০১:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫
সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান শৈশবের গভীর ক্ষত থেকে লেখা এক রন্ধনশিল্পীর আত্মস্বীকারোক্তি মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৩৬৪) ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই ব্যাংক একীভূতকরণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ: পদত্যাগ দাবি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

বঙ্গবন্ধু নিপীড়িতদের মুক্তি-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন-প্রধান বিচারপতি

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৩৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪
  • 101

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এমনকি জীবন দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন। রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব; স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই তার মাঝে এই গুণটি ছিল। তিনি মানুষকে ভালোবেসে তাদের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এমনকি, নিজের জীবন দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের শিশু সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানবিচারপতি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতিই নন, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে থাকবেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু এক দিনে হয়ে উঠেননি। তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন থেকেই তার মধ্যে সে প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। শিশুকালের সহমর্মিতা, বন্ধুর প্রতি সহযোগিতা, বিপদে বন্ধুর প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল।

একটি অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার আশা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ এখানে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা যেন সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত শিশুদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করেন।

এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অনুষ্ঠানের পরক্ষণে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অবস্থিত ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। পরে শিশুদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকের এ দিনকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে এ কারণে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে প্রতিভা ছিল, যে প্রতিভার বিকাশ ঘাটিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তিনি যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে একটি জাতির জন্ম দিয়েছেন, সারা পৃথিবীতে এ প্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ। এর পেছনে তার যে অবিরাম সংগ্রাম সেটি শিশুদের বেঝানো দরকার।

জনপ্রিয় সংবাদ

সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখা উচিৎ, পারিবারিক সীমারেখা রক্ষা করে উৎসব উদযাপনের জ্ঞান

বঙ্গবন্ধু নিপীড়িতদের মুক্তি-সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন-প্রধান বিচারপতি

০৫:৩৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

মানুষের মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্দোলন-সংগ্রাম করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এমনকি জীবন দিয়ে দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করেছেন। রবিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্ট ইনার গার্ডেনে ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব; স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর আলোচনা সভায় একথা বলেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানুষকে ভালোবাসতেন। ছোটবেলা থেকেই তার মাঝে এই গুণটি ছিল। তিনি মানুষকে ভালোবেসে তাদের মুক্তির জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে এ দেশ স্বাধীন করেছিলেন। এমনকি, নিজের জীবন দিয়ে তিনি এ দেশের মানুষের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করে গেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের শিশু সন্তানেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানবিচারপতি বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান শুধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার মহান স্থপতিই নন, বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তি সংগ্রামের অনুপ্রেরণার উৎসও হয়ে থাকবেন। প্রধান বিচারপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু এক দিনে হয়ে উঠেননি। তিনি যখন শিশু ছিলেন তখন থেকেই তার মধ্যে সে প্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। শিশুকালের সহমর্মিতা, বন্ধুর প্রতি সহযোগিতা, বিপদে বন্ধুর প্রতি হাত বাড়িয়ে দেওয়া ইত্যাদি চারিত্রিক গুণাবলি বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিল।

একটি অসাম্প্রদায়িক শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ার আশা প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজ এখানে আমরা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই আমরা যেন সবাই মিলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ তৈরি করতে পারি। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত শিশুদের মধ্যে চকলেট বিতরণ করেন।

এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণ ও অনুষ্ঠানের পরক্ষণে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এরপর সুপ্রিম কোর্ট ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে অবস্থিত ‘স্মৃতি চিরঞ্জীব’ স্মারক সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধান বিচারপতি। পরে শিশুদের নিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি বলেন, আজকের এ দিনকে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়েছে এ কারণে যে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে প্রতিভা ছিল, যে প্রতিভার বিকাশ ঘাটিয়ে তিনি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তিনি যে জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, যেভাবে একটি জাতির জন্ম দিয়েছেন, সারা পৃথিবীতে এ প্রথম বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন বাংলাদেশ। এর পেছনে তার যে অবিরাম সংগ্রাম সেটি শিশুদের বেঝানো দরকার।