০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

আজ ৮৪’তে পা রাখছেন জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীরমিত্র

  • Sarakhon Report
  • ০৫:০০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪
  • 13

সারাক্ষণ প্রতিবেদক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীরমিত্র আজ ৮৪ বছরে পা রাখছেন। ১৯৪১ সালের আজকের দিনে তিনি জন্ম গ্রহন করেছিলেন। সেই হিসেবে আজ ৮৩ বছর পূর্ণ করে তিনি ৮ তে পা রাখছেন। প্রবীরমিত্রের দুই পায়ের হাটুতে সমস্যার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ভীষণ অসুস্থ তিনি। বড় ছেলে মিঠুন ও মেজ ছেলে নিপুণের কাছেই একসঙ্গে আছেন তিনি রাজধানীর ধানমণ্ডির আট নম্বর রোডের এক বাসাতে। গেলো শুক্রবার সন্ধ্যার পর তাকে দেখতে গিয়ে তার বড় ছেলে মিথুনের সঙ্গে কথা হলো। তখন প্রবীরমিত্র ঘুমে।

মিথুন জানান, তার বাবার ঘুমের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যখন ইচ্ছে তখন ঘুমান। আর একটি নির্দিষ্ট রুমের বাইরে তিনি সাধারণত বের হন না। একটি ঘরেই সময় কাটে প্রবীরমিত্রের। মিথুন তার স্ত্রী, মিথুনের ছোট ভাই নিপুণ তার স্ত্রী যথেষ্ট সময় দেবার চেষ্টা করেন তাদের বাবাকে। দীর্ঘ চার বছর যাবত এই বাসাতে আছেন প্রবীরমিত্র। একদমই কোনো খোঁজ খবর রাখেন না প্রবীরমিত্রের দীর্ঘদিনের কর্মস্থলের প্রিয়জনেরা।

প্রবীরমিত্রের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তার সঙ্গে শেষবার আড্ডাও দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেষ তা আর হলো না। এখন আর কাউকে দেখার ইচ্ছেও নেই তার। খুউব কম কথা বলেন প্রবীরমিত্র। মিথুন জানান, তার বাবার জন্মদিনে তার বড় বোন ফেরদৌস পারভীন বাসায় আসেন। সবাই মিলে বাবাকে একটু আনন্দ দেবার চেষ্টা করেন। মিথুন জানান তার মা নাজমুন্নাহার মারা গেছেন ২০০০ সালে। আর তার ছোট ভাই আকাশ ২০১২ সালে মারা গেছেন। এরপর থেকেই তার বাবাও যেন কেমন হয়ে যান।

মিথুন বলেন,‘ বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আমাদের মাথার উপর বাবা ছায়া হয়ে এখনো আছেন এটাইতো আসলে অনেক বড় কিছু।’ ১৯৮২ সালে প্রবীরমিত্র মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর থেকে চার শতাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি ২০২৮ সালে ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হয়েছেন। তবে একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা পদক পাননি তিনি। অ্যাওয়ার্ড’, ‘দর্শক ফোরাম অ্যাওয়ার্ড’, ‘ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি অ্যাওয়ার্ড’সহ আরো বহু সম্মাননা।

নায়ক হিসেবে প্রবীরমিত্রের প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো জহির রায়হানের শেষ সহকারী শেখ নজরুল ও ইলতুত মিস পরিচালিত ‘চাবুক’। এতে প্রবীরমিত্রের নায়িকা ছিলেন কবরী। সর্বশেষ প্রবীরমিত্র এসডি রুবেল পরিচালিত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর আর কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি তিনি। রাজধানীর তাতী বাজারের ‘মিত্র ভবন’র মালিক প্রবীরমিত্রের পরিবার। তার ভাই সুবীরমিত্র কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার সময় দিল্লী থেকে তার বোন শুনু ও কলকাতা থেকে তার বোন স্বরস্বতী এসেছিলেন।

