০৮:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫
অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত বড়দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিতে টানা তিন দিন বন্ধ ব্যাংক ও শেয়ারবাজার বৃহস্পতিবার দেশে পালিত হবে বড়দিন, উৎসব ঘিরে শুভেচ্ছা ও বাড়তি নিরাপত্তা উপেক্ষিত রুমিন ফারহানা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে বিশ্বব্যাংকের নতুন অর্থায়ন, বাংলাদেশে অনুমোদন ১৫০ কোটি ডলার তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে সরকারের স্বাগত, পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস গাজীপুরে জাসাস নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা টাকা-ডলার বিনিময় হারে বাড়ছে ফাঁক, বৈদেশিক প্রতিযোগিতায় ঝুঁকির সতর্কতা মাওলানা আতাউর রহমান বিক্রমপুরী আটক, কারাগারে প্রেরণ ঋণখেলাপির অভিযোগে নির্বাচনে অযোগ্য মান্না, রিট খারিজ হাইকোর্টে

ঘুরে আসুন ছিয়াং জাতির রহস্যময় গ্রাম থাওপিং

  • Sarakhon Report
  • ০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 90

ডিসেম্বর ৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক:  চীনের বেশ অনেকগুলো গ্রাম  জাতিসংঘের বিশ্ব টুরিজম সংস্থার (ইউএন টুরজম) তালিকায় সেরা গ্রামের মর্যাদা পেয়েছে। এর অন্যতম থাওপিং ছিয়াং। এই গ্রামটিকে রহস্যময় গ্রাম বলা হয়। কারণ এখানে প্রাচীনকালের অনেক রীতি রেওয়াজ এখনও পালন করা হয়।

সিছুয়ান প্রদেশের এক অনন্য সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম থাওপিং ছিয়াং। এই গ্রামটিকে বলা হয় ছিয়াং জাতিগোষ্ঠী অধ্যূষিত এক রহস্যময় গ্রাম। ছেংতু শহর থেকে ১৮০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড়ের ঢালে এই গ্রামের অবস্থান। এটি চীনের অন্যতম সেরা পর্যটন গ্রাম। এই গ্রামের ইতিহাস দুই হাজার বছরের বেশি প্রাচীন। এখানে ছিয়াং জাতির মানুষদের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও কারুশিল্পের দেখা মিলবে। এখানে লোকজরীতিতে তৈরি পুরনো বাড়িঘরগুলো এমনভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে যা পুরো বিশ্বেই বিরল।

এখানে প্রথম জনবসতি গড়ে ওঠে ১১১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম হান রাজবংশের সময়ে। সেসময়ে তৈরি বাড়িগুলো এখনও এত মজবুত যে দেখে অবাক হতে হয়।

ছিয়াংজাতির বর্ণিল সংস্কৃতির পরিচয়ও পাওয়া যায় এই গ্রামে। ছিয়াং গান এবং লোকজ নৃত্য উপভোগ করা যায় এখানে। কারণ গ্রামে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ছিয়াং এমব্রয়ডারিও খুব বিখ্যাত। এখানে কারুশিল্পের দোকানে কেনা যাবে ছিয়াং নারীদের তৈরি এমব্রয়ডারিযুক্ত পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী।

গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যও খুব সুন্দর। পাহাড়ের নির্জনে সবুজ গাছ, মেঘের সঙ্গে পাহাড় চূড়ার লুকোচুরির দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ।

ছিয়াং জাতির খাদ্য সামগ্রীও বেশ মজাদার। থাওপিং ছিয়াং গ্রামে ওয়াচ টাওয়ার বা উচুঁ ভবন থেকে পাহাড়ের দৃশ্য দেখার বিষয়টি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।

গ্রামটি ঘুরে দেখার জন্য একদিন সময় লাগে। অনেক পর্যটক প্রাচীন গ্রামের পরিবেশ উপভোগ করার জন্য কয়েকদিন এখানে থাকতে চান। তাদের জন্য ছিয়াং জাতির অনেক মানুষ হোম স্টে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই সব হোমস্টেতে সহজেই অতিথি হতে পারেন পর্যটকরা। তারা পুরোপুরি ঘরোয়া পরিবেশে ছিয়াং গ্রামের সংস্কৃতি, ও প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।

থাওপিং ছিয়াং গ্রামে প্রবেশের জন্য টিকেট কাটতে হয়। টিকেটের দাম জনপ্রতি ৬০ আরএমবি। ছেংতু সিটির ছাতিয়ানজি বাস স্টেশন থেকে ওয়েনছুয়ান কাউন্টি পর্যন্ত বাসে যাওয়া যায়। সেখান থেকে মিনিবাস বা ট্যাক্সিতে থাওপিং যাওয়া যাবে সহজেই। ছেংতু থেকে সরাসরি ট্যাক্সিতে বা ট্যুর প্যাকেজেও থাওপিং যাওয়া সম্ভব।

