১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
আইনস্টাইন: একজন মহান বিজ্ঞানী, কিন্তু তার জীবন ছিল জটিল গ্রিনউইচের নেতৃত্বে ভেনাসের গতিপথ পর্যবেক্ষণ: একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত আমেরিকার নাগরিকত্বধারী ও তথাকথিত গণতান্ত্রিক, পরিবেশবাদীদের দিন দ্রুতই শেষ হবে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমদ ১৬৭৫ সালে তারকা-দর্শনের বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন নাজরানের ঐতিহ্যে মিশে থাকা প্রাচীন পামবাগান ও কাদা বাড়ির গ্রাম ১৮৮৪ সালে গ্রিনউইচ: বিশ্ব একত্রিত হয় সময়ের জন্য টিএন্ডটির সিইও টিনা লির সাথে এগ টার্টের চা-পর্ব গ্রিনউইচ রেলওয়ের সাহায্যে ১৮৫২ সালে সময়সূচী বিপর্যয়ের সমাধান গ্রেট একুয়েটোরিয়াল টেলিস্কোপ: গ্রিনউইচের বিশ্ব খ্যাতি এবং নতুন যুগের সূচনা

নরওয়েতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে রাশিয়ার ‘গুপ্তচর তিমি’

  • Sarakhon Report
  • ০১:২৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 62

ভালদিমির নামের বেলুগা প্রজাতির এই তিমিটির বিরুদ্ধে রাশিয়ান গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে

হেনরি অ্যাস্টিয়ার

নরওয়ের উপকূলে একটি বেলুগা প্রজাতির তিমি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রাশিয়া এ তিমিটিকে গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

ভলদিমির নামে এই প্রাণিটির মৃতদেহ দক্ষিণ – পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিসাভিকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিমিটিকে নিকটস্থ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পাঁচ বছর আগে প্রথম তিমিটিকে নরওয়ের সমুদ্রে দেখা যায়। সে সময় এটির সাথে একটি গোপ্রো ক্যামেরা লাগানো ছিল, যেটির গায়ে ‘সেন্ট পিটার্সবার্গের যন্ত্র’ লেখা ছিল।

এতেই গুজব ছড়িয়েছিল যে এই স্তন্যপায়ী প্রাণিটি একটি গুপ্তচর তিমি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

যদিও মস্কো কখনো এ ধরনের অভিযোগের কোন জবাব দেয় নি।

মেরিন মাইন্ড নামের একটি সংগঠন সপ্তাহের শেষে ভলদিমিরের নিথর দেহটি আবিষ্কার করে।

এ সংগঠনটি বছরের পর বছর ধরে তিমিটির গতিবিধি অনুসরণ করছিল।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান স্ট্রান্ড বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিমিটির মৃত্যুর কারণ অজানা বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভলদিমিরের দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

তিনি আরো বলেছেন, “ আমরা তার দেহাবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছি। তার মৃত্যুর কারণ জানতে ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউট যাতে পরীক্ষা – নিরীক্ষা করতে পারে সে কারণে তিমিটিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখা হয়েছে”।

ভলদিমিরের আনুমানিক বয়স ১৫ বছর হতে পারে। যদিও একটি বেলুগা তিমির জন্য এটা তেমন কোন বয়স নয়। কারণ এ ধরনের তিমি ৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে ইনগোয়া দ্বীপের কাছে নরওয়েজিয়ান নৌকাগুলোর কাছাকাছি প্রথম তিমিটিকে দেখা যায়। যা রাশিয়ার উত্তর নৌ বহর মুরমানস্ক থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এ ঘটনা সে সময় সকলে নজরে এসেছিল কারণ নর্দার্ন আইল্যান্ডের এতো দক্ষিণে এ ধরনের বেলুগাস তিমি খুব কমই দেখা যায়।

নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ওই সময় এ ঘটনা তদন্ত করেছিল।

পরে তারা জানিয়েছিল যে, তিমিটি রাশিয়ান সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত বলে মনে হচ্ছে। কারণ সে মানুষের সাথে মিশতে অভ্যস্ত।

স্থানীয়ভাবে তিমিটিকে ভলদিমির বলে ডাকা হতো। ‘ভল’ একটি নরওয়েজিয়ান শব্দ, মূলত মজা করার জন্য এ নামে ডাকা হত।

একইসাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নামও যেহেতু ভ্লাদিমির পুতিন তাই মজা করেই তিমিটিকে ওই নামে ডাকা হত।

সামরিক উদ্দেশ্যে সমুদ্রের স্তন্যপায়ী প্রাণি- যেমন ডলফিনকেও প্রশিক্ষণ দেয়ার অতীত ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার।

রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই দাবি করে নি যে ভলদিমিরকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণিদের অতীতে কখনও গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এমন কোন কর্মসূচির অস্তিত্বই রাশিয়া অস্বীকার করেছে।

বিবিসি নিউজ

জনপ্রিয় সংবাদ

আইনস্টাইন: একজন মহান বিজ্ঞানী, কিন্তু তার জীবন ছিল জটিল

নরওয়েতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে রাশিয়ার ‘গুপ্তচর তিমি’

০১:২৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

হেনরি অ্যাস্টিয়ার

নরওয়ের উপকূলে একটি বেলুগা প্রজাতির তিমি মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। রাশিয়া এ তিমিটিকে গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়।

ভলদিমির নামে এই প্রাণিটির মৃতদেহ দক্ষিণ – পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর রিসাভিকায় ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিমিটিকে নিকটস্থ বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

পাঁচ বছর আগে প্রথম তিমিটিকে নরওয়ের সমুদ্রে দেখা যায়। সে সময় এটির সাথে একটি গোপ্রো ক্যামেরা লাগানো ছিল, যেটির গায়ে ‘সেন্ট পিটার্সবার্গের যন্ত্র’ লেখা ছিল।

এতেই গুজব ছড়িয়েছিল যে এই স্তন্যপায়ী প্রাণিটি একটি গুপ্তচর তিমি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে।

যদিও মস্কো কখনো এ ধরনের অভিযোগের কোন জবাব দেয় নি।

মেরিন মাইন্ড নামের একটি সংগঠন সপ্তাহের শেষে ভলদিমিরের নিথর দেহটি আবিষ্কার করে।

এ সংগঠনটি বছরের পর বছর ধরে তিমিটির গতিবিধি অনুসরণ করছিল।

সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সেবাস্টিয়ান স্ট্রান্ড বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিমিটির মৃত্যুর কারণ অজানা বলে জানিয়েছেন। এমনকি ভলদিমিরের দেহে কোন আঘাতের চিহ্ন ছিল না।

তিনি আরো বলেছেন, “ আমরা তার দেহাবশেষ উদ্ধার করতে পেরেছি। তার মৃত্যুর কারণ জানতে ভেটেরিনারি ইন্সটিটিউট যাতে পরীক্ষা – নিরীক্ষা করতে পারে সে কারণে তিমিটিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত স্থানে রাখা হয়েছে”।

ভলদিমিরের আনুমানিক বয়স ১৫ বছর হতে পারে। যদিও একটি বেলুগা তিমির জন্য এটা তেমন কোন বয়স নয়। কারণ এ ধরনের তিমি ৬০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে ইনগোয়া দ্বীপের কাছে নরওয়েজিয়ান নৌকাগুলোর কাছাকাছি প্রথম তিমিটিকে দেখা যায়। যা রাশিয়ার উত্তর নৌ বহর মুরমানস্ক থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

এ ঘটনা সে সময় সকলে নজরে এসেছিল কারণ নর্দার্ন আইল্যান্ডের এতো দক্ষিণে এ ধরনের বেলুগাস তিমি খুব কমই দেখা যায়।

নরওয়ের গোয়েন্দা সংস্থা ওই সময় এ ঘটনা তদন্ত করেছিল।

পরে তারা জানিয়েছিল যে, তিমিটি রাশিয়ান সেনাবাহিনীর দ্বারা প্রশিক্ষিত বলে মনে হচ্ছে। কারণ সে মানুষের সাথে মিশতে অভ্যস্ত।

স্থানীয়ভাবে তিমিটিকে ভলদিমির বলে ডাকা হতো। ‘ভল’ একটি নরওয়েজিয়ান শব্দ, মূলত মজা করার জন্য এ নামে ডাকা হত।

একইসাথে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নামও যেহেতু ভ্লাদিমির পুতিন তাই মজা করেই তিমিটিকে ওই নামে ডাকা হত।

সামরিক উদ্দেশ্যে সমুদ্রের স্তন্যপায়ী প্রাণি- যেমন ডলফিনকেও প্রশিক্ষণ দেয়ার অতীত ইতিহাস রয়েছে রাশিয়ার।

রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে কখনোই দাবি করে নি যে ভলদিমিরকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী প্রশিক্ষণ দিয়েছে।

সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণিদের অতীতে কখনও গুপ্তচর হিসেবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে এমন কোন কর্মসূচির অস্তিত্বই রাশিয়া অস্বীকার করেছে।

বিবিসি নিউজ