কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূল থেকে সাগরপথে ট্রলারে করে মালয়েশিয়া পাচারের সময় নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের ঘটনা
রোববার দুপুরে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানব পাচারকারী একটি সংঘবদ্ধ চক্রের তৎপরতার খবর পায় বিজিবি। তথ্য অনুযায়ী, চক্রটি ট্রলারে করে সাগরপথে লোকজনকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
গোপন অভিযান ও উদ্ধার
এই তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৬ ডিসেম্বর রাতে বিজিবির একাধিক দল টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের রাজারছড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় কৌশলগত অবস্থান নেয়। রাতের আঁধারে ভুক্তভোগীদের ট্রলারে তোলার মুহূর্তে বিজিবি টহলদল চারদিক থেকে ট্রলারটি ঘিরে ফেলে। বিজিবির উপস্থিতি বুঝতে পেরে পাচারকারীরা সাঁতরে পাশের গ্রামে পালিয়ে যায়।
এরপর ট্রলারটি তল্লাশি করে মোট ১৮ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে মোহাম্মদ তারেক নামে একজন ব্যক্তি একটি হত্যা মামলার আসামি বলে শনাক্ত হয়। গ্রেপ্তার এড়াতে সে সাগরপথে দেশ ছাড়ার চেষ্টা করছিল। তাকে আটক করে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
পাচার চক্রের কৌশল
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জানা যায়, কর্মসংস্থান, বেশি বেতন ও উন্নত জীবনের আশ্বাস দিয়ে পাচারকারী চক্র তাদের প্রলুব্ধ করেছিল। পরে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ সংগ্রহ করে মাথাপিছু অর্থের বিনিময়ে বিদেশে পাচারের প্রস্তুতি নেওয়া হয়। এ চক্রের সঙ্গে মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রতিনিধিরাও জড়িত বলে জানিয়েছে বিজিবি।
কঠোর নজরদারির ঘোষণা
বিজিবির অধিনায়ক বলেন, মানবতাবিরোধী এই ধরনের অপরাধ দমনে বাহিনীর নজরদারি ও সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে। দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগীদের প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