আজ ৮৪’তে পা রাখছেন জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীরমিত্র

০৫:০০:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৪

সারাক্ষণ প্রতিবেদক
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেতা প্রবীরমিত্র আজ ৮৪ বছরে পা রাখছেন। ১৯৪১ সালের আজকের দিনে তিনি জন্ম গ্রহন করেছিলেন। সেই হিসেবে আজ ৮৩ বছর পূর্ণ করে তিনি ৮ তে পা রাখছেন। প্রবীরমিত্রের দুই পায়ের হাটুতে সমস্যার কারণে দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ভীষণ অসুস্থ তিনি। বড় ছেলে মিঠুন ও মেজ ছেলে নিপুণের কাছেই একসঙ্গে আছেন তিনি রাজধানীর ধানমণ্ডির আট নম্বর রোডের এক বাসাতে। গেলো শুক্রবার সন্ধ্যার পর তাকে দেখতে গিয়ে তার বড় ছেলে মিথুনের সঙ্গে কথা হলো। তখন প্রবীরমিত্র ঘুমে।

মিথুন জানান, তার বাবার ঘুমের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। যখন ইচ্ছে তখন ঘুমান। আর একটি নির্দিষ্ট রুমের বাইরে তিনি সাধারণত বের হন না। একটি ঘরেই সময় কাটে প্রবীরমিত্রের। মিথুন তার স্ত্রী, মিথুনের ছোট ভাই নিপুণ তার স্ত্রী যথেষ্ট সময় দেবার চেষ্টা করেন তাদের বাবাকে। দীর্ঘ চার বছর যাবত এই বাসাতে আছেন প্রবীরমিত্র। একদমই কোনো খোঁজ খবর রাখেন না প্রবীরমিত্রের দীর্ঘদিনের কর্মস্থলের প্রিয়জনেরা।

প্রবীরমিত্রের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু ছিলেন কিংবদন্তী অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। তার সঙ্গে শেষবার আড্ডাও দিতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষমেষ তা আর হলো না। এখন আর কাউকে দেখার ইচ্ছেও নেই তার। খুউব কম কথা বলেন প্রবীরমিত্র। মিথুন জানান, তার বাবার জন্মদিনে তার বড় বোন ফেরদৌস পারভীন বাসায় আসেন। সবাই মিলে বাবাকে একটু আনন্দ দেবার চেষ্টা করেন। মিথুন জানান তার মা নাজমুন্নাহার মারা গেছেন ২০০০ সালে। আর তার ছোট ভাই আকাশ ২০১২ সালে মারা গেছেন। এরপর থেকেই তার বাবাও যেন কেমন হয়ে যান।

মিথুন বলেন,‘ বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চাই। আমাদের মাথার উপর বাবা ছায়া হয়ে এখনো আছেন এটাইতো আসলে অনেক বড় কিছু।’ ১৯৮২ সালে প্রবীরমিত্র মহিউদ্দিন পরিচালিত ‘বড় ভালো লোক ছিলো’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এরপর থেকে চার শতাধিক সিনেমাতে অভিনয় করেছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তিনি ২০২৮ সালে ‘আজীবন সম্মাননা’তেও ভূষিত হয়েছেন। তবে একুশে পদক কিংবা স্বাধীনতা পদক পাননি তিনি। অ্যাওয়ার্ড’, ‘দর্শক ফোরাম অ্যাওয়ার্ড’, ‘ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি অ্যাওয়ার্ড’সহ আরো বহু সম্মাননা।

নায়ক হিসেবে প্রবীরমিত্রের প্রথম চলচ্চিত্র ছিলো জহির রায়হানের শেষ সহকারী শেখ নজরুল ও ইলতুত মিস পরিচালিত ‘চাবুক’। এতে প্রবীরমিত্রের নায়িকা ছিলেন কবরী। সর্বশেষ প্রবীরমিত্র এসডি রুবেল পরিচালিত ‘বৃদ্ধাশ্রম’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এরপর আর কোন চলচ্চিত্রে অভিনয় করেননি তিনি। রাজধানীর তাতী বাজারের ‘মিত্র ভবন’র মালিক প্রবীরমিত্রের পরিবার। তার ভাই সুবীরমিত্র কয়েক বছর আগে মারা যাওয়ার সময় দিল্লী থেকে তার বোন শুনু ও কলকাতা থেকে তার বোন স্বরস্বতী এসেছিলেন।