১০:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন

আসাদ পরবর্তী সিরিয়া কোন দিকে যেতে পারে?

  • Sarakhon Report
  • ০৬:৪০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 18

মিজান রেহমান

সিরিয়ান সিভিলওয়ারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়গুলির একটি হিসাবে স্মরণ করা যেতে পারে।যেখানে এক ডজনেরও বেশি দল লড়াই করে চলেছে তাদের স্বার্থের নিমিত্তে।বিভিন্ন কূটকৌশলের মধ্য দিয়ে যা পরিচালিত হয়ে আসছে।কিন্তু এই গৃহযুদ্ধের ধ্বংসলীলায় দামেস্ক থেকে আলেপ্পো পর্যন্ত পুরো এলাকা জুড়ে হাজার হাজার বোমাবর্ষণে ভরা এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর ছাড়া জীবনের কোন চিহ্ন যেখানে অবশিষ্ট নেই বললে চলে।

আসাদ কিছু গুরুতর সমস্যা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে যার জন্য সম্প্রতি একে মূল্য দিতে হয়েছে।আসাদের এমন পতনকে অনেকই রাশিয়ার পরাজয় হিসেবে দেখছে পাশাপাশি এটা ইরানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে ধারণা করা হয়।যা হয়তো যথাসময়ে দৃশ্যমান হবে।তবে রাশিয়ার আচরণে বুঝা যায় আসাদ ও বিদ্রোহীদের সাথে রাশিয়ার আগ থেকে লিয়াজোঁ হয়েছে।সে বিষয়ে সন্দেহ নেই যার জন্য টারতুসে অবস্থিত রাশিয়ান স্কোয়াড্রন বন্দর ছেড়েছে বলে জানা গেছে।এটি একটি নির্দিষ্ট স্থানান্তর হতে পারে বা নতুন শাসনের সাথে সম্পর্ক পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সমুদ্রের বাইরে রাখার জন্য একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হতে পারে।রাশিয়ান বিমান ঘাঁটি এইচটিএস বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত বলে জানা গেছে, তবে আক্রমণ করা হয়নি। জানা গেছে যে ঘাঁটিগুলির সুরক্ষার গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য মস্কো এবং এইচটিএসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, যদি তাই হয় তবে এই ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী হতে পারে।

কিন্তু যেভাবে বিদেশী ভাড়াটে, একাধিক জাতীয় পরিচয়ধারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং তুরস্কের সহায়তায় প্রকাশ্যে দেশটি দখল করেছে তা একটি অন্ধকার বাস্তবতাকে সামনে এনেছে।যা আগামী দিনে মুখোমুখি হতে হবে ভয়াবহ সার্বভৌমত্বের লড়াইয়ে।স্মরণ করা উচিত যে,ইরাক থেকে সাদ্দামের অপসারণের সময়, আমেরিকা এবং তার মিত্ররা আক্রমণ করেছিল এবং সেখানে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা বিদেশী ভাড়াটে জড়িত ছিল না। তবুও, আল কায়েদা, আইএসআইএস আগ্রাসন এবং গৃহযুদ্ধের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দেশটিকে দুই দশকেরও বেশি সময় লেগেছে।আত্মঘাতী বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।

তুর্কীকে সামনে রেখে কাজটি করেছে মূলত ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও ন্যাটো।যে কারণটি এর জন্য সামনে আনা হয়েছে সিরিয়ার প্রায় ৩ মিলিয়ন শরনার্থী তুর্কীতে অবস্থান করছে যা সাধারণত আলোচনা বা কূটনীতিক পথে সমাধান হচ্ছিল না।একইসাথে কুর্দিদের শক্তিমাত্রা হ্রাস করার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু এর মূলে রয়েছে ভিন্ন ইস্যু যা দৃশ্যত সিরিয়ায় চলমান ইসরায়েলের আচরণে বুঝা যায়।কেউ কেউ দাবি করছে যে সিরিয়ার মাটিতে কখনই কোনও শত্রু রাষ্ট্রকে অনুমতি দেবে না,সেসব কথাবার্তা খুব বেশি উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে না।তবে ইহুদিবাদী আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার মধ্যে দিয়ে যা প্রমাণ হতে পারে,যদিও তারা প্রকাশ্যে যোগাযোগ করে চলেছে এবং এসব বিষয়ে নীরব।আসাদ সরকারের পতনের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে, ইসরায়েল সিরিয়ার অভ্যন্তরে ১০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও কমপক্ষে ৭৫ বার আক্রমণ করেছে। সীমান্ত রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের উপস্থিতি সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলছে।

এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল HTS(হায়াত তাহরির আল-শাম) কী অন্যান্য গোষ্ঠীদের দমাতে পারবেন?তাদের সাথে কোন ধরনের চুক্তি হতে পারে।তবে, HTS এর মিত্রদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা এবং এর নিজস্ব কিছু অনুসারীদের উপর এই প্রশ্ন থেকেই যায়।আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং দৃশ্যত তারা তাদের কথা রেখেছে।আফগানিস্তান ভিত্তিক ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান (আইএসকে)যদিও তা চালিয়ে যাচ্ছে;আফগানিস্তানের কিছু অংশের উপর দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ও নতুন সংঘাতে জড়াতে অনাগ্রহের কারণে তালেবানরা এটিকে পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারেনি।

আর এর মধ্যে দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যুদ্ধাদের সাহায্য কমতে পারে কেননা ইরান সিরিয়া হয়ে মূলত হিজবুল্লার কাছে রসদ সরবরাহ করে আসছে।যা কার্যত এখন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।পাশাপাশি সালাফিস্টের নতুন উদ্যম শুরু হবে মধ্যেপ্রাচ্যে যেখানে সিরিয়ান মাইনারোটি সম্প্রদায় হুমকি মুখে পরতে পারে।অনেকেই আবার সিরিয়া বিজয়কে শিয়া তথা ইরানের পতন হিসেবে বিবেচনা করছে!এমন যদি হয় তাহলে শিয়া রাষ্ট্র আজারবাইজানের পতন হিসেবে কেন মনে করা হচ্ছে না।কারণ আজারবাইজান বন্ধু হিসেবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রহণ করেছে তাই।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি যিনি এখন দামেস্কে নামমাত্র দায়িত্বে আছেন, একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসাবে পশ্চিমা মিডিয়া জুড়ে প্রচারিত হচ্ছে,এর চেয়ে বেশি এখানো স্পষ্ট নয়।তিনি একসময় আইএসআইএসের ডেপুটি লিডার ছিলেন এবং সিআইএ যার মাথায় মূল্য ঘোষণা করেছিল $10 মিলিয়ন পুরস্কার! হ্যাঁ, সেই একই C.I.A.এখন তাকে অর্থায়ন ও সজ্জিত করছে এবং তাকে বিমান সহায়তা দিচ্ছে।একইসাথে হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS) যুক্তরাজ্যের একটি নিষিদ্ধ গোষ্ঠী৷ তবে ব্রিটিশ মূলধারার মিডিয়া এবং ব্রিটিশ মুসলিম আউটলেট উভয়ই প্রকাশ্যে HTS-এর প্রচার ও প্রশংসা করে চলেছে,খোলাখুলিভাবে।এসবের কারণ কী!সিরিয়া বিজয় তখনই বিজয় হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত যখন তা আগেকার সিরিয়ার চেয়ে ভালো পরিস্থিতি তৈরি হবে।যাদের থাকবে মিলিটারি,ইয়ার ব্যাস সহ বহিঃশত্রু আক্রমণের যাবতীয় রসদ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি বিষয়ে যারা হবে অগ্রগামী পাশাপাশি ইসরায়েল আগ্রাসনের তীব্র বিরোধী।সিরিয়া বিজয় যদি লিবিয়া বা লেবাননের মতো হয়,পাশাপাশি যদি তাদের শাসনব্যবস্থা মিসর বা আরব শাসকের মত হয়!তাহলে সে বিষয়ে কার লাভ!

আমরা আইএসআইএস এবং সিরিয়ার এই “ভাল” জিহাদিদের সম্পর্কে আরও কিছুটা শিখতে পারি। ক্ষমতায় এসে তারা কি করবে? তারা কি আফগানিস্তানের তালেবানদের মতো হবে? তা না হলে তাদের প্রকৃত চরিত্র এবং তাদের নেতাদের টুপি সম্পর্কে কী বলব?আর যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে,দিনদিন সিরিয়ার মাটি ইসরায়েলের দখলে যাচ্ছে তাহলে সিরিয়ার পরিণতি হতে পারে ফিলিস্তিনের মতো।

সূত্র:www.unz.com
www.responsiblestatecraft.org
www:consortiumnews.com

কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি

আসাদ পরবর্তী সিরিয়া কোন দিকে যেতে পারে?