বছরের যে কোন সময়ই ছিয়াংদের গ্রামে বেড়াতে যাওয়া যায়। তবে শীতের সময়ে গেলে তুষারে ঢাকা পাহাড়ের অন্যরকম সৌন্দর্যও চোখে পড়বে।

 

শান্তা/নাহার

জনপ্রিয় সংবাদ

অসম ভিআইপি সুবিধা নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘন: নির্বাচন কমিশনকে জানাল জামায়াত

ঘুরে আসুন ছিয়াং জাতির রহস্যময় গ্রাম থাওপিং

০৪:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ডিসেম্বর ৪, সিএমজি বাংলা ডেস্ক:  চীনের বেশ অনেকগুলো গ্রাম  জাতিসংঘের বিশ্ব টুরিজম সংস্থার (ইউএন টুরজম) তালিকায় সেরা গ্রামের মর্যাদা পেয়েছে। এর অন্যতম থাওপিং ছিয়াং। এই গ্রামটিকে রহস্যময় গ্রাম বলা হয়। কারণ এখানে প্রাচীনকালের অনেক রীতি রেওয়াজ এখনও পালন করা হয়।

সিছুয়ান প্রদেশের এক অনন্য সুন্দর পাহাড়ি গ্রাম থাওপিং ছিয়াং। এই গ্রামটিকে বলা হয় ছিয়াং জাতিগোষ্ঠী অধ্যূষিত এক রহস্যময় গ্রাম। ছেংতু শহর থেকে ১৮০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে পাহাড়ের ঢালে এই গ্রামের অবস্থান। এটি চীনের অন্যতম সেরা পর্যটন গ্রাম। এই গ্রামের ইতিহাস দুই হাজার বছরের বেশি প্রাচীন। এখানে ছিয়াং জাতির মানুষদের ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি, সংস্কৃতি ও কারুশিল্পের দেখা মিলবে। এখানে লোকজরীতিতে তৈরি পুরনো বাড়িঘরগুলো এমনভাবে সংরক্ষণ করা হয়েছে যা পুরো বিশ্বেই বিরল।

এখানে প্রথম জনবসতি গড়ে ওঠে ১১১ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম হান রাজবংশের সময়ে। সেসময়ে তৈরি বাড়িগুলো এখনও এত মজবুত যে দেখে অবাক হতে হয়।

ছিয়াংজাতির বর্ণিল সংস্কৃতির পরিচয়ও পাওয়া যায় এই গ্রামে। ছিয়াং গান এবং লোকজ নৃত্য উপভোগ করা যায় এখানে। কারণ গ্রামে পর্যটকদের জন্য বিশেষভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ছিয়াং এমব্রয়ডারিও খুব বিখ্যাত। এখানে কারুশিল্পের দোকানে কেনা যাবে ছিয়াং নারীদের তৈরি এমব্রয়ডারিযুক্ত পোশাক ও অন্যান্য সামগ্রী।

গ্রামের প্রাকৃতিক দৃশ্যও খুব সুন্দর। পাহাড়ের নির্জনে সবুজ গাছ, মেঘের সঙ্গে পাহাড় চূড়ার লুকোচুরির দৃশ্য সত্যিই অসাধারণ।

ছিয়াং জাতির খাদ্য সামগ্রীও বেশ মজাদার। থাওপিং ছিয়াং গ্রামে ওয়াচ টাওয়ার বা উচুঁ ভবন থেকে পাহাড়ের দৃশ্য দেখার বিষয়টি পর্যটকদের কাছে বেশ আকর্ষণীয়।

গ্রামটি ঘুরে দেখার জন্য একদিন সময় লাগে। অনেক পর্যটক প্রাচীন গ্রামের পরিবেশ উপভোগ করার জন্য কয়েকদিন এখানে থাকতে চান। তাদের জন্য ছিয়াং জাতির অনেক মানুষ হোম স্টে ব্যবসা চালাচ্ছেন। এই সব হোমস্টেতে সহজেই অতিথি হতে পারেন পর্যটকরা। তারা পুরোপুরি ঘরোয়া পরিবেশে ছিয়াং গ্রামের সংস্কৃতি, ও প্রকৃতি উপভোগ করতে পারেন।

থাওপিং ছিয়াং গ্রামে প্রবেশের জন্য টিকেট কাটতে হয়। টিকেটের দাম জনপ্রতি ৬০ আরএমবি। ছেংতু সিটির ছাতিয়ানজি বাস স্টেশন থেকে ওয়েনছুয়ান কাউন্টি পর্যন্ত বাসে যাওয়া যায়। সেখান থেকে মিনিবাস বা ট্যাক্সিতে থাওপিং যাওয়া যাবে সহজেই। ছেংতু থেকে সরাসরি ট্যাক্সিতে বা ট্যুর প্যাকেজেও থাওপিং যাওয়া সম্ভব।

বছরের যে কোন সময়ই ছিয়াংদের গ্রামে বেড়াতে যাওয়া যায়। তবে শীতের সময়ে গেলে তুষারে ঢাকা পাহাড়ের অন্যরকম সৌন্দর্যও চোখে পড়বে।

 

শান্তা/নাহার