০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদা

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 15

বিভিন্ন গবেষণায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদার গুণের কথা জানা গেছে৷ বিশেষ করে ক্লান্তি ও বমি বমি ভাব দূর করতে এটি বেশ উপকারী৷

তবে যাদের পেট সংবেদনশীল এবং যাদের বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা আছে তাদের আদা খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা৷

জার্মান চিকিৎসক ইয়স্ট লাঙহর্স্ট ও তার দল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় আদা ব্যবহার করেন৷ ‘‘আমাদের ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন এবং নেচারোপ্যাথি ক্লিনিকে আদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ প্রতিদিন এটা নানান কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন, শরীরে মাখার পাউডার হিসেবে, কিংবা ক্ষুধা কমে যাওয়া, বদহজম বা বমি বমি ভাব, এসব অসুখের বিরুদ্ধে লড়তে চা হিসেবে৷ এছাড়া আদার ক্যাপসুলও আছে,” জানান তিনি৷

আদার মধ্যে অনেক সেসকোয়াই-তারপিন তেল আছে৷ আরও আছে জিঞ্জারওল ও শ’গেওল নামের ঝাঁঝালো উপাদান৷ ভিটামিন সি’ও আছে অনেক৷ তাই শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আদা৷

লাঙহর্স্ট বলেন, ‘‘ঝাঁঝালো উপাদান ও তেলের প্রভাব জিহবাতেই শুরু হয়৷ এছাড়া পুরো হজম প্রক্রিয়ার উপরই এটা প্রভাব ফেলে৷ যেমন ডুডেনামে, সেখানে হজমকারী এনজাইমগুলি আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবারকে ভেঙে দেয়৷ সেখানে তারা হজমে সাহায্য করতে পারে, বমি বমি ভাবও দূর করতে পারে৷”

জার্মানির মিউনিখের লাইবনিৎস ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিস্টেমস বায়োলজিতে ডাঃ গাবি অ্যান্ডারসন সুস্থ মানুষের রক্তে আদার প্রভাব পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছেন যে, আদার ঝাঁঝালো উপাদান শ্বেত রক্তকণিকাকে সতর্ক অবস্থায় রাখে৷

অ্যান্ডারসন জানান, ‘‘আমরা দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে, রক্তকণিকায় একটি রিসেপ্টর আছে, যেটা আদাতে থাকা ঝাঁঝালো উপাদান দ্বারা সক্রিয় করা যেতে পারে৷ এছাড়া আদা রোগ-প্রতিরোধক কোষগুলিকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালীভাবে লড়তে সহায়তা করে৷”

আদা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে৷ বমি বমি ভাবের চিকিৎসায় এর উপকারিতা নিয়েও অনেক গবেষণা হয়েছে৷

দিনে ৫০ গ্রাম আদা বা ৫ গ্রাম আদার গুঁড়া নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়৷

চিকিৎসক লাঙহর্স্ট জানান, ‘‘কিছু মানুষের আদা’য় অ্যালার্জি হতে পারে, তবে এটা খুব বিরল৷ গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র চায়ে আদা দিয়ে খাওয়া উচিত৷”

ঝাঁঝালো হওয়ায় জুসে আদা মেশানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে৷ পুষ্টিবিদ এফা-মারিয়া ডিলিৎস বলেন, ‘‘আদার আসলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কিন্তু যাদের পেট সংবেদনশীল এবং বুকে জ্বালাপোড়া সমস্যা আছে তাদের এটা এড়িয়ে চলা উচিত৷”

DW বাংলা

 

ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদা

০৬:৩৩:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

বিভিন্ন গবেষণায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে আদার গুণের কথা জানা গেছে৷ বিশেষ করে ক্লান্তি ও বমি বমি ভাব দূর করতে এটি বেশ উপকারী৷

তবে যাদের পেট সংবেদনশীল এবং যাদের বুক জ্বালাপোড়া সমস্যা আছে তাদের আদা খাওয়ার পরিমাণ সম্পর্কে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা৷

জার্মান চিকিৎসক ইয়স্ট লাঙহর্স্ট ও তার দল বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় আদা ব্যবহার করেন৷ ‘‘আমাদের ইন্টিগ্রেটিভ মেডিসিন এবং নেচারোপ্যাথি ক্লিনিকে আদার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে৷ প্রতিদিন এটা নানান কাজে ব্যবহার করা হয়, যেমন, শরীরে মাখার পাউডার হিসেবে, কিংবা ক্ষুধা কমে যাওয়া, বদহজম বা বমি বমি ভাব, এসব অসুখের বিরুদ্ধে লড়তে চা হিসেবে৷ এছাড়া আদার ক্যাপসুলও আছে,” জানান তিনি৷

আদার মধ্যে অনেক সেসকোয়াই-তারপিন তেল আছে৷ আরও আছে জিঞ্জারওল ও শ’গেওল নামের ঝাঁঝালো উপাদান৷ ভিটামিন সি’ও আছে অনেক৷ তাই শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আদা৷

লাঙহর্স্ট বলেন, ‘‘ঝাঁঝালো উপাদান ও তেলের প্রভাব জিহবাতেই শুরু হয়৷ এছাড়া পুরো হজম প্রক্রিয়ার উপরই এটা প্রভাব ফেলে৷ যেমন ডুডেনামে, সেখানে হজমকারী এনজাইমগুলি আংশিকভাবে হজম হওয়া খাবারকে ভেঙে দেয়৷ সেখানে তারা হজমে সাহায্য করতে পারে, বমি বমি ভাবও দূর করতে পারে৷”

জার্মানির মিউনিখের লাইবনিৎস ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিস্টেমস বায়োলজিতে ডাঃ গাবি অ্যান্ডারসন সুস্থ মানুষের রক্তে আদার প্রভাব পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছেন যে, আদার ঝাঁঝালো উপাদান শ্বেত রক্তকণিকাকে সতর্ক অবস্থায় রাখে৷

অ্যান্ডারসন জানান, ‘‘আমরা দেখাতে সক্ষম হয়েছি যে, রক্তকণিকায় একটি রিসেপ্টর আছে, যেটা আদাতে থাকা ঝাঁঝালো উপাদান দ্বারা সক্রিয় করা যেতে পারে৷ এছাড়া আদা রোগ-প্রতিরোধক কোষগুলিকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের বিরুদ্ধে আরও শক্তিশালীভাবে লড়তে সহায়তা করে৷”

আদা প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে৷ বমি বমি ভাবের চিকিৎসায় এর উপকারিতা নিয়েও অনেক গবেষণা হয়েছে৷

দিনে ৫০ গ্রাম আদা বা ৫ গ্রাম আদার গুঁড়া নিরাপদ বলে বিবেচনা করা হয়৷

চিকিৎসক লাঙহর্স্ট জানান, ‘‘কিছু মানুষের আদা’য় অ্যালার্জি হতে পারে, তবে এটা খুব বিরল৷ গর্ভাবস্থায় শুধুমাত্র চায়ে আদা দিয়ে খাওয়া উচিত৷”

ঝাঁঝালো হওয়ায় জুসে আদা মেশানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে৷ পুষ্টিবিদ এফা-মারিয়া ডিলিৎস বলেন, ‘‘আদার আসলে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কিন্তু যাদের পেট সংবেদনশীল এবং বুকে জ্বালাপোড়া সমস্যা আছে তাদের এটা এড়িয়ে চলা উচিত৷”

DW বাংলা