০৩:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
এক চিলতে আগুনেই সর্বনাশ, খুলনার বাজারগুলোয় অগ্নিঝুঁকির নীরব আতঙ্ক খালেদা জিয়া ছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা: জামায়াত নেতা তাহের ইসরায়েলের পদক্ষেপের পর তুরস্কে সোমালি প্রেসিডেন্টের কূটনৈতিক বৈঠক সুইস কোম্পানির সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন এক এনআইডিতে পাঁচ সিম সীমা গুজব: টেলিযোগাযোগ কর্তৃপক্ষ ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সেনা নিহতের সংখ্যা দ্বিগুণ পল্লবীতে অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার সরকারি ক্রয় কমিটিতে সার, চাল ও টার্মিনাল প্রকল্প অনুমোদন পরিবারের ভিতরে গুপ্তচরবৃত্তি, কারাগারে মৃত্যু: আসাদের সিরিয়ার গোপন নথিতে ভয়ংকর বাস্তবতা তুরস্কের পথে ইউরোপে রুশ জ্বালানি প্রবাহ, নিষেধাজ্ঞার মাঝেও বন্ধ হচ্ছে না তেলবাহী জাহাজ

সামিয়া রহমানের বিষয়ে ঢাবির সিদ্ধান্ত আপিল বিভাগে অকার্যকর

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪
  • 98

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতি দিয়ে ঢাবি সিন্ডিকেটের নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তার পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সিভিল পিটিশন অকার্যকর ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির এ আদেশ দেন। আদালতে সামিয়া রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন , ২০২২ সালের ৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষ সিভিল পিটিশন দায়ের করে। কিন্তু এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর সামিয়া রহমান শিক্ষকতা থেকে স্বেচ্ছায় (আর্লি) অবসর নিয়েছেন। এ কারণে আপিল বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন অকার্যকর ঘোষণা করেছেন। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে (৪ আগস্ট বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তখন আদালতে সামিয়া রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে এ শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। গত বছরের ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

এক চিলতে আগুনেই সর্বনাশ, খুলনার বাজারগুলোয় অগ্নিঝুঁকির নীরব আতঙ্ক

সামিয়া রহমানের বিষয়ে ঢাবির সিদ্ধান্ত আপিল বিভাগে অকার্যকর

০৫:৫৯:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতি দিয়ে ঢাবি সিন্ডিকেটের নেওয়া সিদ্ধান্ত অবৈধ ও বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তার পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের সিভিল পিটিশন অকার্যকর ঘোষণা করেছেন আপিল বিভাগ।

আজ আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির এ আদেশ দেন। আদালতে সামিয়া রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন , ২০২২ সালের ৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেছিল হাইকোর্ট। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষ সিভিল পিটিশন দায়ের করে। কিন্তু এরই মধ্যে ২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর সামিয়া রহমান শিক্ষকতা থেকে স্বেচ্ছায় (আর্লি) অবসর নিয়েছেন। এ কারণে আপিল বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন অকার্যকর ঘোষণা করেছেন। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে।

এর আগে ২০২২ সালের ৪ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষিকা সামিয়া রহমানকে পদাবনতির আদেশ অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে তাকে সব সুযোগ-সুবিধা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে (৪ আগস্ট বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। তখন আদালতে সামিয়া রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হাসান এম এস আজিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।

২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক সামিয়া রহমানকে পদাবনতি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। থিসিস জালিয়াতির অভিযোগে এ শিক্ষককে সহযোগী অধ্যাপক থেকে এক ধাপ নামিয়ে সহকারী অধ্যাপক করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। গত বছরের ৩১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে সামিয়া রহমান ও মারজানের যৌথভাবে লেখা ‘এ নিউ ডাইমেনশন অব কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড পপ কালচার : এ কেস স্ট্যাডি অব দ্য কালচারাল ইমপেরিয়ালিজম’ শিরোনামের আট পৃষ্ঠার একটি গবেষণা প্রবন্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সোশ্যাল সায়েন্স রিভিউ’ জার্নালে প্রকাশিত হয়।