শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৫ পূর্বাহ্ন

দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশের ১০ ব্যাংক: গভর্নর

  • Update Time : সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৩৭ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এস আলমের লাখ কোটি টাকা ঋণ, ব্যাংকে জমা ২৬ হাজার কোটি”

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নামে কেবল ছয়টি ব্যাংকেই বিপুল অঙ্কের নগদ টাকার সন্ধান মিলেছে। এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। এস আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এই টাকা ব্যাংকগুলোতে জমা আছে। এসব ব্যাংকের পাঁচটিই এস আলম গ্রুপের সরাসরি মালিকানায় অথবা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫–এর এক অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের এ বিপুল অর্থের সন্ধান মিলেছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ওই কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা ব্যাংকে জমা পুরো অর্থ কর বিভাগের আয়ত্তে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই কর অঞ্চল-১৫ এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল। সাধারণত ফাঁকি দেওয়া কর আদায় করার লক্ষ্যে হিসাব তলব করে থাকে কর বিভাগ।

বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং তাঁদের প্রতিষ্ঠানের নামে কেবল ছয়টি ব্যাংকেই বিপুল অঙ্কের নগদ টাকার সন্ধান মিলেছে। এ অর্থের পরিমাণ প্রায় ২৬ হাজার কোটি টাকা। এস আলম, তাঁর স্ত্রী ফারজানা পারভীন, ভাই আবদুল্লাহ হাসানসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে এই টাকা ব্যাংকগুলোতে জমা আছে। এসব ব্যাংকের পাঁচটিই এস আলম গ্রুপের সরাসরি মালিকানায় অথবা নিয়ন্ত্রণে ছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর অঞ্চল-১৫–এর এক অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে এস আলম গ্রুপের এ বিপুল অর্থের সন্ধান মিলেছে। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ওই কর অঞ্চলের কর্মকর্তারা ব্যাংকে জমা পুরো অর্থ কর বিভাগের আয়ত্তে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই কর অঞ্চল-১৫ এস আলম পরিবারের সদস্য ও তাঁদের প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব তলব করেছিল। সাধারণত ফাঁকি দেওয়া কর আদায় করার লক্ষ্যে হিসাব তলব করে থাকে কর বিভাগ।

এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে শুধু এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের একাধিক হিসাবেই ঢুকেছে ৮৩ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।

কর অঞ্চল-১৫–এর তদন্ত দল সূত্রে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে ছয়টি ব্যাংকে থাকা এস আলম গ্রুপের মালিকপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাবে প্রায় ১ লাখ ৯ হাজার কোটি টাকা ঢুকেছে (ডিপোজিট হয়েছে) বলে অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে। এর বেশির ভাগই ঋণের অর্থ হিসেবে জমা হয়েছে। এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে ঋণ নিয়ে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের পর থেকে শুধু এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেডের একাধিক হিসাবেই ঢুকেছে ৮৩ হাজার ৭০৬ কোটি টাকা।

যে ছয়টি ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের বিপুল অঙ্কের টাকার সন্ধান মিলেছে, সেগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক। এর মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ও আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ছাড়া বাকি চারটি ব্যাংকই সরাসরি এস আলম গ্রুপের মালিকানায় ছিল। এ ছাড়া আল–আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকও ছিল এই গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। ছয়টি ব্যাংকের পর্ষদই বাতিল করে নতুন পর্ষদ গঠন করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশের ১০ ব্যাংক: গভর্নর”

জালিয়াতি ও লুটপাটে দেশের ১০ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। অন্তর্বর্তী সরকার এসব ব্যাংককে রক্ষার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমরা আশা করি না কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে। তবে এটাও ঠিক অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে আছে। কিন্তু আমরা কাস্টমারের স্বার্থ রক্ষা করবো। এই ব্যাংকগুলোকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবো। ইনশাআল্লাহ এগুলো ঘুরে দাঁড়াবে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “চাল-ডিমসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়লেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট!”

