০১:০৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
ভারী বর্ষণে দক্ষিণ স্পেনে আকস্মিক বন্যা, নিহত ১ নিখোঁজ ২ হলিউডের অন্ধকার পর্দা: ওয়ার্নার ব্রাদার্সের মালিকানা লড়াইয়ে অনিশ্চিত প্রেক্ষাগৃহের ভবিষ্যৎ আরব লিগের কড়া বার্তা, সোমালিল্যান্ড স্বীকৃতি মানে আন্তর্জাতিক আইন ভাঙা জাপানের পারমাণবিক বিদ্যুৎ নীতিতে বড় মোড়, ফুকুশিমার পর ফের চালু হচ্ছে বৃহত্তম রিঅ্যাক্টর পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েল ও ইউরোপের বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ের ঘোষণা ইসরায়েলের স্বীকৃতির বিরুদ্ধে আরব ইসলামি আফ্রিকান ঐক্য, সোমালিল্যান্ড প্রশ্নে তীব্র নিন্দা সোনার দামে নতুন ইতিহাস, টানা অষ্টম দফা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশে সর্বোচ্চ চূড়া কাঁপছে গোমতী সেতু, যান চলাচল সাময়িক বন্ধ কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে মানববন্ধনে হামলা, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-সংঘর্ষ খালেদা জিয়ার তিন আসনে বিকল্প প্রার্থী প্রস্তুত, শেষ মুহূর্তে বড় রদবদলে বিএনপি

টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা, নারী ও শিশুসহ ১৮ জন উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে সাগরপথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া পাচারের সময় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের ঘটনা
রোববার দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানব পাচারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের তৎপরতার খবর পায় বিজিবি। তথ্য অনুযায়ী, চক্রটি ট্রলারে করে সাগরপথে লোকজনকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

গোপন অভিযান ও উদ্ধার
এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বিজিবির একাধিক দল টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কৌশলগত অবস্থান নেয়। রাতের আঁধারে ভুক্তভোগীদের ট্রলারে তোলার মুহূর্তে বিজিবি টহলদল চারদিক থেকে ট্রলারটি ঘিরে ফেলে। বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাচারকারীরা সাঁতরে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়।

এরপর ট্রলারটি তল্লাশি করে মোট ১৮ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ তারেক নামে একজন ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামি বলে শনাক্ত হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে সে সাগরপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিল। তাকে আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাচার চক্রের কৌশল
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, কর্মসংস্থান, বেশি বেতন ও উন্নত জীবনের আশ্বাস দিয়ে পাচারকারী চক্র তাদের প্রলুব্ধ করেছিল। পরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ সংগ্রহ করে মাথাপিছু অর্থের বিনিময়ে বিদেশে পাচারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ চক্রের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রতিনিধিরাও জড়িত বলে জানিয়েছে বিজিবি।

কঠোর নজরদারির ঘোষণা
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মানবতাবিরোধী এই ধরনের অপরাধ দমনে বাহিনীর নজরদারি ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ভারী বর্ষণে দক্ষিণ স্পেনে আকস্মিক বন্যা, নিহত ১ নিখোঁজ ২

টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের চেষ্টা, নারী ও শিশুসহ ১৮ জন উদ্ধার

১১:৩১:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে সাগরপথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া পাচারের সময় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের ঘটনা
রোববার দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানব পাচারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের তৎপরতার খবর পায় বিজিবি। তথ্য অনুযায়ী, চক্রটি ট্রলারে করে সাগরপথে লোকজনকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

গোপন অভিযান ও উদ্ধার
এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বিজিবির একাধিক দল টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কৌশলগত অবস্থান নেয়। রাতের আঁধারে ভুক্তভোগীদের ট্রলারে তোলার মুহূর্তে বিজিবি টহলদল চারদিক থেকে ট্রলারটি ঘিরে ফেলে। বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাচারকারীরা সাঁতরে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়।

এরপর ট্রলারটি তল্লাশি করে মোট ১৮ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ তারেক নামে একজন ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামি বলে শনাক্ত হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে সে সাগরপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিল। তাকে আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

পাচার চক্রের কৌশল
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, কর্মসংস্থান, বেশি বেতন ও উন্নত জীবনের আশ্বাস দিয়ে পাচারকারী চক্র তাদের প্রলুব্ধ করেছিল। পরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ সংগ্রহ করে মাথাপিছু অর্থের বিনিময়ে বিদেশে পাচারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ চক্রের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রতিনিধিরাও জড়িত বলে জানিয়েছে বিজিবি।

কঠোর নজরদারির ঘোষণা
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মানবতাবিরোধী এই ধরনের অপরাধ দমনে বাহিনীর নজরদারি ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।