দীর্ঘদিন ধরে চলা কোমরের নিচের অংশের ব্যথা বিশ্বের অন্যতম বড় স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে পরিচিত। এই সমস্যায় ভোগা মানুষের সংখ্যা বিপুল, আর কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসার বিকল্প এখনো খুব সীমিত। তবে সাম্প্রতিক দুটি বড় গবেষণায় গাঁজার একটি উপাদান নিয়ে নতুন আশার কথা শোনাচ্ছেন গবেষকরা।
নতুন গবেষণার ফল কী বলছে
গবেষণায় দেখা গেছে, গাঁজার সক্রিয় উপাদান টিএইচসি যখন গাছের অন্যান্য উপাদানের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করা হয়, তখন তা দীর্ঘমেয়াদি পিঠের ব্যথা কমাতে সহায়ক হতে পারে। এই গবেষণাগুলোতে অংশ নেওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, যারা এই নির্যাস গ্রহণ করেছেন, তারা তুলনামূলকভাবে কম ব্যথা অনুভব করেছেন এবং অনেকের ক্ষেত্রে ঘুম ও দৈনন্দিন চলাফেরার সক্ষমতাও বেড়েছে। এমনকি কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে এটি প্রচলিত ব্যথানাশক ওষুধের চেয়েও কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে

নিরাপত্তা ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে পর্যবেক্ষণ
গবেষকরা জানান, নির্দিষ্ট সময় ধরে ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়ানোর পর টিএইচসি ব্যবহারে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ঝুঁকি কমে আসে। রোগীরা একবার কার্যকর মাত্রায় পৌঁছালে দীর্ঘ সময় সেই মাত্রা বাড়ানোর প্রয়োজন পড়েনি, যা অন্যান্য শক্তিশালী ব্যথানাশকের ক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় না। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সহ কিছু পরিচিত সমস্যা তুলনামূলকভাবে কম দেখা গেছে।
সহজলভ্যতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা
যদিও এই গবেষণার ফল আশাব্যঞ্জক, তবুও এই ওষুধ এখনই সবার জন্য সহজলভ্য হচ্ছে না। ইউরোপের কিছু দেশে এটি বাজারে আসার সম্ভাবনা থাকলেও যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশে অনুমোদনের জন্য আরও পরীক্ষা প্রয়োজন। তবুও চিকিৎসকদের মতে, এই ফলাফল ভবিষ্যতে দীর্ঘমেয়াদি পিঠের ব্যথার চিকিৎসায় নতুন দিক উন্মোচন করতে পারে।
সতর্কতার বার্তা
বিশেষজ্ঞরা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, ব্যথা কমার হার পরিসংখ্যানগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হলেও তা খুব বড় পরিবর্তন নয়। তাই গাঁজার উপাদানকে কোনো অলৌকিক সমাধান হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। ব্যবহার করলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শে ধীরে ও নিয়ন্ত্রিতভাবে শুরু করার কথা বলছেন তারা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















