই পরিবর্তনের পুরো যাত্রাপথও যেন ইঙ্গিত করে এই ৩০০ গানের তালিকা। ভক্তদের জন্য এটি একদিকে প্লেলিস্ট গাইডলাইন, অন্যদিকে নিজের সঙ্গীত–স্মৃতিকে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ।
অঞ্চলীয় তালিকা, বৈশ্বিক প্রতিধ্বনি
অস্ট্রেলিয়া–নিউজিল্যান্ডের এই প্রকল্পের গুরুত্ব শুধু স্থানীয় বাজারে সীমাবদ্ধ নয়; বরং তা দেখাচ্ছে, তথাকথিত ‘প্রান্তিক’ অঞ্চল থেকেও কিভাবে বৈশ্বিক সঙ্গীত ধারা গড়ে উঠছে। লর্ডের মতো শিল্পী মিনিমাল, গাঢ় আবহের পপকে মূলধারায় এনেছেন, অন্যদিকে পার্কওয়ে ড্রাইভ বা আমিল অ্যান্ড দ্য স্নিফার্স–এর মতো গ্রুপ হেভি মিউজিক ও পাঙ্ককে নতুন শ্রোতার কাছে পৌঁছে দিয়েছে। বাংলাদেশের তরুণ শ্রোতারাও আজ স্পটিফাই–ইউটিউবের অ্যালগরিদম আর ভক্ত–কমিউনিটির হাত ধরে এই গানগুলোতে পৌঁছে যায়, যেখানে অঞ্চল–সীমানা আর বড় বাধা নয়।

সম্পাদকরা অবশ্য স্পষ্ট করে বলেছেন, এই তালিকা কোনো চূড়ান্ত ক্যানন নয়; বরং এটি বিতর্ক ও আলোচনার দরজা খুলে দেওয়ার এক প্রচেষ্টা। তবু মাঝারি পরিচিত অনেক শিল্পীর জন্য এমন স্বীকৃতি স্ট্রিমিং সংখ্যা বাড়ানো, ট্যুর পরিকল্পনা ও ফেস্টিভ্যাল বুকিংয়ে বাস্তব সুবিধা এনে দিতে পারে। ধীরে ধীরে যখন পপ–সংগীত আরও যৌথ ও বৈশ্বিক হয়ে উঠছে, তখন এই ধরনের অঞ্চলভিত্তিক প্রকল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয়—এই শতকের অনেক স্মরণীয় গান তৈরি হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস বা লন্ডনের বাইরে, দূর সমুদ্রপারের স্টুডিও ও গ্যারেজগুলোতে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