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার প্রথম মাসেই কমিয়ে আনা হয়েছে মূল্যস্ফীতি। পটপরিবর্তনের মাস আগস্টে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হ্রাসের পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে খাদ্য মূল্যস্ফীতি, আগের মাসের চেয়ে যা প্রায় ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে। জুলাইয়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ, যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ২৫ দিনেরও কম সময়ে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরার এমন তথ্য দিচ্ছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। যদিও এ সময়ে বাজারে চাল ও ডিমসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণের দাম না কমে উল্টো বেড়েছে। তাই এবারো বিবিএসের পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা।

বিবিএস গতকাল মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রকাশ করেছে। হালনাগাদ এ প্রতিবেদনে দেখা যায়, আগস্টে সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে, জুলাইয়ে যা ছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ২ দশমিক ৭৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে নেমেছে, আগের মাসে তা ছিল ১৪ দশমিক ১ শতাংশ। তবে সাধারণ ও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। জুলাইয়ের ৯ দশমিক ৬৮ শতাংশ থেকে বেড়ে তা ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এ সময় শহরের তুলনায় গ্রামে বেশি ছিল সব ধরনের মূল্যস্ফীতির হার।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “বৈষম্যের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিলেন নতুন পররাষ্ট্র সচিব”

দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রণালয় ও বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনসমূহে বিদ্যমান বৈষম্য নিরসনের স্পষ্ট বার্তা দিলেন নবনিযুক্ত পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন। অধস্তনদের খোলাসা করে বললেন, আমি আমার অবস্থান থেকে দীর্ঘ দিনের পুঞ্জীভূত ওই সমস্যার সমাধানে কাজ করতে চাই। আমাদের পটেনশিয়াল আছে। আমরা এটাকে কাজে লাগাবো। আমি পররাষ্ট্র সচিবের পদ আঁকড়ে ধরে রাখবো না। আমি এটা বলতে পারি- চাকরির পূর্ব নির্ধারিত মেয়াদের মধ্যেই আমি আমার ওপর অর্পিত দায়িত্ব যথাসম্ভব সম্পন্ন করে সম্মানের সঙ্গে বিদায় নেয়ার চেষ্টা করবো। উত্তরসূরির হাতে নিজেই দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চান জানিয়ে মিস্টার উদ্দীন বলেন, আমি বিশ্বাস করি এমন হট সিটে দীর্ঘদিন থাকলে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায়। স্মরণ করা যায়, ২০২৬ সালের ১২ই ডিসেম্বর দেশের ২৭তম পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিনের অবসর উত্তর ছুটি শুরুর কথা। বিসিএস ১৩তম ব্যাচের পররাষ্ট্র ক্যাডারের কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন ১৯৯৪ সালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের অধিকারী ওই কূটনীতিককে পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ দেয় সরকার।

রোববার দিনের শুরুতে তিনি তার দায়িত্ব বুঝে নেন। দুপুর ১২টায় তিনি মন্ত্রণালয়ে সব কর্মকর্তাদের নিয়ে টাউন হল মিটিং করেন। তারপর ডিজিদের কাছ থেকে উইংওয়ারি ইনপুট নেন রাত ৮টা পর্যন্ত। মধ্যখানে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে অত্যাসন্ন জাতিসংঘ অধিবেশন নিয়ে কিছু ইনপুটও দেন। পররাষ্ট্র সচিব হিসেবে নিয়োগের আগে চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন জসীম উদ্দিন। সমদূরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি মঙ্গোলিয়ারও দায়িত্বে ছিলেন। ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কাতারে এবং ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গ্রিসে রাষ্ট্রদূত হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন জসীম উদ্দিন। ২০১২ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার ছিলেন তিনি। তার আগে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ছিলেন ওয়াশিংটন ডিসিতে। বাংলাদেশ দূতাবাসে মিনিস্টার ও ডেপুটি চিফ অব মিশনের দায়িত্ব সামলেছেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসে কাউন্সেলর হিসেবে এবং ২০০০ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব ও কাউন্সেলর ছিলেন। এরমধ্যে তিনি দেশেও বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত হেডকোয়ার্টারে তিনি দক্ষিণ এশিয়া এবং পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অনুবিভাগের প্রধান ছিলেন। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুটোই করেছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024