বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষাবিদ মনে করছেন, ছাত্রদের নানান ধরনের কাজ করতে হয়। কোভিড পরবর্তী সময়ে অর্থনীতি অধিকাংশ দেশের খারাপ হওয়ায় কোন কোন ছাত্রকে বাড়তি আয়ের জন্যে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাছাড়া এ মুহূর্তে অনেক দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থাপনা খারাপ থাকায় ছাত্ররা প্রয়োজনীয় প্রোটিন খেতে পারছে না। এ অবস্থায় তারা ক্লাসের বইয়ের বাইরে বেশি বই পড়ার সুযোগ কম পাচ্ছে বা তাদের শরীর ও সমর্থ সব মিলে বেশি বই পড়ার বিপরীতে যাচ্ছে।
তবে পাশাপাশি ওই শিক্ষাবিদরা আবার এও বলছেন, এভাবে কম বই পড়িয়ে বা শুধুমাত্র ক্লাসের বই পড়িয়ে যদি তাদেরকে পাশ করানো হয় তাহলে তারা প্রকৃত শিক্ষা পাবে না। তাছাড়া সিলেবাসের বাইরে প্রত্যেক ক্লাস শিক্ষকের দায়িত্ব থাকে, তার প্রতি কোর্সে তার ছাত্ররা কতগুলো বই পড়বে তা নির্ধারণ করে দেয়া।
তবে এই কোর্স শিক্ষক, সিলেবাস এ সবের বাইরেও শিক্ষার মূল বিষয় হলো শিক্ষিত, দক্ষও যোগ্য হওয়া। এগুলো সবই নির্ভর করে জ্ঞানের ওপর। আজকাল অনেকে মনে করেন, গ্লোবাল সাউথের অনেকগুলো দেশ যারা উন্নত হয়েছে- এগুলো মূলত টেকনোলজির জোরে সেখানে প্রকৃত জ্ঞান চর্চা নেই। তাদের এ ধারণ সম্পূর্ণ ভুল। ওই সব দেশে ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ছাত্র ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বললে- তাদের জ্ঞানের পরিধি জানা যায়। এবং তা কোন ক্রমেই উন্নত বিশ্বের থেকে কম নয়। সেখানে ছাত্ররা বই পড়া থেকে ছিটকে পড়ছে না। আর বই এর সফট কপি ও হার্ড কপি তো মূলত একই।
ওই দেশগুলোতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কী নামে ডাকা হবে, কী তার স্ট্যাটাস হবে- তা নিয়ে ছাত্ররা কোন সময় নষ্ট করে না। বরং তাদের দিন রাতের কাজের ঘন্টা বাড়িয়ে দিয়ে তার ভেতরই পড়ার সময়টা দীর্ঘ করে।
আমাদের দেশে এ নিয়ে কোন আলোচনাও নেই। চিন্তাও নেই। চিন্তাগুলো অনেক পুরানো। সে আলোচনায় না গিয়ে বলা যেতে পারে বিশ্বের কোথাও বই পড়াকে কমিয়ে দেয়া ঠিক হবে কি? যত কিছুই ঘাটতি থাকুক শিক্ষিত যখন প্রকৃত শিক্ষিত না হবে- ততক্ষনে সে সম্পদ নয় বরং সমাজের বোঝা।