তাঁর আমলে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার। নওয়াব নুসরত জঙ্গ ও শামসউদ্দৌলার দরবারে তাঁর বেশ প্রতিপত্তি ছিল….

হিন্দু মঠ; নবাব প্রাসাদে যাওয়ার ফটক

পগোজের বাড়ি
তাঁর পূর্বপুরুষ নীল ও অন্যান্য ব্যবসা করতেন এবং সেই সূত্রে ঢাকায় এসে বসবাস শুরু করেছিলেন। জীবনকৃষ্ণের পিতা জগন্নাথ রায় প্রথম জমিদারি কিনেছিলেন। তিনি রাজমহল থেকে কালো পাথর আনিয়ে বুড়িগঙ্গার তীরে একটি স্নানঘাট করিয়ে দিয়েছিলেন।
একটি মাত্র পাথর থেকে নির্মিত হয়েছিল এটি। ঘাটের সঙ্গে তিনি স্থাপন করেছিলেন দেবমন্দির এবং তার সদর দরজাও তৈরি করিয়েছিলেন রাজমহলের কালো পাথরে। এই কারুকার্যময় দরজা ও ঘাট দেখতে পূর্ববঙ্গ ও আসামের গভর্নর স্যার চার্লস বেলীও একবার এসেছিলেন।
জগন্নাথের জ্যেষ্ঠপুত্র জীবনকৃষ্ণ এই জায়গায়ই তাঁর বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন বলে অনুমান করছি। তাঁর আমলে তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রভাবশালী জমিদার। নওয়াব নুসরত জঙ্গ ও শামসউদ্দৌলার দরবারে তাঁর বেশ প্রতিপত্তি ছিল।

মীর্জা গোলাম পীরের বাড়িঃ গোলাম পীরের মসজিদ
জীবনকৃষ্ণ ছিলেন নিঃসন্তান, তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর ভাই ও ভাইপোরা তাঁর বাড়ি ও জমিদারির মালিক হয়েছিলেন। উনিশ শতকের শেষার্ধে দেখি, এএ মন্দির সংলগ্ন নাট মন্দির ছিল ঢাকার বিখ্যাত এখানে হতো কীর্তনের আসর, যাত্রা ও থিয়েটার।
বর্তমানে এসবের কোনো চিহ্ন নেই। কালে পাথরে নকশা করা সদর দরজাটা আছে; কিন্তু সেটা কারো চোখে পড়ে কিনা সন্দেহ। স্নানঘাট, বাড়ি নিশ্চিহ্ন। একটি মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ আছে বটে। কিন্তু দুদিন যেয়ে আমরা তাতে ঢুকতে পারিনি। কারণ, তা ছিল বন্ধ। জানা গেছে, মন্দিরে জগন্নাথ রায় অতি প্রাচীন দুটি শক্তি ও বিষ্ণুমূর্তি স্থাপন করেছিলেন।
তারপর ছিল ঢাকা কালেক্টরেট। আগে যা পরিচিত ছিল করোনেশন পার্ক নামে, তার ঠিক পিছনের অট্টালিকাই এটি। বোঝা যায়, সত্তর-এর পর এব কিছু পরিবর্ধন/সংস্কার হয়েছে।

রেভারেন্ড লিওনার্দের বাড়ি; নানকু মিয়ার বাড়ি

ছোট কাটরা
(চলবে)
পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৬)
মুনতাসীর মামুন 


















