১০:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৬)

যেখানে থাকবে ঢাকা শহর বিষয়ক পাঠাগার, নথিপত্র, আর বাকল্যান্ড বাঁধের দিকটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে….

এই দু’ভাই যে বাড়িটি কিনেছিলেন, তা ছিল আর্মেনি জমিদার আরাতুনের বাড়ি। রূপলাল রঘুনাথের বাড়িটি কলকাতার বিখ্যাত মার্টিন কোম্পানিকে দিয়ে পুনর্নির্মাণ করে সাজিয়েছিলেন। বাড়িটির একাংশে থাকতেন রঘুনাথ, যা পরিচিত ছিল রঘুবাবুর বাড়ি নামে। এ অংশটি এখন ব্যক্তিমালিকানায় রূপলালের অংশটি ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। এটি পরিচিত ছিল রূপলাল হাউস নামে। বিশাল বিশাল করিন্থিয়ান পিলার সমেত এত বড় বাড়ি ঢাকা শহরে আর চোখে পড়েনি।

লর্ড ডাফরিন ১৮৮৮ সালে একবার ঢাকা সফরে এসেছিলেন। ঢাকায় ইংরেজরা ঠিক করেছিলেন, গভর্নর জেনারেলের সম্মানে তাঁরা একটি বল নাচের আয়োজন করবেন। কিন্তু বল নাচের জন্যে বড় হল ঘর বা সুদৃশ্য ভবন পাওয়া যায় কোথায়? এ নিয়ে ইংরেজরা বৈঠকে বসেছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আহসান মঞ্জিল ও রূপলাল হাউস।

আর্মেনি মানুকের বাড়ি; আমির উদ্দিন দারোগার স্মৃতিসৌধ

বাড়িটি এখনও অটুট। চারদিকে নোংরা হলুদ মরিচের আড়ত, পচা তরকারি, জঞ্জালে ঘেরা বাড়িটি একটু সংস্কার করে রাখলে তা পরিগণিত হবে ঢাকার সেরা বাড়িতে। এবং এখানে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে পৌর আর্কাইভ ও ঢাকা শহর বিষয়ক গবেষণা সংস্থা, যেখানে থাকবে ঢাকা শহর বিষয়ক পাঠাগার, নথিপত্র, আর বাকল্যান্ড বাঁধের দিকটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

রূপলাল হাউজের পাশেই ছিল জীবন বাবুর বাড়ি, একেবারে নদীর ধার ঘেঁষে। বিভিন্ন ধরনের উচ্চতা ব্যবহার করে এর স্থাপত্যে বেশ সুন্দর একটা ভাব আনা হয়েছিল। জীবনকৃষ্ণ রায়ের বংশ ছিল পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে প্রাচীন ও সম্মানিত বংশ।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৫)

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৬)

০৯:০০:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫

যেখানে থাকবে ঢাকা শহর বিষয়ক পাঠাগার, নথিপত্র, আর বাকল্যান্ড বাঁধের দিকটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে….

এই দু’ভাই যে বাড়িটি কিনেছিলেন, তা ছিল আর্মেনি জমিদার আরাতুনের বাড়ি। রূপলাল রঘুনাথের বাড়িটি কলকাতার বিখ্যাত মার্টিন কোম্পানিকে দিয়ে পুনর্নির্মাণ করে সাজিয়েছিলেন। বাড়িটির একাংশে থাকতেন রঘুনাথ, যা পরিচিত ছিল রঘুবাবুর বাড়ি নামে। এ অংশটি এখন ব্যক্তিমালিকানায় রূপলালের অংশটি ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। এটি পরিচিত ছিল রূপলাল হাউস নামে। বিশাল বিশাল করিন্থিয়ান পিলার সমেত এত বড় বাড়ি ঢাকা শহরে আর চোখে পড়েনি।

লর্ড ডাফরিন ১৮৮৮ সালে একবার ঢাকা সফরে এসেছিলেন। ঢাকায় ইংরেজরা ঠিক করেছিলেন, গভর্নর জেনারেলের সম্মানে তাঁরা একটি বল নাচের আয়োজন করবেন। কিন্তু বল নাচের জন্যে বড় হল ঘর বা সুদৃশ্য ভবন পাওয়া যায় কোথায়? এ নিয়ে ইংরেজরা বৈঠকে বসেছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল আহসান মঞ্জিল ও রূপলাল হাউস।

আর্মেনি মানুকের বাড়ি; আমির উদ্দিন দারোগার স্মৃতিসৌধ

বাড়িটি এখনও অটুট। চারদিকে নোংরা হলুদ মরিচের আড়ত, পচা তরকারি, জঞ্জালে ঘেরা বাড়িটি একটু সংস্কার করে রাখলে তা পরিগণিত হবে ঢাকার সেরা বাড়িতে। এবং এখানে প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে পৌর আর্কাইভ ও ঢাকা শহর বিষয়ক গবেষণা সংস্থা, যেখানে থাকবে ঢাকা শহর বিষয়ক পাঠাগার, নথিপত্র, আর বাকল্যান্ড বাঁধের দিকটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে।

রূপলাল হাউজের পাশেই ছিল জীবন বাবুর বাড়ি, একেবারে নদীর ধার ঘেঁষে। বিভিন্ন ধরনের উচ্চতা ব্যবহার করে এর স্থাপত্যে বেশ সুন্দর একটা ভাব আনা হয়েছিল। জীবনকৃষ্ণ রায়ের বংশ ছিল পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে প্রাচীন ও সম্মানিত বংশ।

(চলবে)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৫)

পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১৩৫)