০৬:৪০:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

মিজান রেহমান

সিরিয়ান সিভিলওয়ারকে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়গুলির একটি হিসাবে স্মরণ করা যেতে পারে।যেখানে এক ডজনেরও বেশি দল লড়াই করে চলেছে তাদের স্বার্থের নিমিত্তে।বিভিন্ন কূটকৌশলের মধ্য দিয়ে যা পরিচালিত হয়ে আসছে।কিন্তু এই গৃহযুদ্ধের ধ্বংসলীলায় দামেস্ক থেকে আলেপ্পো পর্যন্ত পুরো এলাকা জুড়ে হাজার হাজার বোমাবর্ষণে ভরা এবং ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়িঘর ছাড়া জীবনের কোন চিহ্ন যেখানে অবশিষ্ট নেই বললে চলে।

আসাদ কিছু গুরুতর সমস্যা মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়েছে যার জন্য সম্প্রতি একে মূল্য দিতে হয়েছে।আসাদের এমন পতনকে অনেকই রাশিয়ার পরাজয় হিসেবে দেখছে পাশাপাশি এটা ইরানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে ধারণা করা হয়।যা হয়তো যথাসময়ে দৃশ্যমান হবে।তবে রাশিয়ার আচরণে বুঝা যায় আসাদ ও বিদ্রোহীদের সাথে রাশিয়ার আগ থেকে লিয়াজোঁ হয়েছে।সে বিষয়ে সন্দেহ নেই যার জন্য টারতুসে অবস্থিত রাশিয়ান স্কোয়াড্রন বন্দর ছেড়েছে বলে জানা গেছে।এটি একটি নির্দিষ্ট স্থানান্তর হতে পারে বা নতুন শাসনের সাথে সম্পর্ক পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তাদের সমুদ্রের বাইরে রাখার জন্য একটি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হতে পারে।রাশিয়ান বিমান ঘাঁটি এইচটিএস বাহিনী দ্বারা বেষ্টিত বলে জানা গেছে, তবে আক্রমণ করা হয়নি। জানা গেছে যে ঘাঁটিগুলির সুরক্ষার গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য মস্কো এবং এইচটিএসের মধ্যে একটি চুক্তি হয়েছে, যদি তাই হয় তবে এই ব্যবস্থাটি সম্পূর্ণরূপে অস্থায়ী হতে পারে।

কিন্তু যেভাবে বিদেশী ভাড়াটে, একাধিক জাতীয় পরিচয়ধারী, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইসরাইল এবং তুরস্কের সহায়তায় প্রকাশ্যে দেশটি দখল করেছে তা একটি অন্ধকার বাস্তবতাকে সামনে এনেছে।যা আগামী দিনে মুখোমুখি হতে হবে ভয়াবহ সার্বভৌমত্বের লড়াইয়ে।স্মরণ করা উচিত যে,ইরাক থেকে সাদ্দামের অপসারণের সময়, আমেরিকা এবং তার মিত্ররা আক্রমণ করেছিল এবং সেখানে কোন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বা বিদেশী ভাড়াটে জড়িত ছিল না। তবুও, আল কায়েদা, আইএসআইএস আগ্রাসন এবং গৃহযুদ্ধের পর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে দেশটিকে দুই দশকেরও বেশি সময় লেগেছে।আত্মঘাতী বোমা হামলায় হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়।

তুর্কীকে সামনে রেখে কাজটি করেছে মূলত ইহুদিবাদী ইসরায়েল ও ন্যাটো।যে কারণটি এর জন্য সামনে আনা হয়েছে সিরিয়ার প্রায় ৩ মিলিয়ন শরনার্থী তুর্কীতে অবস্থান করছে যা সাধারণত আলোচনা বা কূটনীতিক পথে সমাধান হচ্ছিল না।একইসাথে কুর্দিদের শক্তিমাত্রা হ্রাস করার কথা বলা হচ্ছে কিন্তু এর মূলে রয়েছে ভিন্ন ইস্যু যা দৃশ্যত সিরিয়ায় চলমান ইসরায়েলের আচরণে বুঝা যায়।কেউ কেউ দাবি করছে যে সিরিয়ার মাটিতে কখনই কোনও শত্রু রাষ্ট্রকে অনুমতি দেবে না,সেসব কথাবার্তা খুব বেশি উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছে না।তবে ইহুদিবাদী আগ্রাসনের জবাব দেওয়ার মধ্যে দিয়ে যা প্রমাণ হতে পারে,যদিও তারা প্রকাশ্যে যোগাযোগ করে চলেছে এবং এসব বিষয়ে নীরব।আসাদ সরকারের পতনের ৩৬ ঘন্টার মধ্যে, ইসরায়েল সিরিয়ার অভ্যন্তরে ১০০ টিরও বেশি হামলা চালিয়েছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও কমপক্ষে ৭৫ বার আক্রমণ করেছে। সীমান্ত রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের উপস্থিতি সিরিয়ার পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তুলছে।

এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল HTS(হায়াত তাহরির আল-শাম) কী অন্যান্য গোষ্ঠীদের দমাতে পারবেন?তাদের সাথে কোন ধরনের চুক্তি হতে পারে।তবে, HTS এর মিত্রদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা এবং এর নিজস্ব কিছু অনুসারীদের উপর এই প্রশ্ন থেকেই যায়।আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতায় ফিরে আসার পর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং দৃশ্যত তারা তাদের কথা রেখেছে।আফগানিস্তান ভিত্তিক ইসলামিক স্টেট অফ খোরাসান (আইএসকে)যদিও তা চালিয়ে যাচ্ছে;আফগানিস্তানের কিছু অংশের উপর দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ও নতুন সংঘাতে জড়াতে অনাগ্রহের কারণে তালেবানরা এটিকে পুরোপুরি প্রতিরোধ করতে পারেনি।

আর এর মধ্যে দিয়ে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যুদ্ধাদের সাহায্য কমতে পারে কেননা ইরান সিরিয়া হয়ে মূলত হিজবুল্লার কাছে রসদ সরবরাহ করে আসছে।যা কার্যত এখন বন্ধ হয়ে যেতে পারে।পাশাপাশি সালাফিস্টের নতুন উদ্যম শুরু হবে মধ্যেপ্রাচ্যে যেখানে সিরিয়ান মাইনারোটি সম্প্রদায় হুমকি মুখে পরতে পারে।অনেকেই আবার সিরিয়া বিজয়কে শিয়া তথা ইরানের পতন হিসেবে বিবেচনা করছে!এমন যদি হয় তাহলে শিয়া রাষ্ট্র আজারবাইজানের পতন হিসেবে কেন মনে করা হচ্ছে না।কারণ আজারবাইজান বন্ধু হিসেবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে গ্রহণ করেছে তাই।

আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি যিনি এখন দামেস্কে নামমাত্র দায়িত্বে আছেন, একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসাবে পশ্চিমা মিডিয়া জুড়ে প্রচারিত হচ্ছে,এর চেয়ে বেশি এখানো স্পষ্ট নয়।তিনি একসময় আইএসআইএসের ডেপুটি লিডার ছিলেন এবং সিআইএ যার মাথায় মূল্য ঘোষণা করেছিল $10 মিলিয়ন পুরস্কার! হ্যাঁ, সেই একই C.I.A.এখন তাকে অর্থায়ন ও সজ্জিত করছে এবং তাকে বিমান সহায়তা দিচ্ছে।একইসাথে হায়াত তাহরির আল-শাম (HTS) যুক্তরাজ্যের একটি নিষিদ্ধ গোষ্ঠী৷ তবে ব্রিটিশ মূলধারার মিডিয়া এবং ব্রিটিশ মুসলিম আউটলেট উভয়ই প্রকাশ্যে HTS-এর প্রচার ও প্রশংসা করে চলেছে,খোলাখুলিভাবে।এসবের কারণ কী!সিরিয়া বিজয় তখনই বিজয় হিসেবে গণ্য হওয়া উচিত যখন তা আগেকার সিরিয়ার চেয়ে ভালো পরিস্থিতি তৈরি হবে।যাদের থাকবে মিলিটারি,ইয়ার ব্যাস সহ বহিঃশত্রু আক্রমণের যাবতীয় রসদ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি বিষয়ে যারা হবে অগ্রগামী পাশাপাশি ইসরায়েল আগ্রাসনের তীব্র বিরোধী।সিরিয়া বিজয় যদি লিবিয়া বা লেবাননের মতো হয়,পাশাপাশি যদি তাদের শাসনব্যবস্থা মিসর বা আরব শাসকের মত হয়!তাহলে সে বিষয়ে কার লাভ!

আমরা আইএসআইএস এবং সিরিয়ার এই “ভাল” জিহাদিদের সম্পর্কে আরও কিছুটা শিখতে পারি। ক্ষমতায় এসে তারা কি করবে? তারা কি আফগানিস্তানের তালেবানদের মতো হবে? তা না হলে তাদের প্রকৃত চরিত্র এবং তাদের নেতাদের টুপি সম্পর্কে কী বলব?আর যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে,দিনদিন সিরিয়ার মাটি ইসরায়েলের দখলে যাচ্ছে তাহলে সিরিয়ার পরিণতি হতে পারে ফিলিস্তিনের মতো।

সূত্র:www.unz.com
www.responsiblestatecraft.org
www:consortiumnews.com