শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন

ফসলি জমিতে বালুর স্তূপ, চিন্তায় কৃষক

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৮.৩০ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ফসলি জমিতে বালুর স্তূপ, চিন্তায় কৃষক”

কয়েক দিন আগেও ছিল ফসলের সবুজ খেত। ভালো ফলন হবে, এমন আশায় দিন গুনছিলেন কৃষক; কিন্তু বন্যার পানিতে সব ফসল নষ্ট হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার পর দেখা দিয়েছে নতুন বিপদ। মাঠের পর মাঠ ঢেকে গেছে বালুর স্তূপে। নিচু জমি উঁচু হয়ে গেছে। বালুর স্তূপ না সরালে জমিতে চাষাবাদ করা সম্ভব নয়। দুশ্চিন্তায় ফেনীর কৃষকদের এখন মাথায় হাত। জমি চাষযোগ্য করে তুলতে তাঁরা এখন সরকারি সাহায্য চান।

পরশুরামের দক্ষিণ কাউতলী গ্রামের কৃষক আবু তালেব মজুমদার। ৩০ শতক জমিতে তাঁর আখখেত ছিল। আখ মাড়াইয়ের পর গুড় তৈরি করে সংসার চলত তাঁর। তিনি বলেন, ‘পাঁচ-সাত ফুট উঁচু বালুর স্তূপ জমে গেছে জমিতে। শুধু আখের মাথাগুলা দেখা যাচ্ছে। ধারকর্জ করে ৯ কানি জমিতে রোপা আমন লাগিয়েছিলাম। সে জমিতেও বালু–কাদা জমে আছে। নতুন করে আমনের চারা এনে রোপণ করতে হলে প্রতি কানিতে (২০ শতক) ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। ঘরে খাবার নেই। চাষাবাদ করতে না পারলে, খাব কী?

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “দালাল চক্রের সহায়তায় ফের আসছে রোহিঙ্গারা”

মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান সংঘাতের কারণে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ২০টি পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা কৌশলে অনুপ্রবেশ করছে। এ কাজে দালাল চক্র রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫ থেকে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের এপারে আসতে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমারের রাখাইন দখল নিতে আরাকান আর্মি দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে। সে সঙ্গে এ লড়াইয়ে আরও কিছু বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন রয়েছে।

জানা গেছে, আরাকান আর্মি গত ছয় মাস যুদ্ধে রাখাইনের অধিকাংশ অঞ্চল এবং দেশটির সেনা ও বিজিপির ক্যাম্প, চৌকি দখলের পরে মংডু শহর দখল নিতে এখন তীব্র হামলা চালাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারি বাহিনীও মংডু শহর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পালটা হামলা অব্যাহত রেখেছে। এ সংঘাতের জেরে মংডুসহ আশপাশের গ্রামে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি ঘটছে। এ কারণে নতুন করে ৮ থেকে ১২ হাজার রোহিঙ্গা নৌকা করে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই রোহিঙ্গাদের টাকার বিনিময়ে সহায়তা করছে টেকনাফের স্থানীয় একটি দালাল চক্র। আরও জানা গেছে, এই চক্র টেকনাফ সীমান্তের জাদিমোরা, দমদমিয়া, কেরুনতলি, বরইতলি, নাইট্যংপাড়া, জালিয়াপাড়া, নাজিরপাড়া, মৌলভীপাড়া, নয়াপাড়া, শাহপরীর দ্বীপ, জালিয়াপাড়া, মিস্ত্রিপাড়া, ঘোলারচর, খুরেরমুখ, আলীর ডেইল, মহেষখালীয়াপাড়া, লম্বরী, তুলাতলি, রাজারছড়া, বাহারছড়া ইত্যাদি পয়েন্ট দিয়ে সীমান্তে দায়িত্বরত বিজিবি ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে কৌশলে রোহিঙ্গাদের দেশে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। এরপর রোহিঙ্গারা উখিয়া ও টেকনাফ ক্যাম্পে পরিচিত আত্মীয়স্বজনদের কাছে কিংবা টেকনাফের বিভিন্ন ভাড়া বাসায় আশ্রয় গ্রহণ করছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “জ্বালানির অভাব, সরবরাহ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটলে তাৎক্ষণিক বিকল্প নেই বিপিডিবির”

বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কাছে বিপুল পরিমাণ পাওনা বকেয়া পড়েছে ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপের। এ বিল পরিশোধে এরই মধ্যে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্কবার্তা দিয়েছে আদানি। আদানি ছাড়াও ভারত থেকে দেশটির সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশে দ্বিপক্ষীয় বিদ্যুৎ বাণিজ্য চুক্তির আওতায় আনা হচ্ছে আরো ১ হাজার ১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সেখানেও বকেয়া পড়ছে। এ বিপুল পরিমাণ বকেয়ার কারণে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন এমনকি বন্ধ হয়ে পড়ারও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

