খুলনা শহরের ট্যাংক রোডে একটি ভাড়া বাসা থেকে সৌদি আরব ফেরত শিউলি বেগমের মরদেহ উদ্ধারকে ঘিরে এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে রহস্য ও উদ্বেগ।
খুলনা শহরের ট্যাংক রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে বৃহস্পতিবার ভোরে সৌদি আরব ফেরত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় তৈরি হয়েছে রহস্য ও উদ্বেগ।

৪৫ বছর বয়সী ওই নারীর নাম শিউলি বেগম। মাত্র কয়েক দিন আগে তিনি তার দ্বিতীয় স্বামী মো. সালাউদ্দিন খানের সঙ্গে বিয়ে করেছিলেন। সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরার দশ দিনের মাথায় তিনি ট্যাংক রোডে এই বাসাটি ভাড়া নেন।
প্রতিবেশীরা জানান, শিউলির আগের স্বামীর ছেলে রিয়াদ (২৮) একই বাসায় তার সঙ্গে থাকত এবং টাইলসের কাজ করত। প্রায় এক মাস আগে শিউলি বিদেশ থেকেই আগের স্বামীকে তালাক দেন এবং দেশে ফিরে সালাউদ্দিনকে বিয়ে করেন।
খুলনা সদর থানা পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা শাহজাহান আহমেদ জানান, পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে শিউলি ব্যাংক থেকে ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা তুলেছিলেন এবং তা বাসায় এনেছিলেন— এ তথ্য পরিবারের সদস্যরা জানতেন।

খুলনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার শিহাব করিম বলেন, মরদেহটি একটি তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকেই রিয়াদ পলাতক রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং সিআইডির ফরেনসিক দল প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।
তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, শিউলিকে প্রথমে মাথার বাম পাশে আঘাত করা হয় এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করা হতে পারে।
এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা দায়ের হয়নি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















