০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
 হত্যার ঝুঁকিতে পঞ্চাশজন, গানম্যান পেয়েছেন বিশজন ২০২৫ সালের তারকা: সিনেমার ভবিষ্যৎ আর নতুন তারকাখ্যাতির অর্থ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ২ জানুয়ারির নির্দেশিকা প্রকাশ প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ছিল পরিকল্পিত, সরকারের ভেতরের একটি অংশ জড়িত: নাহিদ ঢাকার ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রে হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ডেইলি স্টার ও প্রথম আলোতে হামলা গণতন্ত্রের ওপর সরাসরি আঘাত: মির্জা ফখরুল খুলনায় ভারতীয় ভিসা সেবা বন্ধ মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের মৃত্যু ১৬ জানুয়ারি পবিত্র শবে মেরাজ পালিত হবে দেশে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভাঙনের অভিযোগ নাকচ ভারতের, দিপু হত্যায় গভীর উদ্বেগ

বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভাঙনের অভিযোগ নাকচ ভারতের, দিপু হত্যায় গভীর উদ্বেগ

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভেঙে পড়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর প্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এক হিন্দু ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। প্রতিবেশী দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, শনিবার রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তা ছিল সীমিত পরিসরের এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক হিন্দু ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। তবে তারা কোনোভাবেই হাইকমিশনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেননি বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরি করেননি।

জয়সওয়াল আরও বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিদেশি মিশন ও কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের দায়িত্ব এবং ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান
বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে হাইকমিশনে হামলার যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তাকে বিভ্রান্তিকর প্রচার হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে রয়েছে, যা দেখলেই বোঝা যায় বাস্তব পরিস্থিতি কী ছিল।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ
ভারত জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে কড়া উদ্বেগ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার
রোববার দিল্লির চাণক্যপুরীতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনের আশপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সশস্ত্র নিরাপত্তা সদস্যদের একটি ছোট দল ভবনের চারপাশে মোতায়েন করা হয়।

দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে বৃহস্পতিবার পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি জনতা তাকে মারধর করে হত্যা করে, পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার মরদেহে আগুন দেওয়া হয়। এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তীব্র নিন্দা জানায়।

বাংলাদেশজুড়ে সহিংসতার বিস্তার
দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড ঘটে এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতবিরোধী ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর এসব বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনে হামলার চেষ্টা চালায়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং খুলনা ও রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনের কাছেও বিক্ষোভ হয়। ঢাকায় দুটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। পরে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে ভূমিকা রাখা ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নেতা দাবি করেছেন, হাদির মৃত্যুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া
ঢাকায় বাংলাদেশের কার্যত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৌহিদ হোসেন ভারতের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে যা ঘটেছে, তা যতটা সহজভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তবে বিষয়টি ততটা সরল নয়। তার দাবি, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল এবং একটি উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তার পরিবারের প্রতি হুমকির তথ্যও পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তার ভাষায়, সেখানে নিরাপত্তা ছিল অপর্যাপ্ত, মাত্র দুইজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং তারা কার্যকর ভূমিকা নেননি।

দিপু হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
তৌহিদ হোসেন দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হিসেবে স্বীকার করে বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সামগ্রিক প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

 হত্যার ঝুঁকিতে পঞ্চাশজন, গানম্যান পেয়েছেন বিশজন

বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভাঙনের অভিযোগ নাকচ ভারতের, দিপু হত্যায় গভীর উদ্বেগ

০৩:৫৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

নয়াদিল্লিতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনে নিরাপত্তা ভেঙে পড়ার অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর প্রচার বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। একই সঙ্গে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এক হিন্দু ব্যক্তিকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশটি। প্রতিবেশী দেশে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে এই মন্তব্য করল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য
রোববার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানান, শনিবার রাতে দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছিল, তা ছিল সীমিত পরিসরের এবং দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দিপু চন্দ্র দাস নামের এক হিন্দু ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে প্রায় ২০ থেকে ২৫ জন তরুণ সেখানে জড়ো হয়ে স্লোগান দেন। তবে তারা কোনোভাবেই হাইকমিশনের ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেননি বা নিরাপত্তা পরিস্থিতি তৈরি করেননি।

জয়সওয়াল আরও বলেন, ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বিদেশি মিশন ও কূটনৈতিক স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ভারতের দায়িত্ব এবং ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী সে দায়িত্ব পালন করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

বাংলাদেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন প্রসঙ্গে ভারতের অবস্থান
বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমে হাইকমিশনে হামলার যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তাকে বিভ্রান্তিকর প্রচার হিসেবে আখ্যা দিয়েছে ভারত। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ঘটনার ভিডিও ও ছবি প্রকাশ্যে রয়েছে, যা দেখলেই বোঝা যায় বাস্তব পরিস্থিতি কী ছিল।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের উদ্বেগ
ভারত জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। এ বিষয়ে ভারতীয় কর্মকর্তারা নিয়মিতভাবে বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা নিয়ে কড়া উদ্বেগ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদার
রোববার দিল্লির চাণক্যপুরীতে অবস্থিত বাংলাদেশের হাইকমিশনের আশপাশে অতিরিক্ত নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সশস্ত্র নিরাপত্তা সদস্যদের একটি ছোট দল ভবনের চারপাশে মোতায়েন করা হয়।

দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকাণ্ডের পটভূমি
বাংলাদেশের ময়মনসিংহ শহরে বৃহস্পতিবার পোশাকশ্রমিক দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি জনতা তাকে মারধর করে হত্যা করে, পরে গাছের সঙ্গে বেঁধে তার মরদেহে আগুন দেওয়া হয়। এই ঘটনার ছবি ও ভিডিও ভারতে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন তীব্র নিন্দা জানায়।

বাংলাদেশজুড়ে সহিংসতার বিস্তার
দিপু চন্দ্র দাসের হত্যাকাণ্ড ঘটে এমন এক সময়, যখন বাংলাদেশজুড়ে সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ভারতবিরোধী ছাত্রনেতা শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর এসব বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীরা চট্টগ্রামে ভারতের সহকারী হাইকমিশনে হামলার চেষ্টা চালায়। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন এবং খুলনা ও রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় মিশনের কাছেও বিক্ষোভ হয়। ঢাকায় দুটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার কার্যালয়েও হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যু ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
১২ ডিসেম্বর ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন শরীফ ওসমান হাদি। পরে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার সেখানে তার মৃত্যু হয়। ২০২৪ সালে শেখ হাসিনা সরকারের পতনে ভূমিকা রাখা ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন নেতা দাবি করেছেন, হাদির মৃত্যুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতিক্রিয়া
ঢাকায় বাংলাদেশের কার্যত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তৌহিদ হোসেন ভারতের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনের সামনে যা ঘটেছে, তা যতটা সহজভাবে তুলে ধরা হচ্ছে, বাস্তবে বিষয়টি ততটা সরল নয়। তার দাবি, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি ছিল এবং একটি উচ্চ নিরাপত্তা এলাকায় এমন ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও তার পরিবারের প্রতি হুমকির তথ্যও পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। তার ভাষায়, সেখানে নিরাপত্তা ছিল অপর্যাপ্ত, মাত্র দুইজন নিরাপত্তাকর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং তারা কার্যকর ভূমিকা নেননি।

দিপু হত্যাকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান
তৌহিদ হোসেন দিপু চন্দ্র দাস হত্যাকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড হিসেবে স্বীকার করে বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনাকে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার সামগ্রিক প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত করার কোনো যৌক্তিকতা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছে এবং ইতোমধ্যে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।