কূটনৈতিক টানাপোড়েন
২৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মহলে গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির আহ্বান নতুন করে জোরালো হয়। মানবিক সংস্থাগুলো জানায়, সহায়তা পৌঁছানোর পথ অনিশ্চিত থাকায় খাদ্য, জ্বালানি ও চিকিৎসা সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে আলোচনা চললেও অগ্রগতি ধীর। পরিস্থিতির ভঙ্গুরতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
আঞ্চলিক শক্তিগুলো বলছে, স্বল্পমেয়াদি বিরতিও সাধারণ মানুষের জন্য কিছুটা স্বস্তি আনতে পারে। পশ্চিমা দেশগুলো আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। তবে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে ভিন্নমত থাকায় সমঝোতা কঠিন হয়ে উঠছে। মানবিক প্রয়োজন ও নিরাপত্তা ভাবনার সংঘাত আলোচনাকে জটিল করছে।

সহায়তা সংস্থাগুলো সীমান্তবর্তী এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত ভিড়ের কথা জানাচ্ছে। পানির সংকট ও বিদ্যুৎ ঘাটতি জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিরাপদ সহায়তা করিডরের দাবি আবারও উঠেছে।
কূটনীতি ও চাপের সমীকরণ
আলোচনায় প্রভাবশালী আঞ্চলিক পক্ষগুলোকে একত্র করার চেষ্টা চলছে। কূটনীতিকরা বলছেন, রাজনৈতিক হিসাব ও অভ্যন্তরীণ চাপ সমন্বয়কে কঠিন করে তুলছে। কেউ জাতিসংঘে কঠোর অবস্থানের পক্ষে, কেউ নীরব কূটনীতিতে আগ্রহী। এতে সামগ্রিক চাপ দুর্বল হয়ে পড়ছে।

সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, কার্যকর নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ছাড়া অভিযান থামানো সম্ভব নয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থান আলোচনার পথ আরও সংকুচিত করছে। পারস্পরিক অবিশ্বাস বড় বাধা হয়ে আছে।
বিভিন্ন দেশে জনমতও কূটনীতিতে প্রভাব ফেলছে। বিক্ষোভে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার দাবি জোরালো হচ্ছে। সরকারগুলো নৈতিক চাপ ও কৌশলগত সম্পর্কের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজছে। ২৫ ডিসেম্বর কোনো চুক্তি না হলেও আলোচনা চলমান আছে। পরিস্থিতি এখনও অনিশ্চিত।

সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