বিপিডিবির কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটি থেকে সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে জরুরি ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার মতো সক্ষমতার বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাংলাদেশে আছে। যদিও আশঙ্কা রয়েছে এগুলো চালানোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানির সংস্থান করা নিয়ে। এ ধরনের সমস্যা দেখা দিলে জ্বালানি সংকটের কারণে বিপিডিবি তা তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবেলা করতে পারবে কিনা সে বিষয়ে বড় ধরনের সংশয় রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশে বিদ্যুতের চাহিদা গড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াটের আশপাশে। ভারতের সঙ্গে আমদানি চুক্তি রয়েছে ২ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াটের (আদানি ও জিটুজি মিলিয়ে), যা চাহিদার ২০ শতাংশের কাছাকাছি। এর মধ্যে আদানি গ্রুপে ও ভারত সরকারের সঙ্গে জিটুজি চুক্তির আওতায় প্রতিবেশী দেশটি মোট ২ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট আসার কথা। বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বিদ্যুতের গড় সরবরাহ প্রায় ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এর মধ্যে ভারত থেকে এ সরবরাহ সর্বনিম্ন ২ হাজার থেকে সর্বোচ্চ আড়াই হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ওঠানামা করে। কিন্তু এরই মধ্যে আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ কোম্পানিটির পাওনা বেড়েই চলেছে। এ পরিস্থিতিকে ব্যবসা চালানোর জন্য ‘টেকসই নয়’ বলে মনে করছে আদানি গ্রুপ। বকেয়া বেড়ে যাওয়ায় বিপিডিবিকে জিটুজির আওতায় আনা বিদ্যুতের সরবরাহও কমিয়ে দিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলো। বকেয়া পরিশোধ নিয়ে সংকট আরো বাড়লে একপর্যায়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুতের সরবরাহ বন্ধও হয়ে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “প্রেসিডেন্টের দুবাই কানেকশন নিয়ে নানা কৌতূহল”

প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিনের মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম, দুবাইতে পার্টনারশিপ ব্যবসা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রেসিডেন্সি থাকার খবরে নড়েচড়ে বসেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় চলছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের দুবাই কানেকশন নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা কৌতূহল। মানবজমিনের অনুসন্ধান বলছে, গত মার্চে সর্বশেষ দুবাই সফর করেন প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। সে সময় দুই রাষ্ট্রের যথাযথ প্রটোকলে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে সেখানে দুই রাত কাটান। পরিভ্রমণ করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের আকাশচুম্বী ভবন বুর্জ আল খলিফা। তার সম্মানে ছিল রিভার ক্রুজ এবং গালা ডিনারের আয়োজন। যেখানে আরব আমিরাতে বড় বিনিয়োগকারী প্রেসিডেন্টপুত্র আরশাদ আদনান রনিও অংশ নেন। দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্র মতে, বিদেশে প্রেসিডেন্টের সহায়-সম্পত্তি থাকার তথ্যের প্রাথমিক সত্যতা নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের একাধিক সংস্থা বিস্তৃত তদন্ত শুরু করেছে। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয় বরং সরকারের অন্য অর্গান এ নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষ এটা দেখছে। তিনি বলেন, কোনো এক পর্যায়ে হয়তো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করা হবে, বিষয়টির আইনগত অনেক দিক আছে। প্রেসিডেন্টের নিজের ব্যাপার আছে। সার্বিক বিবেচনায় এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিজে থেকে নাড়াচাড়া করতে চায় না। এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জুরিসডিকশনের মধ্যেও পড়ে না। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দায়িত্বশীল কূটনৈতিক সূত্রগুলো মানবজমিনকে জানিয়েছে- প্রেসিডেন্টের একমাত্র ছেলে আরশাদ আদনান রনির দুবাইতে ব্যবসা রয়েছে। সেটার সূত্র ধরেই দুবাইয়ের একটি কোম্পানিতে প্রেসিডেন্টের বিনিয়োগ এবং আমিরাতে রেসিডেন্সি বা বসবাসের অনুমতি পেয়েছেন তিনি। গত মার্চে প্রেসিডেন্ট চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাওয়ার পথে ৩ দিন ছেলের সঙ্গে দুবাইতে কাটান। প্রেসিডেন্ট ৩ দিন দুবাইতে থাকলেও এ নিয়ে দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় কোনো খবর প্রচার হয়নি। তবে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস প্রেসিডেন্টের যাত্রা এবং লন্ডনে পৌঁছার খবর প্রচার করেছিল। কূটনৈতিক সূত্র এটা নিশ্চিত করেছে যে, প্রেসিডেন্ট, তার সহধর্মিণী এবং ছেলে আরশাদ আদনান রনি সফরের পুরো সময় পাম জুমেরা এলাকার একটি অভিজাত হোটেলে ছিলেন। ভিভিআইপি ওই সফরে যথাযথ প্রটোকল পান প্রেসিডেন্ট। আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত, দুবাইতে নিযুক্ত কনসাল জেনারেল এবং প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তায় থাকা দুই দেশের প্রটোকল ও সিকিউরিটি টিম প্রেসিডেন্ট ও তার সহধর্মিণী রেবেকা সুলতানা, ছেলে আরশাদ আদনান রনির প্রটোকলে নিয়োজিত ছিলেন। প্রেসিডেন্ট একটি কোম্পানির পার্টনার হিসেবে রেসিডেন্ট কার্ড পেয়েছেন জানিয়ে আমিরাতের বাংলাদেশ দূতাবাসের একটি সূত্র জানায়, বিনিয়োগ থাকলে যে কেউ আমিরাতের রেসিডেন্সি পেতে পারেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024