দেশের উৎপাদন ও শিল্পখাতকে আরও গতিশীল করতে শিল্প কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে মূল্য পরিশোধের সময়সীমা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য আমদানি ও অর্থ পরিশোধে ব্যবসায়ীরা আরও স্বস্তি পাবেন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
নতুন নির্দেশনার মূল বিষয়
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ সোমবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, শিল্প কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে ডিফার্ড পেমেন্ট বা ইউসেন্স সময়সীমা সর্বোচ্চ ২৭০ দিন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সুবিধা সরবরাহকারী কিংবা ক্রেতা ঋণের আওতায় করা আমদানির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
কারা এই সুবিধা পাবে
নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, শিল্প কাঁচামালের পাশাপাশি ব্যাক-টু-ব্যাক আমদানি, কৃষিযন্ত্র এবং রাসায়নিক সারের আমদানিও এই বর্ধিত সময়সীমার আওতায় পড়বে। তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের অর্থায়নে করা আমদানির ক্ষেত্রে এই সুবিধা কার্যকর হবে না।
আগের সিদ্ধান্ত থেকে কী পরিবর্তন
এর আগে সাময়িকভাবে ইউসেন্স সময়সীমা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ দিন করা হয়েছিল, যার মেয়াদ ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা ছিল। নতুন সিদ্ধান্তে সেই মেয়াদ কমিয়ে ২৭০ দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, ২৭০ দিন অথবা ক্যাশ কনভার্সন সাইকেল—যেটি আগে শেষ হবে, সেটিই চূড়ান্ত সময় হিসেবে ধরা হবে।
ব্যাংকগুলোর জন্য নির্দেশনা
বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে, গ্রাহকের অতীত লেনদেন ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে বাস্তবসম্মত ক্যাশ কনভার্সন সাইকেল নির্ধারণ করতে হবে। এর ভিত্তিতেই এই সুবিধা দেওয়া যাবে।
সিদ্ধান্তের পেছনের লক্ষ্য
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, নতুন এই সময়সীমা একদিকে শিল্প উদ্যোক্তাদের আমদানি ব্যয় ও নগদ প্রবাহ ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে, অন্যদিকে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনাকে বাস্তবসম্মত ও নিয়ন্ত্রিত রাখতে সহায়ক হবে। শিল্প খাতের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানি সহজ করে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি আনাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















